লেটেস্ট হোন্ডা মোটরবাইকের দামদর
বাংলাদেশে বহু বছর ধরে মোটরবাইক শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে সবার মনে গেঁথে আছে “হোন্ডা” – কেননা বাইকটির ব্যাপক জনপ্রিয়তার ইতিহাসও আজ থেকে বেশ পুরোনো। ১৯৪৬ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে অটোমোবাইল ও মোটরবাইকের মার্কেটে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হয়ে আছে হোন্ডা। এমনকি আজ পর্যন্তও বিশ্বের সেরা মোটরবাইক ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে নিজ জায়গা ধরে রেখেছে এই কোম্পানি।
আপনি যদি সম্প্রতি একটি নতুন মোটরবাইক কেনার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন! আজকের প্রতিবেদনে আমরা এদেশের লোকাল মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে এমন কিছু লেটেস্ট হোন্ডা মোটরবাইকের মডেল ও সেগুলোর দাম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো।
লেটেস্ট হোন্ডা মোটরবাইক গুলো
হোন্ডা সিবিআর ১৫০আর মোটোজিপি – রেপসল
- ইঞ্জিন টাইপ – ৪ স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ডিওএইচসি
- ডিসপ্লেসমেন্ট – ১৪৯.১৬ সিসি
- সর্বোচ্চ পাওয়ার – ১৭.১ পিএস (১৬.৮৭ বিএইচপি) @ ৯০০০ আরপিএম
- সর্বোচ্চ টর্ক/ ঘূর্ণন – ১৪.৪ নিউটন-মিটার (N-m) @ ৭০০০ আরপিএম
- মাইলেজ – ৩৫ কিমি প্রতি লিটার
- কুলিং – ওয়াটার কুলিং
- স্টার্ট করার পদ্ধতি – ইলেকট্রিক ও কিক
- গিয়ার – ৬ স্পিড, ম্যানুয়াল, ১-এন-২-৩-৪-৫-৬
- ফ্রন্ট সাসপেনশন – টেলিস্কোপিক ফর্কস
- ব্যাক সাসপেনশন – প্রো লিংক সাসপেনশন
- ব্রেক করার পদ্ধতি (ফ্রন্ট) – ২৭৬ মি.মি. ডিস্ক (এবিএস)
- ব্রেক করার পদ্ধতি (ব্যাক) – ২২০ মি.মি. ডিস্ক (এবিএস)
হোন্ডার রেপসল সত্যিকার অর্থেই একটি দুর্দান্ত স্পোর্টস বাইক। বাইকটি সর্বপ্রথম প্রকাশ করা হয় মোটোজিপি অর্থাৎ মোটরসাইকেল রেসিং এর গ্র্যান্ড প্রিক্স বা সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আসরে। তাই আপনাদের নিশ্চয়ই বুঝতে বাকি নেই যে এই বাইকটির ভাবসাবই আলাদা। যদিও হোন্ডা রেপসলের অরিজিনাল বাইকগুলো পারফরম্যান্সের দিক থেকে এক কথায় কিংবদন্তি, তবুও টিমটি এক সময় সিদ্ধান্ত নিল যে তারা লোকাল মার্কেট গুলোর জন্য একটু ছোট ১৫০ সিসির ভার্সন তৈরি করবে। আর এভাবেই জন্ম নিল হোন্ডা সিবিআর ১৫০আর মোটোজিপি।
