পুরাতন গাড়ি কেনার পর প্রথমেই যে কাজ গুলো করবেন।
আপনি যদি প্রথমবারের মত ঢাকায় গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেন তবে সেক্ষেত্রে আপনার পক্ষে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি বেছে নেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি অথবা রিকন্ডিশন করা গাড়ি কেনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করার আর্থিক সামর্থ্য এদেশে খুব কম মানুষেরই আছে। প্রথমবারের মত যারা গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেন তারা সাধারণত ৯০ দশকের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ের গাড়ির মডেলগুলো বেছে নেন। Bikroy-এর মত ওয়েবসাইটগুলোতে তারা এ সমস্ত মডেলের সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি খোঁজ করে থাকেন। এতে করে কিছু সমস্যা দেখা দেয় – চালানোর অদক্ষতা এবং অজ্ঞতা পুরানো গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে নানা রকমের সমস্যায় ফেলে। কেনার পর গাড়ি যখন অসুবিধামূলক প্রতিকূল ব্যবহার করতে শুরু করে তখন তা ব্যবহারকারীকে একটা অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দেয়। তবে সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি কেনার পরপরই আপনি যদি নিয়ম মেনে কিছু কাজ করতে পারেন তবে গাড়িটি আপনাকে দিতে পারে দীর্ঘমেয়াদি সার্ভিস এবং একই সাথে গাড়ি চালানো এবং রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রেও আপনাকে দিতে পারে এক ধরণের ঝামেলাহীন নিশ্চয়তা।
অনেক শখ করে পছন্দ করা ব্যবহৃত গাড়িটি কিনেই আপনাকে প্রথমে যা করতে হবে তা হল – নির্দিষ্ট বাজেট নির্ধারণ করা। কেনার পর গাড়ির কি কি ছোট খাটো পরিবর্তন আনা প্রয়োজন তার হিসেব করে একটি বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। বাজেট তৈরি করলে আপনার গাড়ির কি কি মেরামত করতে হবে তা সম্পর্কে আপনি একটি যথাযথ ধারণা পাবেন এবং গুরুত্ব অনুযায়ী মেরামত করার তালিকা সাজাতে পারবেন। গাড়ির অন্যান্য সরঞ্জাম বদলানোর জন্য বাজেট বৃদ্ধি এবং গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কি কি খরচ প্রয়োজন পরবে এ সমস্ত কিছুর ধারণা বাজেট তৈরির মাধ্যমে আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন। গুরুত্ব অনুযায়ী ক্রমানুসারে আপনি গাড়ির মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজগুলো ধীরে ধীরে সেরে ফেলতে পারবেন।
ব্যবহৃত গাড়িটির সমস্ত মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ যদি একটি নির্দিষ্ট ওয়ার্কশপেই সবসময় করা হয় তবে খুবই ভাল। আপনার গাড়িটি মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি ভাল ওয়ার্কশপ খুঁজে নিন, আশেপাশের গাড়ি ব্যব্যহারকারীদের কাছ থেকে খোঁজ নিন, গাড়ির ব্যাপারে বিজ্ঞ এমন কোন ব্যাক্তির সাহায্য নিন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিন। জেনে রাখা ভাল যে ফেসবুকে গাড়ি সংক্রান্ত দেশি-বিদেশি অনেক গ্রুপ রয়েছে যেখান থেকে আপনি সহজে এবং স্বল্প সময়েই গাড়ি মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাবেন। আপনার কাঙ্ক্ষিত এবং নির্ভরযোগ্য ওয়ার্কশপটি খুঁজে পাবার পর সেখানে আপনি ব্যবহৃত গাড়িটির মেশিন এবং সবগুলো চাকা খোলাবেন যাতে করে গাড়ির ব্রেক, সাসপেন্সন, শক এবং স্প্রিংস, স্টিয়ারিং, হুইল বেয়ারিংস, গিয়ারবক্স এবং আরও অন্যান্য পার্টস আপনি নীরিক্ষা করতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রথম চাকাটি খোলার পরই আপনি জমে থাকা পোকার স্তর পাবেন যেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। ৯০ দশকের গাড়ির মডেল যত ভালই হোক হুইল বেয়ারিংস, সিভি জয়েন্ট এবং সাসপেন্সন (বল জয়েন্টস, নাকল জয়েন্টস, টাই রডস, বিভিন্ন ধরণের বুশিং) – এই পার্টসগুলো নীরিক্ষা করা অত্যাবশ্যক। যদি কোন পার্টস বদলানোর প্রয়োজন হয় তবে রিকন্ডিশন্ড পার্টসগুলো বাংলা মোটর এবং ধোলাইখাল থেকে কেনা উত্তম। সাশ্রয় এবং ব্যবহারোপযোগীতার কথা চিন্তা করলে রিকন্ডিশন্ড পার্টসের ইতিবাচক দিকগুলোই