ঢাকায় অ্যাপার্টমেন্টে সময় কাটানোর জন্য ৫টি ইনডোর হবি

ঢাকায় ছোট ফ্ল্যাটে বসবাস মানে স্ট্রেস, কম জায়গা কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনি সময় উপভোগ করতে পারবেন না। এখানে পাঁচটি সবচেয়ে কার্যকরী ইন্ডোর শখ দেওয়া হলো যা নিয়ামত, সৃজনশীল এবং কম স্থানেও সহজে করা যায়।
১. ছবি আঁকা ও স্কেচিং
বড় কোনো আর্ট স্টুডিও লাগে না, একটি ছোট ইজেল, জলরং সেট বা স্কেচবুক থাকলেই হয়। এটি মানসিক চাপ কমিয়ে এবং নিজস্ব গল্প বয়ানে সাহায্য করে। একটি ছোট কর্ণারেই আর্ট কর্নার বানিয়ে দিন।
২. ইনডোর গার্ডেনিং / হার্ব প্ল্যান্টিং
কংক্রিট দেয়ালের মাঝে সবুজ ঘর – সুগন্ধি গাছ যেমন পুদিনা, তুলসী বা লেমনগ্রাস আপনার রান্নাকেও করবে উপভোগ্য। সামান্য একটি পাত্র, মাটি ও বীজ দিয়েই তৈরি হবে আপনার নিজস্ব হার্ব কর্নার।
৩. বই পড়া ও বুক জার্নালিং
একটি ভালো উপন্যাস বা গল্পে ডুব দিন। যেসব বই আপনাকে স্পর্শ করে, সেগুলো লিপিবদ্ধ করুন একটি বই জার্নালে। মন ছুটে যাবে অন্য ভুবনে।
৪. হাতে বোনা, ক্রোশে ও হ্যান্ডিক্রাফট
ক্রোশে স্কার্ফ বা সাধারণ গয়না তৈরি করা – সবই আরামে করা যায়, আর তার অনুভূতি থাকে খুব সুন্দর। একদম শুরুতেই, একটি কিটেই আপনি বরাবর অনেক সময় গড়ে তুলতে পারবেন।
৫. ইনডোর ফিটনেস ও যোগব্যায়াম
জিম না গেলেও চলবে। একটি মাদুর, একটি কর্নার – YouTube ওয়ার্কআউট ভিডিও দিয়েই আপনার থাকার ঘর যেতেই পারে ফিটনেস কর্নারে। ইয়োগা, পিলাটিস বা হালকা ব্যায়াম, সবই করে তোলা যায়।
শুরু করার পরামর্শ
- আপনার রুচি অনুযায়ী বেছে নিনঃ সৃজনমুখী হলে ছবি আঁকা বা বোনা, আর শান্তি ও স্বাস্থ্য পছন্দ হলে গাছ বা যোগ ব্যায়াম।
- ছোট থেকেই শুরু করুনঃ শুধু একটি কর্ণার বা তাক দিয়ে শুরু করুন। ন্যূনতম সেটআপ মানে ন্যূনতম প্রতিশ্রুতি।
- লক্ষ্য নির্ধারণ করুনঃ যেমন একটি ছোটাকিছু ছবি আঁকা, একটি হার্ব গাছ বড় করা, একটি বই পড়া, বা ৩০ দিনের ইয়োগা চ্যালেঞ্জ।
- কমিউনিটিতে যুক্ত হোনঃ ফেসবুক গ্রুপ, বা ইনস্টাগ্রাম পেজ-এ নিজের কাজ দেখান এবং প্রেরণা পান।
- একঘেয়েমী দূর করুনঃ এক সপ্তাহ ছবি আঁকা, পরের সপ্তাহে বই পড়া – এভাবে ইন্টারেস্ট বজায় থাকবে।
প্রয়োজনীয় সামগ্রী বা প্রেরণার জন্য Bikroy ভিজিট করুন – আর্ট কিট, পুরনো বই, ইয়াৰ্ন, পট, ইয়োগা ম্যাট, সকলে এক জায়গায় পাবেন এবং ঢাকাবাসি হবি প্রেমীদের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তুলবেন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
১. কোন শখটি নতুনদের জন্য সবচেয়ে সহজ?
ইনডোর গার্ডেনিং আর বুক জার্নালিং একেবারে শুরুকারীদের জন্য উপযুক্ত। এগুলোতে খুব বেশি প্রস্তুতি লাগে না এবং ধীরে ধীরে শুরু করা যায়।
২. ঢাকার ব্যস্ত জীবনে এসব শখ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী?
পেইন্টিং, যোগব্যায়াম বা বোনা কাজ মানসিক চাপ কমায়, সৃজনশীলতা বাড়ায় এবং মনোযোগ উন্নত করে। এগুলো উদ্বেগ কমাতে সহায়ক।
৩. ঢাকায় বাজেটের মধ্যে শখের উপকরণ কোথায় পাওয়া যায়?
Bikroy থেকে সেকেন্ড-হ্যান্ড বা সাশ্রয়ী মূল্যের জিনিস যেমন বই, আর্ট কিট, ফিটনেস গিয়ার সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়া স্থানীয় বাজার থেকেও কম দামে সুতা, বীজ বা স্কেচবুক কেনা সম্ভব।
৪. পরিবারের সবাইকে কি এসব শখে যুক্ত করা যায়?
অবশ্যই! গার্ডেনিং, হ্যান্ডিক্রাফটস বা ফিটনেস একসাথে করা যায়। এতে পরিবারে একসাথে সময় কাটানো ও সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
৫. ছোট ফ্ল্যাটে কীভাবে নিয়মিতভাবে শখ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব?
বাড়ির এক কোণাকে “হবি কর্নার” বানিয়ে ফেলুন এবং প্রতিদিন অল্প সময় হলেও সেটার জন্য বরাদ্দ করুন। প্রতিদিন মাত্র ১০-১৫ মিনিট দিলেও ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।