বাইরের দিক থেকে দেখলে এই মোটরবাইকটিতে ফিচার করা হয়েছে একটি উজ্জ্বল নজরকাড়া কমলা ও সাদা রঙয়ের থিম, ঠিক অরিজিনাল রেপসলের মতই। আর এর থেকেই বাইকটিতে একটি অসামান্য স্পোর্টি অনুভব তৈরি হয়েছে। আর ভেতরের দিকে ১৫০আর বাইকটিতে ফিচার করা হয়েছে একটি ডুয়াল চ্যানেল এবিএস এবং একটি নতুন ইমার্জেন্সি ব্রেক লাইট সিস্টেম। যাতে করে লোকাল রাস্তাগুলোতে বাইকটি আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
এছাড়াও সিবিআর ১৫০আর মোটোজিপি বাইকটিতে আপনারা পাবেন ১৩৫ কি.মি. প্রতি ঘন্টার মত জমকালো চূড়ান্ত গতি। আর তাই ১৫০ সিসির রেঞ্জে এই বাইকটি হয়ে উঠেছে অন্যতম সেরা একটি স্পোর্টস বাইক।
বাইকটির দাম বাংলাদেশে মাত্র ৪,৮০,০০০/= টাকা
হোন্ডা সিবিআর ১৫০আর
- ইঞ্জিন টাইপ – ৪ স্ট্রোক, ডিওএইচসি, ৪ ভালভ
- ডিসপ্লেসমেন্ট (সিসি) – ১৪৯.১৬ সিসি
- সর্বোচ্চ পাওয়ার – ১২.৬ কিলোওয়াট @ ৯০০০ আরপিএম
- সর্বোচ্চ টর্ক/ ঘূর্ণন – ১৪.৪ নিউটন-মিটার (N-m) @ ৭০০০ আরপিএম
- মাইলেজ – ৩৮ কি.মি. প্রতি লিটার
- কুলিং – অয়েল কুলিং
- ইগনিশন – ডিসি – ডিজিটাল সিডিআই
- স্টার্ট করার পদ্ধতি – ইলেকট্রিক স্টার্টার
- গিয়ার – ৬, ম্যানুয়াল
- ফ্রন্ট সাসপেনশন – টেলেস্কোপিক
- ব্যাক সাসপেনশন – প্রো লিংক এর সাথে মনো সাসপেনশন
- ব্রেক করার পদ্ধতি (ফ্রন্ট/ ব্যাক) – হাইড্রোলিক ডিস্ক (এবিএস)
সিবিআর ১৫০আর বাইকটি হোন্ডার তালিকায় থাকা আরো এক অসাধারণ স্পোর্টস বাইক। বৃহত্তর সিবিআর ২৫০আর বাইকের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি হয়েছে এই বাইকটি, আর দু’টো বাইকের মধ্যে ডিজাইনে অনেক সাদৃশ্যও রয়েছে। কিন্তু ১৫০আর বাইকটি বিশেষ ভাবে নিত্যদিনের ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে।
যেখানে এই বাইকটিতে রয়েছে আরো বেশি কমপ্যাক্ট একটি ইঞ্জিন, তবুও শহুরে পরিবেশে এটি রাইডারকে একটি অসামান্য রাইডিং অভিজ্ঞতা দিতে পারে। এর অয়েল কুলিং সমৃদ্ধ এফআই ইঞ্জিন গ্রাহকদের দেবে স্বতঃস্ফূর্ত পারফরম্যান্স। আবার এর অ্যাডজাস্টেবল সাসপেনশন এবং ডুয়াল চ্যানেল এবিএস বাইকটিতে উচ্চতর হ্যান্ডেলিং-এর দক্ষতা যোগ করেছে।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, সিবিআর ১৫০আর বাইকটি ৩৮ কি.মি. প্রতি লিটার মাইলেজের সাথে দুর্দান্ত ১৩৪ কি.মি. প্রতিঘন্টা পর্যন্ত স্পিড দিতে পারে। আর তাই আপনি যদি জ্বালানি দক্ষতা আর উচ্চতর পারফরম্যান্স এক সাথে উপভোগ করতে চান, তাহলে এই বাইকটি আপনার জন্য দারুণ একটি অপশন হতে পারে।
সিবিআর ১৫০আর বাইকটি হোন্ডার একটি অগ্রগামী প্রযুক্তির স্পোর্টস বাইক, যা ইয়ামাহা আর১৫ ভি৩ এবং সুজুকি জিএসএক্স আর১৫০ -এর মত প্রতিদ্বন্দ্বী বাইকগুলোকে খুব সহজেই পেছনে ফেলে দিতে পারে।
