হোম এবং লিভিং

সুখী ও উৎপাদনমুখি কর্মচারীদের জন্য অফিসের সঠিক আসবাবপত্র বাছাই

আপনি মাত্র কিছুদিন আগেই ব্যবসা আরম্ভ করে থাকুন কিম্বা বহু বছর ধরে সফলভাবে ব্যবসা চালিয়েই আসুন না কেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, যাদেরকে আপনি নিয়োগ দিয়ে থাকেন তারা যেন একটি স্বস্তিকর পরিবেশে আপনার জন্য আনন্দের সাথে কাজ করে যেতে পারে। প্রণোদনাবিহীন একজন কর্মী শুধু সমগ্র কর্মীদলের মনোবলই কমিয়ে দিতে পারে না বরং তা আপনার ক্রেতাদের জন্যও অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। একটি সুখী ও উৎপাদমুখি কর্মীদলের জন্য সঠিক দাপ্তরিক-আসবাব বাছাইয়ের জন্য আপনি সৃজনশীল উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

পারিবেশ গুরুত্বপূর্ণ

গড়পড়তা একজন মানুষ ১৬ ঘন্টা জেগে থাকে, এবং পূর্ণকালীন কর্মীগণ এই জেগে কাটানো ঘন্টাগুলোর অর্ধেকটাই সপ্তাহজুড়ে কাজের জায়গায় কাটায়। উৎপদানমুখি কাজের পরিবেশ তৈরী করার গুরুত্ব আপনার পক্ষে এবং যারা আপানার জন্য কাজ করে উভয়ের পক্ষেই বুঝতে পারা সহজ। সঠিক পরিপাশ্বির্কতার উপযোগী দাপ্তরিক-আসবাব ক্রয় করা এমন একটি বিনিয়োগ যা আপনি করতে পারেন।

আপনাকে খুব বেশি ব্যয় করতে হবে না

নতুন একটি ব্যবসা আরম্ভ করা কিছুটা চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে আপনি যদি শুরুর পর্যায়েই থেকে থাকেন। প্রতি বছর আপনার মতই হাজার হাজার উদ্যোক্তা নতুন নতুন ব্যবসায় উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে, এবং তাদের কর্মীদের জন্য স্বস্তিকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় স্থান সংকুলান করার মত মূলধন নিয়ে শুরু করাটা কঠিন হতে পারে। এই সাধারণ সমস্যাটির একটি সহজ সমাধান আছে। কর্মীদলের জন্য এবং আপনার নিজের জন্য দরকারী অনুষঙ্গগুলির কমতি না ঘটিয়েই অর্থ বাঁচানোর একটি সহজ উপায় হলো ব্যবহৃত আসবাব ক্রয় করা।
গুণগতমানের ব্যাপারে আপোষ করা ছাড়াই ব্যবহৃত আসবাব খুঁজে পাওয়া আগের যে কোনো সময়ের চাইতে সহজ করে দিয়েছে ইন্টারনেট। খোঁজা আরম্ভ করার পক্ষে আমাজন ও ই-বের মতো জায়গাগুলো চমৎকার। এমনকি গুগলে একটি সাধারণ অনুসন্ধানের মাধ্যমেও আপনি বিপুল সংখ্যায় সোফা, চেয়ার, ডেস্ক, দাপ্তরিক-আসবাব ও আরও অনেক কিছু খোঁজার কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, আপনি আপানার বাড়ী অথবা অফিসের আরামদায়ক জায়গায় বসেই আপনার সব কেনাকাটা সেরে ফেলতে পারেন।

সঠিক আবহ/পরিবেশ তৈরী করা

আপনি যখন আপনার নতুন অফিসের জায়গা সাজাবেন তখন আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে এই পরিবেশেই আপনি এবং আপনার কর্মীদল দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কাটাবেন। তাই, দিনের কঠিন কাজকর্মের উপযোগী হয় এমন আবহ সৃষ্টি করাটা গুরুত্বপূর্ণ। দিনটি যাতে সকলের কাছেই উপভোগ্য হয় এবং বেশিরভাগ সময়ই যাতে প্রতিষ্ঠানের কাজে লাগে এমন আবহ তৈরী করাটা জটিল ব্যাপার।

