মাইক্রোসফট-এর নতুন সারফেস প্রো
https://www.youtube.com/watch?v=TwWs2jIy4js&list=WL&index=68
সারফেস প্রো-এর তিনটি সিপিইউ কনফিগারেশন বাজারে পাওয়া যাবে, যা হলো- 7th Generation Kaby Lake Intel Core m3 (Intel® HD Graphics 615 সহ), i5 (Intel® HD Graphics 620 সহ) অথবা i7 (Intel® Iris™ Plus Graphics 640 সহ)। m3 এবং i5 মডেলগুলোতে ফ্যান না থাকায় এরা বেশ নিঃশব্দ (সারফেস প্রো ৪ এর উল্টো), আর i7 মডেলটিতে ফ্যান রয়েছে। যেহেতু অনেক ফিচারে পরিবর্তন এসেছে সেহেতু সারফেস প্রো দৈনিক ১৩.৫ ঘণ্টা পর্যন্ত চার্জ ধরে রাখবে বলে মাইক্রোসফট এর দবি, যা সারফেস প্রো ৪-এর দ্বিগুন বেশি সময়। Kaby Lake প্রসেসর সারফেস প্রো-কে সারফেস প্রো ৩-এর চেয়ে ২.৫ গুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন করে তুলেছে। এই প্রসেসরগুলোতে ৪ জিবি, ৮ জিবি এবং ১৬ জিবি র্যামের অপশন সহ ১২৮ জিবি, ২৫৬ জিবি, ৫১২ জিবি এবং ১ টিবি এসএসডি স্টোরেজ অপশন আছে।
ডিজাইনের ক্ষেত্রে তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি। ব্যবহারের সুবিধার কথা ভেবে ডিভাইসটির বাইরের দিকে সুক্ষ্ম এয়ার ভেন্ট এবং কিনারগুলো গোলাকার রাখা হয়েছে। এতে রয়েছে একটি মাত্র ইউএসবি ৩.০ পোর্ট, একটি মিনি ডিসপ্লে পোর্ট, ৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক, মাইক্রো এসডিএক্সসি পোর্ট এবং চার্জ দেয়ার জন্য সারফেস কানেক্ট পোর্ট। এতে ইউএসবি-সি নেই, যা কিনা একটি চোখে পরার মত সমস্যা। কিন্তু মাইক্রোসফট-এর মতে ইউএসবি সি এই যুগে বেশ নিম্ন মানের। আগের ভার্সনগুলোর চেয়ে এই ভার্সনটির কিকস্ট্যান্ড যথেষ্ট উন্নত এবং এটি ১৬৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বাঁকানো সম্ভব, মাইক্রোসফট একে বলছে “স্টুডিও মোড”। তাদের মতে কিকস্ট্যান্ডটি যথেষ্ট মজবুত যা বারবার বাঁকিয়ে ব্যবহার করলেও নষ্ট হবে না; তাদের কাছে ট্র্যাক রেকর্ড আছে এ ব্যাপারে। এই ব্যাখ্যাটির উপর আমরাও আস্থা রাখতে পারি।
উন্নত প্রোডাক্টিভিটির জন্য ডিসপ্লেটির অ্যাস্পেক্ট রেশিও দেয়া হয়েছে ৩:২। ১২.৩ ইঞ্চি পিক্সেলসেন্স ডিসপ্লের রেজোলুশন ২৭৩৬ x ১৮২৪ এবং পিক্সেল ডেন্সিটি ২৬৭ পিপিআই। এটি ১০ পয়েন্ট মাল্টিটাচ সাপোর্ট করে। এটি ৯৯ ডলারের নতুন সারফেস পেনের সাথে কম্প্যাটিবল; এটি আলাদাভাবে মার্কেট থেকে কিনতে হবে এবং এটি টিল্ট ফাংশনালিটি ও ৪০৯৬ লেভেলের প্রেশার সেন্সিভিটি সাপোর্ট করে। আগের জেনারেশনের সারফেস পেনগুলোও এতে ব্যবহার করা যাবে। সারফেস ডায়াল, যা সারফেস স্টুডিওর সাথে অফার করা হয়েছিল তা-ও এই ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা যাবে।
নতুন সারফেস প্রো-এর কী-বোর্ড ডী-টাচ করা যায় না। আগে কীবোর্ডটি আলাদাভাবে ১৫৯.৯৯ ডলারে কিনতে হতো এবং এতে আগের প্লাস্টিক টপের পরিবর্তে অ্যাল্কান্টারা ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফ্যাব্রিকটি অনেক আরামদায়ক তবে এটি সময়ের সাথে ব্যবহারে ময়লা হয়ে যাবে এবং এটি পরিষ্কার করারও কোন ভালো উপায় নেই। অ্যাল্কান্টারা ফ্যাব্রিক ছাড়া ১২৯ ডলারের একটি কালো কী-বোর্ড কভারও পাওয়া যায়। কীগুলো এলইডি ব্যাকলিটেড এবং ট্র্যাকপ্যাডটি কাঁচের তৈরি যাতে মাইক্রোসফট প্রিসিশন ড্রাইভার রয়েছে।
এতে একটি ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা রয়েছে যা ১০৮০ পিক্সেল ভিডিও রেকর্ড সাপোর্ট করে এবং উইন্ডোস হ্যালো-এর সিকিউরিটি এন্ট্রি হিসেবে কাজ করে। পেছনের ক্যামেরাটি ৮ মেগাপিক্সেল এবং এটিও ১০৮০ পিক্সেল ভিডিও রেকর্ড করতে পারে। অডিও শুনতে দারুণ কারণ এতে রয়েছে ডুয়াল মাইক এবং ১.৬ ওয়াটের স্টিরিও ডলবি অডিও প্রিমিয়াম স্পীকার।
নতুন সারফেস প্রো-এর দাম শুরু ৭৯৯ ডলার থেকে যাতে থাকছে Core m3 মডেলের সাথে ১২৮ জিবি এসএসডি এবং ৮ জিবি র্যাম। Core i7 এর ১ টেরাবাইট এসএসডি এবং ১৬ জিবি র্যাম ভার্সনের মূল্য ২৬৯৯ ডলার। এটি প্লাটিনাম, বারগেন্ডি, কোবাল্ট ব্লু এবং কালো এই চারটি ভিন্ন রঙে বাজারে আসবে। এবং এতে থাকবে নতুন উইন্ডোস ১০ ক্রিয়েটর আপডেট।