বাইকটির দাম বাংলাদেশে মাত্র ৪,৫০,০০০/= টাকা
হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর এবিএস
- ইঞ্জিন টাইপ – সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ২ ভালভ, ৪ স্ট্রোক, এসআই বিএস-৪ ইঞ্জিন
- ডিসপ্লেসমেন্ট (সিসি) – ১৬২.৭ সিসি
- সর্বোচ্চ পাওয়ার – ১৪.৯ বিএইচপি @ ৮৫০০ আরপিএম
- সর্বোচ্চ টর্ক/ ঘূর্ণন – ১৪.৫ নিউটন-মিটার (N-m) @ ৬৫০০ আরপিএম
- মাইলেজ – ৫৯ কি.মি. প্রতি লিটার
- কুলিং – এয়ার কুলিং
- ইগনিশন – কার্বুরেটর
- স্টার্ট করার পদ্ধতি – সেলফ/ কিক স্টার্ট
- গিয়ার – ৫
- ফ্রন্ট সাসপেনশন – টেলেস্কোপিক
- ব্যাক সাসপেনশন – মনোশক
- ব্রেক করার পদ্ধতি (ফ্রন্ট) – ২৭৬ মি.মি. ডিস্ক
- ব্রেক করার পদ্ধতি (ব্যাক) – ২২০ মি.মি. ডিস্ক
সিবি হর্নেট ১৬০আর বাইকটিতে ফিচার করা হয়েছে শক্তিশালী ট্যাংক ডিজাইন, স্পোর্টি স্পিডোমিটার, চৌকষ গড়ন এবং এতে সামগ্রিকভাবে একটি তেজস্বী ছাপ ফুটে উঠেছে। এতে রয়েছে হোন্ডার অনন্য ‘এক্স’ ডিজাইনের টেইল ল্যাম্প, যা বাইকটিকে সবার মধ্যে করে তুলবে আলাদা। হোন্ডার রেঞ্জের মধ্যে তুলনামূলক স্পোর্টি স্টাইলের মোটরবাইকগুলোর মধ্যে হর্নেট ১৬০আর অন্যতম – এর ভেতরের শক্তিশালী ১৬০ সিসি ইঞ্জিন এবং বাহ্যিক ডিজাইন একে অপরের পারফেক্ট পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।
বর্তমানে এই বাইকটি বিভিন্ন রকম রূপে পাওয়া যাচ্ছে – যেমন রঙের দিক থেকে, তেমনি এর ব্রেকিং সিস্টেমের ধরণে। হোন্ডা আপনাকে এই বাইকে স্ট্যান্ডার্ড ব্রেক সেটআপ, সিবিএস কিংবা এবিএস সিস্টেম ইত্যাদির মধ্যে থেকে বেছে নেয়ার অপশন দিচ্ছে, যার কারণে এই বাইকটি অবিশ্বাস্য রকম বহুমুখী হয়ে উঠেছে। আপনার যাত্রাপথ যেমনই হোক না কেন, বাইকটির পারফরম্যান্স হবে মসৃন ও দুর্দান্ত – ঢাকা শহরের অনিশ্চিত রাস্তায় রাইড করার জন্য এটা নিঃসন্দেহে একটি কুশলী ফিচার।
বাইকটির দাম বাংলাদেশে মাত্র ২,৫৫,০০০/= টাকা
হোন্ডা এক্স-ব্লেড
- ইঞ্জিন টাইপ – সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ২ ভালভ
- ডিসপ্লেসমেন্ট (সিসি) – ১৬২.৭ সিসি
- সর্বোচ্চ পাওয়ার – ১৩.৯৩ বিএইচপি @ ৮৫০০ আরপিএম
- সর্বোচ্চ টর্ক/ ঘূর্ণন – ১৩.৯ নিউটন-মিটার (N-m) @ ৬০০০ আরপিএম
- মাইলেজ – ৪৫ কি.মি. প্রতি লিটার
- কুলিং – এয়ার কুলিং
- স্টার্ট করার পদ্ধতি – সেলফ/ কিক স্টার্ট
- গিয়ার – ৫
- ফ্রন্ট সাসপেনশন – টেলেস্কোপিক
- ব্যাক সাসপেনশন – মনোশক