জরুরী বিষয়সমূহ

আপনি যে ধরনের পরিবেশে কাজ করেন তার উপর নির্ভর করে আপনাকে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি যদি ডাক্তারের অফিসে কাজ করেন তবে একটি কম্পিউটার চেয়ারসহ বড় একটি ডেস্ক থাকতে হবে যেখানে ছোটখাট সমস্ত জিনিষ রাখার মত পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে। আপনার যদি এমনসব কর্মচারী থাকে যাদেরকে রাখা হয়েছে লোকজনকে পরামর্শ প্রদান করা অথবা এক এক জন মানুষের সাক্ষাতকার গ্রহণের জন্য, তবে পরিবেশটিকে আন্তরিক করে তুলতে অতিরিক্ত আসবাবের জন্য আপনার বাজেটে কিছু বরাদ্দ থাকতে হবে।

অনুষঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ

আপনি যখন আপনার দাপ্তরিক-আসবাব ক্রয় করবেন তখন আপনার কক্ষের আবহের সাথে মানানসই হয় এমন অনুষঙ্গগুলি দেখে নেয়াটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। শুনতে যতই গুরুত্বহীন মনে হোক না কেন, যখন কোনো একটি কক্ষে আসবাব ও আনুষাঙ্গিক জিনিষপত্রের সুসামঞ্জস্য ঘটে তখন তা উৎপাদনশীলতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে, তাতে করে আপনার পকেটে আরও বেশি অর্থাগম ঘটতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, কর্মীদের যেসব জিনিসপত্র সারাদিন ধরেই ব্যবহার করার দরকার হয় তা রাখার জন্য ডেস্কের উপর পর্যাপ্ত জায়গা আছে কি-না ভেবে দেখুন। কর্মীরা যদি নিজেদের জায়গাটুকু নিজেদের মত করে ব্যবহার করতে পারে আর কাজের পরিসরটিকে ব্যক্তিগত বলে ভাবতে পারে তবে তারা প্রতিষ্ঠানটিকে নিজের সম্পদ বলে অনুভব করতে সমর্থ হয়।

সস্তায় আসবাব বিক্রি হয়

আপনি যখন আপনার অফিসকে সাজান তখন অর্থ সাশ্রয়ের আরেকটি ভাল উপায় আছে, আর এটা করতে গিয়ে আপনি প্রচুর মজা পাবেন। আগের মালিকের ফেলে যাওয়া আসবাবের খোঁজ করুন। দেখা যাবে তার জন্য আপনাকে সামান্যই ব্যয় করতে হবে অথবা আদৌ ব্যয় না ও করতে হতে পারে, এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনাকে জিনিসগুলি মেরামত করিয়ে নিতে হবে। যাহোক, তাতে করে আসবাবগুলিকে আপনার রুচি ও পছন্দমাফিক গড়ে নেয়ার পাশাপাশি অন্য আরও যেসব জিনিস আপনি আনাবেন সেগুলির সাথে মানানসই করিয়ে নেয়ারও সুযোগ পাবেন। আরও ভাল করতে চাইলে, আপনি উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য সেগুলিকে এমনভাবে সাজিয়ে নেবেন যাতে করে তা যে সব কর্মীরা জিনিসগুলি ব্যবহার করবে তাদের ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই হয়।

আপনার অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য ইন্টারনেটকে কাজে লাগান

ইন্টারনেটের প্রচলনের কারণে যেকোনো কিছু কেনার ব্যাপারে এবং অফিসের আসবাবপত্র কেনার ব্যাপারেও যাচাই বাছাই করে নেয়া আগের চাইতে সহজ হয়েছে। যে সব আসবাব কিনতে আপনাকে হয়ত বাজারে যেতে হতো, তা খুঁজতে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যা আপনি পরিদর্শন করতে পারেন। এটা আপনাকে সবচে সুবিধাজনক দাম অনুসন্ধান করার সুযোগ দেয়, পাশাপাশি এটা আপনাকে দরকষাকষি করারও ক্ষমতা দেয় যখন সত্যিই আপনি আপনার অফিস সাজানোর জন্য জিনিসটি কিনতে চান।

