কীওয়ে ম্যাগনেট ১০০ স্মার্ট । মোটরসাইকেল রিভিউ
ইদানিং আমাদের দেশে ১০০ সিসির মত কমিউটার বাইক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই বাইকগুলো চালানো যেমন সহজ তেমন হ্যান্ডেল করা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করাও বেশ সহজ। এ ধরণের বাইকের ক্ষেত্রে কীওয়ে ম্যাগনেট ১০০ ভালো চয়েস। এটি দেখতে খুবই স্টাইলিশ এবং স্পোর্টস ধাঁচের। কীওয়ে তাদের ম্যাগনেট ১০০ নিঃসন্দেহে তরুণদের কথা চিন্তা করেই বাজারে এনেছে।
আমি এখানে ম্যাগনেট ১০০–এর ফিচার এবং পারফরম্যান্সগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
- ম্যাগনেট ১০০-এর এসওএইচসি প্রযুক্তির ৪ স্ট্রোক বিশিষ্ট ২ টি এয়ার-কুলড ভাল্ভের সিঙ্গেল সিলিন্ডার রয়েছে।
- এটির ৯৯.৭ সিসি ইঞ্জিন রয়েছে এবং তার অনুপাত ৯.৫:১
- ম্যাক্স পাওয়ার ৫.৫ কিলোওয়াট @ ৭৫০০ আরপিএম
- ম্যাক্স টর্ক ৭.৬ এনএম @ ৫৫০০ আরপিএম
- একটি আকর্ষণীয় কার্বুরেটর এর আছে ৪-স্পীড ট্রান্সমিশন, সিডিআই ইউনিট, ইলেকট্রিক ও কিক স্টার্ট, মাল্টিপ্লেট ওয়েট ক্লাচ
- এটির ফন্ট এবং রিয়ার সাসপেনশন বেশ আকর্ষণীয়। এর সামনে ১১০এমএম ট্র্যাভেলসহ একটি স্প্রিং অয়েল ড্যাম্পড টেলিস্কোপিক কয়েল রয়েছে এবং এর পেছনে রয়েছে স্প্রিং-লোডেড ৬০এমএম ট্র্যাভেল।
- এটির সামনে এবং পেছনে উভয় পাশেই ড্রাম ব্রেকিং সিস্টেম আছে।
- টায়ারগুলো ৯০/৯০-১৭-এর মত বেশ স্লিম।
- এটি ১২ ভোল্ট ৭ এএইচ ব্যাটারী দ্বারা চালিত।
কীওয়ে ম্যাগনেট ১০০ যেভাবে পারফর্ম করে
কীওয়ে যদিও ম্যাগনেট ১০০-কে শহরে চলাচলের জন্য কমিউটার বাইক হিসেবে বাজারে এনেছে, এর শক্তিশালী ছোট মেশিন হাইওয়েতে চলাচলের জন্যও উপযুক্ত। ম্যাগনেট ১০০ এর এফিসিয়েন্ট ফুয়েল কঞ্জাম্পশন ইঞ্জিন দিয়ে প্রতি লিটারে প্রায় ৬০ কি.মি. চলতে পারে। এই মোটরবাইকটির ক্লক ও ফুয়েল গজ ফিচার এবং গিয়ার ইন্ডিকেটরওয়ালা অ্যানালগ আরপিএম মিটারসহ আকর্ষণীয় স্পীড মিটার রয়েছে। ম্যাগনেট ১০০-এর ফুয়েল এফিসিয়েন্সি, থ্রোটল রেসপন্স, পাওয়ার, ব্যালেন্স, ব্রেক এবং ডিউর্যাবিলিটি শহর, হাইওয়ে এবং পাহাড়ি এলাকায় পরীক্ষা করা হয়েছে এবং কোন পরীক্ষায় কোন ধরণের সমস্যা হয়নি। আরও দেখে নিন প্রথম বাইক কেনার আগে যে বিষয়গুলো আপনার জানা প্রয়োজন।
কীওয়ে ম্যাগনেট ১০০ দেখতে যেমন
ম্যাগনেট ১০০-এর ১০০ সিসি সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হেডলাইট রয়েছে, এবং হেডলাইটটি এতোটাই উজ্জ্বল যাতে করে রাইডাররা এর আপার বীমের সাহায্যে বেশ দূর পর্যন্ত খুব সহজেই দেখতে পারে এবং লোয়ার বীম এর শক্তিশালী হ্যালোগেন হেডলাইটের সাহায্যে আপনাকে কাছের অবজেক্ট পরিষ্কার দেখতে সাহায্য করে।
এই সেগমেন্টের মোটরবাইকটির লেড টেইললাইট সবচেয়ে বেশি ড্যাশিং। ম্যাগনেট ১০০-এর ১৬.৬ লিটারের বড় ফুয়েল ট্যাঙ্ক রয়েছে। এর স্যাডেল পজিশন এতোটাই ভালো যে টেস্টিং পিরিয়ডে কোন ধরণের পিঠ ব্যাথা বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়নি। সিট স্মুথ রাইডের জন্য বেশ নরম এবং আরামদায়ক। এর কুল পাইপ হ্যান্ডেল বাইক চালানোর সময় আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। অতিরিক্ত ধুলাবালি থেকে রক্ষার জন্য ম্যাগনেট ১০০-এর চেইনে ডাস্ট কভার লাগানো আছে।
১০০ সিসি কমিউটার সেগমেন্টের ক্ষেত্রে ম্যাগনেট ১০০ ম্যাসকুলার লুক, ফুয়েল এফিসিয়েন্ট ৪ স্ট্রোক বিশিষ্ট স্কয়ের ইঞ্জিনের দুর্দান্ত সাপোর্ট এবং এর ২৩০ এমএম ডিস্ক ও ১৩০ এমএম ড্রাম ব্রেক ফিচারের তুলনায় অন্যান্য ব্র্যান্ডের বাইকের চেয়ে বেশ এগিয়ে আছে।
নোট: এখানে যা যা আলোচনা করা হয়েছে, অবশ্যই চালানোর স্টাইলের উপর ভিত্তি করে আপনার অভিজ্ঞতার ব্যতিক্রম ঘটতে পারে। এখন আপনি একটি বাইক কেনার চিন্তা করে থাকলে আমাদের আরেকটি প্রবন্ধ থেকে দেখে নিন মোটর সাইকেল রাইডারদের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গিয়ার সম্পর্কে।
দেখে নিন আমাদের আরও একটি মোটরবাইক রিভিউঃ Honda CB Hornet 160R রিভিউ
হাজারো মোটরবাইকের বিজ্ঞাপন থেকে আপনার পছন্দের বাইকটি আজই খুঁজে নিতে চাইলে এখনই ভিজিট করুন Bikroy.com.