- ব্রেক করার পদ্ধতি (ফ্রন্ট) – ২৭৬ মি.মি. ডিস্ক
- ব্রেক করার পদ্ধতি (ব্যাক) – ১৩০ মি.মি. ড্রাম
এ তালিকার অন্যান্য যেকোন বাইকের তুলনায় হোন্ডা এক্স-ব্লেড বাইকটি তুলনামূলকভাবে নতুন। এই মডেলটির পূর্বপুরুষ হচ্ছে সিবি হর্নেট ১৬০আর – যার অনুপ্রেরণায় একে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এই মডেলটির ডিজাইন আরো বেশি স্টাইলিশ এবং এতে রয়েছে আরো স্মার্ট প্রযুক্তির ছোঁয়া। এই মডেলটিতে প্রাণ দেয়ার জন্য হোন্ডার সিগনেচার এইচইটি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা আপনাদের দেবে উচ্চমাত্রার পাওয়ার ও টর্ক।
বর্তমানে এক্স-ব্লেড মডেলটি স্ট্যান্ডার্ড ব্রেক সিস্টেম সহ পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু এই বছরের মধ্যেই নিশ্চিতভাবে মার্কেটে এর একটি নতুন এবিএস ভার্সন চলে আসবে। ব্রেকের কথা না হয় বাদই দিলাম, এই বাইকটিতে ফিচার করা হয়েছে সামগ্রিকভাবে একটি চৌকস স্টাইল, আরো চওড়া টায়ার, একটি ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল এবং বেশি আরাম – সুজুকি জিক্সার এবং বাজাজ পালসার এনএস ১৬০ এর মত বাইকগুলোর সাথে সহজেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে এক্স-ব্লেড।
বাইকটির দাম বাংলাদেশে মাত্র ১,৭২,৯০০/= টাকা
হোন্ডা ডিও
- ইঞ্জিন টাইপ – সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ২ ভালভ, ৪ স্ট্রোক, এসআই ইঞ্জিন
- ডিসপ্লেসমেন্ট (সিসি) – ১০৯.১৯ সিসি
- সর্বোচ্চ পাওয়ার – ৮ বিএইচপি @ ৭০০০ আরপিএম
- সর্বোচ্চ টর্ক/ ঘূর্ণন – ৮.৯১ নিউটন-মিটার (N-m) @ ৫৫০০ আরপিএম
- মাইলেজ – ৫৫ কি.মি. প্রতি লিটার (কম্বাইনড)
- কুলিং – ফ্যান কুলিং
- ইগনিশন – কার্বুরেটর
- স্টার্ট করার পদ্ধতি – সেলফ/ কিক স্টার্ট
- ক্লাচ – ভি – ম্যাটিক
- সাসপেনশন (ফ্রন্ট/ ব্যাক) – স্প্রিং লোডেড হাইড্রোলিক টাইপ
- ব্রেক করার পদ্ধতি (ফ্রন্ট) – ১৩০ মি.মি. ড্রাম
- ব্রেক করার পদ্ধতি (ব্যাক) – ১৩০ মি.মি. ড্রাম (সিবিএস)
নিজস্ব রেঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে লেটেস্ট স্কুটার হচ্ছে হোন্ডা ডিও। এতে সংযুক্ত করা হয়েছে একটি বিএস-৪ বংশোদ্ভূত এসআই ইঞ্জিন এবং অটো হেডল্যাম্প অন (এএইচও) ফিচার। পারফরম্যান্সের দিক থেকে যতটুকু অভাব আপনাদের অনুভব হবে, তা পুষিয়ে নেয়ার জন্য আরাম ও ব্যবহারের স্বাচ্ছন্দ্যের দিক থেকে এটি আপনাকে সন্তুষ্ট করেই ছাড়বে। একজন নতুন ইউজার কিংবা একজন নারী রাইডারের জন্য এটি একটি পারফেক্ট দুই চাকার বাহন।