দক্ষতা বাড়ান

আপনার বিনিয়োগকৃত সর্বশেষ মুদ্রাটিরও দায়িত্ব হচ্ছে আপনার অফিস যেন দক্ষতার সাথে চলে এবং সঠিক আসবাব বাছাই করার দ্বারা এটা হতে পারে। কেনাকাটা করার আগে অফিসের জন্য দরকারী জিনিসের একটি তালিকা তৈরী করুন। বেশিরভাগটাই প্রয়োজন হবে একটা কম্পিউটারের জায়গার জন্য এবং স্পর্শকাতর নথিপত্রগুলি নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য। সুতরাং একটি জায়গাবহুল ডেস্ক এবং একটি ফাইল কেবিনেট এই প্রয়োজনটি পূরণ করবে। আপনার একটি ফ্যাক্স মেশিন এবং স্মারক বইপুস্তকেরও প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং আপনি যেসব আসবাব পছন্দ করে নেবেন সেগুলিই হতে পারে এসবের উপযুক্ত স্থান।

বাড়াবাড়ি করবেন না

দাপ্তরিক আসবাব কেনার সময় সাশ্রয়ের অনেক উপায় আছে; তবে বাড়াবাড়ি যেন না হয়ে যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। একেবারেই হ্রাসকৃত মূল্যে পাওয়া ব্যবহৃত দাপ্তরিক আসবাবপত্র যখন বেছে নিতে যাবেন তখন এটা অতিরিক্ত জিনিস কিনে ফেলার পক্ষে লোভনীয় হয়ে উঠতে পারে যা পরবর্তীতে বোঝা হয়ে দেখা দেবে। মনে রাখবেন, আপনি এবং আপনার কর্মচারীদের নিরাপত্তা এবং কল্যাণ গুরুত্বপূর্ণ এবং অতিরিক্ত গাদাগাদিজনিত সমস্যা ঘটাতে পারে, এমনকি চলাফেরা করার পক্ষেও বিপদজনক হতে পারে। শুধুমাত্র সেই কয়টিই আসবাব কিনুন যা অফিসের পরিসরের মধ্যে স্বাচ্ছ্যন্দে খাপ খায়।

সঠিক ধারণা সৃষ্টি করা

দাপ্তরিক আসবাব কেনার সময় ব্যবসার প্রকৃতির দিকটি বিবেচনা করা দরকার। এটা কর্মচারীদের মধ্যে সঠিক মনোভঙ্গি তৈরী করে, পাশাপাশি, সম্ভাব্য ক্রেতা, যারা হয়ত পরিদর্শনে আসতে পারে, তাদের মধ্যে সঠিক মনোভাব সৃষ্টি করে। উদাহরণ স্বরূপ, একজন আইনজীবি পেশামুখি, রক্ষণশীল আবহ বজায় রাখার জন্য এমনসব আসবাব ব্যবহার করেন যা ভাবনাহীন এবং আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে। বিপরীতপক্ষে, একজন উৎসব আয়োজনকারী এমনসব আসবাব খুঁজে পেতে চাইবেন যা অত্যন্ত উদ্দীপক এবং সৃজনশীল একটি আবহ তৈরী করে।

সতর্কভাবে বাজেট পরিকল্পনা করুন

যদিও মনে হয় এটা সাধারণ জ্ঞানের ব্যাপার তবুও অনেকেই দাপ্তরিক আসবাব কেনার আগে যথাযথভাবে তাদের বাজেট বা অর্থপরিকল্পনা করতে ব্যর্থ হন এবং ফলশ্রুতিতে এটা অফিস কর্মচারীদের দক্ষতাপূর্ণ কাজের জন্য যেসব জিনিস দরকার তা কেনার ব্যর্থতা হিসেবে দেখা দিতে পারে। অফিসে আপনি যেসব জিনিস যুক্ত করতে চান তার সাথে আরও কত টাকা ব্যয় করতে হবে তা জেনে নিন। আপনার সামর্থের উপযুক্ত দামে বিক্রয় হবে এমন আসবাবপত্র খুঁজে পাওয়া সম্ভব এবং আপনার কত টাকা ব্যয় করার পরিকল্পনা আছে সে ব্যাপারে দৃঢ় ধারণা থাকলে তা আপনাকে লক্ষ্যমুখি হতে সাহায্য করবে এবং অফিসকে উপযুক্তভাবে সাজাতে সাহায্য করবে।

বিনিয়োগের উপযুক্ত খাত

কর্মস্থলে উৎপাদনশীলতা গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি কর্মকুশল পরিবেশ হচ্ছে সেইটি যা সময়ের প্রেক্ষিতে মুনাফা প্রদান করবে। কর্মচারীরা যখন তাদের কর্মস্থলে স্বচ্ছন্দ্য এবং সুখী থাকে তখন তারা প্রতিষ্ঠানে বেশি অবদান রাখতে সমর্থ হয় এবং আরও বেশি উৎপদানমুখি এবং কর্মকুশল হতে পারে। সঠিক দাপ্তরিক-আসবাব ব্যবসার স্বত্ত্বাধিকারীদেরকে তাদের অফিসের এই আশীর্বাদপূর্ণ অবস্থা অর্জনে সহায়তা করতে পারে।

Facebook Comments
সাবস্ক্রাইব করুন

No spam guarantee.

Show More

Related Articles

মোবাইল

ওয়ালটন মোবাইল ফোনের বর্তমান পণ্য পরিসীমা ও বিস্তৃত

আপনি যখন বাংলাদেশে আছেন এবং বিক্রির জন্যে মোবাইল ফোন খুঁজছেন, তাহলে ওয়াল্টন মোবাইল ফোনে আপনি পাচ্ছেন অনেক বিস্তৃত সমারহ। এর দ্বারা আপনিকাছাকাছিপর্যন্তমানুষেরসঙ্গেযোগাযোগরাখতেপারেন, এখন যে যত দুরেই থাকুক না কেন যেমন  চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনাএবংঅন্যান্যশহরে আপনি সহজেই যোগাযোগ করতে পারছেন।

আপনি জেখানেই থাকেন না কেন আপনার সাথে একটি মোবাইল ফোনে থাকবেই। এখন পর্যন্ত মোবাইল ফোনের অনেক মডেল আছে এবং সেইজন্য আপনি ওয়ালটন ফোনের পরিসীমা বুঝতে হবে।

সারা বাংলাদেশ জুরে যে অপারেটিং সিস্টেম বহুল ভাবে প্রচলিত হচ্ছে তা হল অ্যানড্রইড ফোন।এর মানে আপনি জিনজার ব্রেড, আইসক্রীম স্যান্ডউইচ এবং জেলি সিম সহ সর্বশেষ সংস্করণ, অ্যাক্সেস করতে পারেবন।এছাড়াও আপনি গুগল স্টোরে গিয়ে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যাবহার করে বিভিন্ন খেলা, দোকান খুঁজা বা অন্য যেকোনো সুবিধা ভোগ করতে পারেবন। এছাড়াও আরও দেখে নিন এই বছরের আসন্ন সেরা ফ্ল্যাগশিপ মোবাইল ফোনগুলো

ওয়ালটনের পারফর্মেন্স অনেক ভালো বলেই তা বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। ‘প্রিমো’ হচ্ছে সেই মডেল। তবে এই মডেলর ভিতর কিছু ভিন্ন মডেল আছে।

  • প্রিমো জেড এক্স
  • প্রিমো আর এক্স২
  • প্রিমো ই এফ
  • প্রিমো এইচ৩
  • প্রিমো এস২

প্রত্যেকটি ফোন একটি আরেকটির থেকে অনেক ভালো তাই প্রত্যেকটির ব্যাপারে জেনে রাখা ভালো। যার মাঝে বলতে পারেন যে আপনি কত টাকার মাঝে কিনতে চান এবং কতটুকু পরিমাণ ইন্টারনাল মেমোরি সম্পন্ন মোবাইল কিনবেন।