হোন্ডা ডিও হচ্ছে একটি ট্রেন্ডি বাইক, যাতে পছন্দ করার জন্য আপনারা পাবেন বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন রঙের সংগ্রহ। যে সব রাইডাররা তাদের নিত্যদিনের যাত্রায় কিছুটা রঙের ছোঁয়া পেতে চান, তাদের জন্য ভালো একটা সমাধান ডিও। এই মডেলটি বর্তমানে স্পোর্টস রেড (স্পোর্টি লাল), ভাইব্রেন্ট অরেঞ্জ (উজ্জ্বল কমলা), ম্যাট অ্যাক্সিস গ্রে (ধাতব ধূসর), ম্যাট মার্শাল গ্রিন (সৈনিক সবুজ), ক্যান্ডি জ্যাজি ব্লু (জমকালো নীল), পার্ল স্পোর্টস ইয়োলো (স্পোর্টি হলুদ), পার্ল ইগনিয়াস ব্ল্যাক (আগ্নেয় কালো) এবং ড্যাজেল ইয়োলো (সোনালী হলুদ) এই আকর্ষণীয় রঙগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে।
বাইকটির দাম বাংলাদেশে মাত্র ১,৪২,৯০০/= টাকা
হোন্ডা সিবি শাইন এসপি
- ইঞ্জিন টাইপ – সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ২ ভালভ, ৪ স্ট্রোক, এসআই ইঞ্জিন
- ডিসপ্লেসমেন্ট (সিসি) – ১২৫ সিসি
- সর্বোচ্চ পাওয়ার – ১০.১৬ বিএইচপি @ ৭৫০০ আরপিএম
- সর্বোচ্চ টর্ক/ ঘূর্ণন – ১০.৩ নিউটন-মিটার (N-m) @ ৫৫০০ আরপিএম
- চূড়ান্ত গতি/ স্পিড – ৮৬ কি.মি. প্রতি ঘন্টা (আনুমানিক)
- মাইলেজ – ৬৫ কি.মি. প্রতি লিটার
- কুলিং – এয়ার কুলিং
- ইগনিশন – কার্বুরেটর
- স্টার্ট করার পদ্ধতি – সেলফ/ কিক স্টার্ট
- গিয়ার – ৫
- ফ্রন্ট সাসপেনশন – টেলেস্কোপিক
- ব্যাক সাসপেনশন – স্প্রিং লোডেড হাইড্রোলিক টাইপ
- ব্রেক করার পদ্ধতি (ফ্রন্ট) – ২৪০ মি.মি. ডিস্ক
- ব্রেক করার পদ্ধতি (ব্যাক) – ১৩০ মি.মি. ড্রাম
হোন্ডা সিবি শাইন একটি দুর্দান্ত ১২৫ সিসি যাত্রী বাইক, যা রাইডারদের কাছে এর পারফরম্যান্স ও দক্ষতার জন্য সুপরিচিত। বাইকটির নতুন এসপি ভার্সন হচ্ছে একটি প্রিমিয়াম যাত্রী বাইক, যাতে সংযোগ করা হয়েছে একটি সংশোধিত ট্যাংক ডিজাইন। বাইকটির বাইরের দিকে ব্যবহার করা হয়েছে বর্ধিত আবরণ এবং বডি ডিক্যালের একটি নতুন সেট।
এছাড়াও এই মডেলটিতে সংযোগ করা হয়েছে একটি আপডেট করা অ্যানালগ-ডিজিটাল যান্ত্রিক কনসোল, যার মধ্যে একটি ঘড়ি এবং সার্ভিস ইনডিকেটর রয়েছে। এই তালিকার অন্যান্য সিসি রেঞ্জের মধ্যে যেসব বাইক রয়েছে, তাদের তুলনায় সিবি শাইন এসপি ব্যবহারকারীদের অফার দিচ্ছে আরো ভালো মাইলেজের সাথে অসাধারণ পারফরম্যান্স।
সিবি শাইন এসপি বর্তমানে ৫টি ভিন্ন রঙের অপশনে পাওয়া যাচ্ছেঃ কালো, ইম্পেরিয়াল রেড, পার্ল সাইরেন ব্লু, অ্যাথলেটিক ব্লু এবং মেটাল গ্রে।
বাইকটির দাম বাংলাদেশে মাত্র ১,২৬,৯০০/= টাকা
হোন্ডা লিভো
- ইঞ্জিন টাইপ – ৪ স্ট্রোক, বিএস-৪ ইঞ্জিন
- ডিসপ্লেসমেন্ট (সিসি) – ১০৯.১৯ সিসি
- সর্বোচ্চ পাওয়ার – ৬.১০ কিলোওয়াট (৮.৩১ বিএইচপি) @ ৭৫০০ আরপিএম
- সর্বোচ্চ টর্ক/ ঘূর্ণন – ৯.০৯ নিউটন-মিটার (N-m) @ ৫০০০ আরপিএম
- মাইলেজ – ৬৫ কি.মি. প্রতি লিটার
- কুলিং – এয়ার কুলিং
- ইগনিশন – কার্বুরেটর
- স্টার্ট করার পদ্ধতি – সেলফ/ কিক
- গিয়ার – ৪ গতির গিয়ার, ম্যানুয়াল
- ক্লাচ – ওয়েট, মাল্টি প্লেট
- ফ্রন্ট সাসপেনশন – টেলেস্কোপিক
- ব্যাক সাসপেনশন – স্প্রিং লোডেড হাইড্রোলিক
- ব্রেক করার পদ্ধতি (ফ্রন্ট) – ১৩০ মি.মি. ড্রাম/ ২৪০ মি.মি. ডিস্ক
- ব্রেক করার পদ্ধতি (ব্যাক) – ১৩০ মি.মি. ড্রাম
হোন্ডা লিভো বাইকটির ইঞ্জিনে যোগ হয়েছে হোন্ডা ইকো টেকনোলজি (এইচইটি) সিস্টেম, যা এই মডেলটিকে সর্বোচ্চ মাত্রায় পাওয়ার এবং টর্ক অর্জন করতে সহায়তা করে।
নান্দনিকতার দিক থেকে লিভো বাইকটি দেখতে এর বডি বিল্ডার স্পোর্টি ভাইদের তুলনায় অনেক বেশি বেশি মার্জিত মনে হবে। এই বাইকটির হ্যান্ডেল বার ও ফুটপেগের অবস্থান বেশ কাছাকাছি হওয়ায় রাইডারকে দারুণ আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্য দেয়। নিত্যদিনের রাইডার ভাইদের জন্য তাই এটি একটি অসাধারণ পছন্দের বাইক হয়ে উঠেছে।
এই মডেলটি বাজারে বেশ কয়েকটি কালার কম্বিনেশনে পাওয়া যাচ্ছে – বেশির ভাগ কালো রঙের বডির উপর বিপরীত রঙের একটি রেখা থাকে, যেমন উজ্জ্বল নীল, লাল, ধূসর কিংবা বাদামী। এর অন্যান্য স্পোর্টি ভাইদের থেকে মার্জিত যাত্রী বাইক লিভো একটি দিক থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আর তা হলো যে এই বাইকটি বাকি সব কিছুর চেয়ে ব্যবহারযোগ্যতা এবং বাস্তবসম্মত ডিজাইনকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
বাইকটির দাম বাংলাদেশে মাত্র ১,১৬,০০০/= টাকা
হোন্ডা ড্রিম নিও
- ইঞ্জিন টাইপ – ৪ স্ট্রোক, বিএস-৪ ইঞ্জিন
- ডিসপ্লেসমেন্ট (সিসি) – ১০৯.১৯ সিসি
- সর্বোচ্চ পাওয়ার – ৮.২৫ বিএইচপি @ ৭৫০০ আরপিএম
- সর্বোচ্চ টর্ক/ ঘূর্ণন – ৮.৬৩ নিউটন-মিটার (N-m) @ ৫৫০০ আরপিএম
- চূড়ান্ত গতি/ স্পিড – ৮৬ কি.মি. প্রতি ঘন্টা
- মাইলেজ – ৭৪ কি.মি. প্রতি লিটার
- কুলিং – এয়ার কুলিং
- ইগনিশন – কার্বুরেটর
- স্টার্ট করার পদ্ধতি – সেলফ/ কিক স্টার্ট
- গিয়ার – ৪
- ক্লাচ – ওয়েট, মাল্টি প্লেট
- ফ্রন্ট সাসপেনশন – টেলেস্কোপিক ফর্ক
- ব্যাক সাসপেনশন – স্প্রিং লোডেড হাইড্রোলিক
- ব্রেক করার পদ্ধতি (ফ্রন্ট/ ব্যাক) – ড্রাম ১৩০ মি.মি.