বিভিন্ন মডেলর সাথে তুলনাঃ

ওয়ালটন এর পূর্ণ পণ্য পরিসীমা ব্যাপক, তাই আপনাকে প্রথমে খরচ উপর ভিত্তি করে নির্বাচন করতে হবে এবং তারপর সাথে কিছু বৈশিষ্ট্য দিক থেকে কিছু তুলনা করতে হবে।স্মার্টফোনের ক্যামেরা আপনার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে আপনি আপনার ফোন সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে পারেবেন।

ওজনে প্রত্যেকটি ফোন একটি আরেকটির থেকে খুব বেশি পার্থক্য নেই। গড়ে এক একটি প্রায় ১৩০ থেকে ১৪০ গ্রাম পর্যন্ত। ডাইমেনশনে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও সবগুলি মোবাইল জেলি বিন অপারাতিং সিস্টেমের হয় থাকে।

এর প্রসেসর ভেরী করে ডুয়াল কোর থেকে হেক্সা কোর পর্যন্ত এবং মেমোরি ভেরি করে ৫১২ জিবি থেকে ১ জিবি পর্যন্ত। মেমোরি আপনি চেলে আরও বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেবন আপনার সুবিধা অনুযায়ী এক্সত্রা মেমোরি কার্ড কিনে।

প্রিমো আর এক্স২ এর ক্যামেরা কোয়ালিটি বেশ ভালো।যাতে আছে ১৩ মেগা পিক্সেলের আসল ক্যামেরার স্বাদ।এতে রয়েছে ফ্রন্ট এবং রেয়ার ক্যামেরা। ফ্রন্ট ক্যামেরা দিয়া আপনি সেলফি ও তুলতে পারেবন এবং এর কোয়ালিটি বেশ ভালো। আপনি যদি চামেরার বিশিষ্টের দিকে তাকান তাহলে দেখতে পাবেন যে এর পিছনের চামেরাটি বেশি ভালো।

ওয়ালটনের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে আপনি পাচ্ছেন দীর্ঘ সময় ধরে ছবি তুলার ক্ষমতা এবং ঘণ্টার ঘণ্টার ফোনে কথা বলার সুযোগ কারন এই মোবাইলের ব্যাটারি বেশ উন্নতমানের।প্রায় প্রত্যেকটি ফোনেই লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যাবহার করা হয়ছে কিন্তু উন্নতমানের মোবাইলগুলী তে হাই কোয়ালিটির লি-প্লোইমার ব্যাটারি ব্যাবহার করা হয়েছে। এইগুলো বেশি ভালো কারন এরা দীর্ঘক্ষণ সার্ভিস দিয়া থাকে।

আপনি ওয়ালটনের মোবাইলে আরও কিছু বিশিষ্ট দেখতে পাবেনঃ

– জিপিএস মডিউল

– এনভাইরনম্যন্ট সেন্সর

–  শব্দ দূষণ কমানোর ডুয়েল মাইক

– অরিয়েন্ট্যেশন

-কম্পাস

তাই অনেক বৈশিষ্ট্য সঙ্গে, আপনি আপনার চাহিদার সব দেখা হবে যে ফোন খুঁজে পেতে পারেন।এর দ্বারা আপনি অনেকগুলি কাজ করতে পারেবেন একই সাথে। অনেকে মানুষ যারা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যাবহার করে তারা অনেকেই ট্যেবলেট অথবা ল্যাপটপ ব্যাবহার করেন না।

ওয়াল্টন এর ব্যাপারে আরও কিছুঃ

এটা শুধু স্মার্টফোন নয় যেটা ওয়াল্টন নির্মাণ করেছে। দেশে ৪৩ টি ওয়াল্টন সার্ভিসিং সেন্টোর রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তে আপনার মোবাইলের কোন সমস্যা হলে সমাধান করতে পারবেন।  ওয়ালটন মোবাইল অধিক পরিচিত কোম্পানী তাই অনেক মানুষ এদের ফোনগুলি পছন্দ করে থাকে।