আমাদের তালিকায় হোন্ডার রেঞ্জের সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও সাধ্যের মধ্যে বাইক হচ্ছে হোন্ডা ড্রিম নিও। কিন্তু আর যাই হোক, দাম দেখে হতাশ হবেন না যেনো! ড্রিম নিও বাইকটি এর অসামান্য ৭৪ কি.মি. প্রতি লিটার মাইলেজের সাথে রাইডারদের অফার করছে দারুণ কোয়ালিটি এবং পারফরম্যান্স। এই বাইকটির সাথে জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয় করার পাশাপাশি আপনারা নিশ্চিত ভাবে পাবেন একটি অসাধারণ রাইডিং অভিজ্ঞতা।
ড্রিম নিও বর্তমানে ৪টি ভিন্ন ভিন্ন রঙের অপশনে পাওয়া যাচ্ছে – রয়্যাল রেড, মেটাল গ্রে এবং ব্ল্যাক অ্যান্ড রেড কিংবা ব্লু স্ত্রা স্ট্রাইপ।
বাইকটির দাম বাংলাদেশে মাত্র ৯৭,০০০/= টাকা
তাহলে কোন বাইকটি কিনবেন?
আজ আমাদের তালিকায় উল্লেখ করা প্রত্যেকটি হোন্ডা বাইকই ভিন্ন ভিন্ন তাৎপর্য বহন করে।
সিবিআর ১৫০আর এবং এর মোটোজিপি ভার্সনের মত উচ্চ সারির দামি বাইকগুলো রেঞ্জের সেরা স্পোর্টস বাইকের মত সার্ভিস দেয়, অর্থাৎ দুর্দান্ত গতি এবং সর্বোচ্চ মানের পারফরম্যান্স অফার করে। যেসব রাইডাররা প্রথম শ্রেণীর বাইক কিনতে চান, যেগুলো তাদের রাইডিং দক্ষতা জাহির করার সুযোগ তৈরি করে দেবে, তাদের জন্য এই মোটরবাইকগুলো এক কথায় দারুণ।
অপরদিকে লিভো এবং ড্রীম নিও এর মত সাশ্রয়ী মূল্যের বাইকগুলো গ্রাহকদের আরাম এবং ভালো মাইলেজ অফার করছে। এই বাইকগুলো নিত্যদিনের পথে যাত্রার জন্য পারফেক্ট এবং যাদের বাজেট কিছুটা কম তাদের জন্য একটি অসাধারণ প্রাথমিক বাইক।
এই দু’য়ের মাঝামাঝি মধ্য সারির বাইকগুলো পারফরম্যান্স এবং সামর্থ্যের একটি ভালো কম্বিনেশন অফার করে। সিবি হর্নেটের মত বাইকগুলো রাইডারদের যেকোন ধরণের রাস্তা বা এলাকায় খুব সহজে ভ্রমণ করার স্বাধীনতা দেয়। বাংলাদেশের রাস্তায় রাইডিং করছেন এমন যেকোনো মোটরবাইক মালিকের কাছে এর চেয়ে বড় আকর্ষণের ব্যাপার আর কি হতে পারে?
আপনার প্রয়োজন কেমন এবং পরবর্তী মোটরবাইকের জন্য আপনি ঠিক কতখানি খরচ করার চিন্তা করছেন, তার উপর আপনার সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে।
আশা করি আমাদের এই প্রতিবেদনটি আপনাকে জেনে বুঝে একটি ভালো সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারবে।
বাংলাদেশের লেটেস্ট হোন্ডা মোটরবাইক গুলোর দাম জানা বা যাচাই করার জন্য Bikroy.com -এর মার্কেটপ্লেস তো রয়েছেই! এই মূহুর্তে বিক্রি হবে এমন বাইক সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করুন – আর খুঁজে নিন সারা দেশের বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে অফার করা নতুন কিংবা ব্যবহৃত সব ধরণের শত শত মোটরবাইকের বিজ্ঞাপন।
গ্রাহকদের নিয়মিত কিছু প্রশ্নের উত্তর
কোথায় কিনতে পারব হোন্ডা মোটরবাইক?
সারা দেশ জুড়ে হোন্ডার অনেক অফিশিয়াল ডিলার রয়েছেন। হোন্ডার বাংলাদেশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ব্রাউজ করে তাদের শো-রুম গুলোর ঠিকানা ও অবস্থান খুঁজে পাবেন খুব সহজেই।
তবে আপনি যদি অফিশিয়াল কোন ডিলারের শো-রুমের থেকে বেশ দূরে কোথাও থাকেন, তাহলে Bikroy.com থেকে যেকোনো সময় হোন্ডা মোটরবাইক কিনতে পারবেন। এখানে আপনার সুবিধার জন্য আপনার কাছাকাছি এলাকায় নতুন কিংবা ব্যবহৃত সব ধরণের বাইকের জন্য ডিলার খুঁজে পাবেন!
হোন্ডা মোটরবাইকগুলোর জন্য কোন রকম ইএমআই সার্ভিস অফার করা হয় কি?
এই মূহুর্তে হোন্ডা বাইকের উপর কোনও ধরণের ইএমআই সার্ভিসের অফার নেই। কিন্তু আপনারা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বাইক লোন নিতে পারবেন; এরকম সার্ভিস আজকাল অনেক ব্যাংকই দিচ্ছে।
বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বাইক লোন অফার করছে। বাইকের অরিজিনাল দামের ৮০% পর্যন্ত আপনারা লোন নিতে পারবেন। এরপর সেটা ১২% -এর মত বাৎসরিক ইন্টারেস্টে ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত কিস্তিতে পরিশোধ করার অপশন রয়েছে।
হোন্ডার এই মোটরবাইক গুলোতে কোন ওয়ার্যান্টি আছে কি?
ফ্ল্যাগশিপ শো-রুম থেকে কেনা একেকটি হোন্ডা মোটরবাইকে প্রথম ২০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত ওয়ার্যান্টি কিংবা ২ বছর পর্যন্ত ওয়ার্যান্টি দেয়া হয় – দু’টোর মধ্যে যেকোনো একটা আগে ঘটা পর্যন্ত ওয়ার্যান্টি সুবিধা পাওয়া যাবে। হোন্ডার ডিলার সার্ভিস সেন্টার গুলো থেকে আপনারা ওয়ার্যান্টি সার্ভিস নিতে পারবেন।
আমার মোটরবাইকের জন্য হোন্ডার কাছ থেকে কি ধরণের সার্ভিসিং সুবিধা পেতে পারি?
ওয়ার্যান্টির অংশ হিসেবে আপনি সাময়িক ভাবে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মেইনটেন্যান্স সুবিধা পাবেন। হোন্ডা মূলত ৪ টি ফ্রি সার্ভিস কুপন অফার দিয়ে থাকে, যেগুলো প্রথম বছর পর্যন্ত সক্রিয় থাকে।
বাইক ওয়াশ, অ্যাডজাস্ট করা, পরিবর্তন করা এবং পার্টসগুলোতে লুব্রিকেন্ট দেয়া ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের সার্ভিস তারা অফার করে থাকেন (নতুন পার্টস এবং লুব্রিকেন্টের দাম আপনাকে আলাদাভাবে দিতে হবে)।