ওয়ালটন মোবাইলগুলি আরেকটি ক্লাসিক নামে পরিচিত।  এই স্মার্টফোনের বৈশিষ্ট্য অনেকাংশেই একই থাকে।মূল কিছু পরিবর্তন থাকে যে এখানে প্রযুক্তিগত কিছু অ্যাপস ও ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন না। ক্লাসিক T73, C31, T50, এবং অন্যান্য ফোনের সব ওয়ালটন এর থেকে ভিন্ন।এর মাঝে অধিকাংশ ফোনেই ক্যামেরা আছে যার দ্বারা আপানি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি তুলতে পারেবন।

অন্যান্য ফিচার এর মাঝে এই ক্লাসিক মোবাইল গুলোতে লা-ইওন ব্যাটারি আছে, টাচ স্ক্রীন, ব্লু টুথ, ডুয়াল সিম এবং টর্চ লাইট আছে। এই আধুনিক সব অপশনের দ্বারা আপনি নিজেকে বিভিন্ন জায়গাতে অনেক এডভান্টেজ নিতে পারবেন।

ওয়াল্টনের পণ্যগুলি বেশ সুপরিচিত ও বিস্তৃত যার মাধ্যমে আপনি যদি ওয়াল্টন মোবাইল দিয়ে যেকোনো সময়ে সম্য ইন্টারনেট সংযোগ ও ফোন কল করতে পারেন।

বৈশিষ্ট্যের তুলনাঃ

আপনি যদি ওয়াল্টনের বৈশিষ্ট্যের তুলনা করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে ওয়াল্টনের পণ্যগুলি বেশ সাশ্রয়ী। এই ফোনগুলি দিয়ে ফোনে কথা বলার সাথেও আপনি অন্য সব কাজও করতে পারবেন যা অন্যসব স্মার্টফোনে রয়ছে।  ফোন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়।

অ্যান্ড্রয়েড

বর্তমানে সবচেয়ে বহুল আলোচিত অপারেটিং সিস্টেম।  তাদের অ্যাপ স্টোর থেকে বিনামূল্যে ও অল্প কিছু টাকা দিয়েও অ্যাপস ডাউনলোড করা যায়, এবং যেকোনো অ্যাপস পাওয়া যায়।

তথাপি আপনার বাজেট কি, আপনি আপনার পছন্দের মতন একই ফোন পেতে পারেন, যাতে আপনার পছন্দের সকল বৈশিষ্ট থাকবে। আপনি আপনার প্রয়োজন মত সব কিছু পাবেন তাতে। তাদের প্রচেসসরটিও বেশ অ্যাডভান্সড এবং উন্নত। যেখানে ডুয়াল কোর প্রসেসর অনেক বেশি সাশ্রয়ী, হেক্সা কোর প্রসেসর প্রভাইড করে তিনগুন বেশি দ্রুত। যার মাধ্যমে মাল্টিপল কাজ করা অতি সহজ এবং সুবিধা।

এই মোবাইল ফোনে ক্যামেরা বেশ উন্নত মানের। যার দ্বারা আপনি আপনার আসেপাশের যেকোনো দিকের ছবি ও ভিডিও চিত্র তুলতে পারবেন। আপনি তা আপান্র ব্যাবসা এবং ব্যক্তিগত উভয় কাজে ব্যাবহার করতে পারেবন। যা মানুষের জীবন যাত্রায় যোগ করে একটি ভিন্য মাত্রা।

আপনি যখন বাংলাদেশে আছেন তখন বিক্রয়ের জন্যে সবচেয়ে সহজ ফোন হচ্ছে ওয়াল্টন। তাদের বিভিন্ন জাগাতে দোকান আছে, এতে আপনি আপনার প্রোয়জন মতন সহজেই দোকানে গিয়ে মোবাইলটি ব্যবহার করে দেখতে পারবেন। আপনি কি ধরনের মোবাইল ফোনে চাচ্ছেন? এখন তা স্মার্ট হোক আর ব্যসিক ফোন হোক না কেন, আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী পছন্দের মোবাইলটি বেছে নিতে পারবেন

Facebook Comments
সাবস্ক্রাইব করুন

No spam guarantee.

Show More

Related Articles

Back to top button
Close
Close