বেশি। রিকন্ডিশন্ড পার্টস কেনার সময় এমন কাউকে সাথে রাখুন যে গাড়ির পার্টসের ব্যাপারে অভিজ্ঞ এবং যে কিনা আপনার হয়ে পার্টসের গুণগত মান ভালভাবে নীরিক্ষা করে নিতে পারবে। যদি এমন কেউ না থাকে তবে আপনি নিজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে গাড়ির পার্টস সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে নিতে পারেন, আজকাল ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় না এমন কিছু নেই বললেই চলে। আপনার গাড়ির মেকানিককে পার্টস কিনতে যাবার সময় সাথে না নেয়ার চেষ্টা করবেন। তবে আপনি যদি পার্টস স্টোরগুলোতে অযৌক্তিক পয়সা খসাতে রাজি থাকেন তবে ভিন্ন কথা। ঢাকার মেকানিকরা সাধারণত প্রত্যেকটি পার্টসের ক্রয়মুল্য থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কমিশন হিসেবে লাভ করে থাকে। আপনি যদি পার্টসের গুণগত মান নিয়ে নিশ্চিত থাকার জন্য ব্র্যান্ড নিউ পার্টস কিনতে চান তবে জেনে রাখুন এখন পর্যন্ত এদেশে তেমন কেউই আসল ব্র্যান্ড নিউ পার্টস ব্যবহার করার সৌভাগ্য অর্জন করেননি। জেনে রাখা ভাল যে এদেশে সাসপেন্সনের যে সমস্ত পার্টস পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই চীনের তৈরি যেগুলো রিকন্ডিশন্ড পার্টসগুলোর মত ভাল সার্ভিস দিতে পারবে না। সুতরাং পার্টস কেনার ক্ষেত্রে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
যেহেতু এদেশে বিক্রিত সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ির বেশিরভাগই টয়োটা ব্র্যান্ডের সেহেতু জেনে রাখা ভাল যে অন্য গাড়ির কোন পার্টসগুলো আপনার গাড়িতে সংযোজন করা যাবে। অন্য গাড়ির কমন পার্টসগুলো হয়ত আপনার খরচ অনেকটাই বাঁচিয়ে দিতে পারে এবং নিশ্চিত করতে পারে দীর্ঘমেয়াদি সার্ভিস। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে উৎপাদিত হার্ডটপের দুর্দান্ত সিরিজ টয়োটা সেরেস/ম্যারিনোর সাসপেন্সনের গঠন প্রকৃতি মূলত টয়োটা করলা এ.ই.১০১/১১০/১১১ সিরিজের মত। সেরেস সিরিজের এক সেট শক অ্যাবজর্বার কিনতে গেলে আপনাকে করলা সিরিজের শকের চেয়ে প্রায় ২০০০ টাকা বেশি খরচ করতে হতে পারে। যেহেতু আপনি দোকানে গিয়ে বিরল একটি সিরিজের নাম বলছেন সেহেতু দামটাও হাঁকা হচ্ছে একটু বেশি। বেশিরভাগ পার্টস উৎপাদনকারীরই একই প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারযোগ্য সামঞ্জস্যপূর্ণ পার্টস রয়েছে – মাথায় রাখুন কোন পার্টসগুলো একই সাথে একাধিক মডেলের গাড়িতে ব্যবহার করা যায়।
গাড়ির ব্রেক একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা বেশিরভাগ মানুষই টেস্ট ড্রাইভ করার পর এবং ব্যবহৃত গাড়িটি কেনার পর খুব একটা গুরুত্ব দেন না। যুক্তিটা অনেকটা এরকম যে – টেস্ট করার সময় যদি গাড়ির ব্রেক ঠিকমত কাজ করে তবে আপনি কিনে ফেলার পরও সবসময়ই ব্রেকটি ঠিক একইভাবে কাজ করতে থাকবে, তাই না? কিন্তু বিষয়টি আসলে এমন নয়। যদি আগের ব্যবহারকারী ব্রেক মেরামত করে থাকেন তবে ব্রেক ফাংশনের কোন কোন যায়গাগুলোতে কাজ করানো হয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং সে অনুযায়ী সার্ভিসিং করিয়ে ব্রেক প্যাডগুলো প্রতিস্থাপন করতে হবে। আপনার গাড়ির ব্রেক কিভাবে এবং কখন ঠিকঠাক কাজ করবে সে বিষয়টি বোঝার জন্য অন্য কোন ব্যক্তির উপর নির্ভর করবেন না। যদি গাড়ির ব্রেক সিস্টেম ঠিকঠাক কাজ করে তবে গাড়ির ব্রেক ডিস্ক বা ড্রাম ঘুরিয়ে ঠিক করে নিন, প্যাডগুলো প্রতিস্থাপন করুন এবং ব্রেক ফ্লুইড পুরোপুরি ভরে নিন। সুতরাং আপনি ভবিষ্যতে কিভাবে গাড়ির ব্রেক সার্ভিসিং করাবেন সে সম্পর্কে এখান থেকেই একটি ভাল নির্দেশনা পেয়ে গেলেন।
সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ির আগের ব্যবহারকারী যদি গাড়িটি সার্ভিসিং করিয়ে থাকেন এবং ইঞ্জিন অয়েল ভরে থাকেন তবে তাতে কিছুই যায় আসে না। গাড়িটির মালিকানা বদল হয়ে যখন আপনার হাতে আসবে তখন আপনাকে আবার দেখে শুনে নতুন করে সার্ভিসিং করিয়ে নিতে হবে। সিএনজি নির্ভর গাড়ির ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশি প্রযোজ্য। ব্যবহারের ফলে ইঞ্জিনের যে ক্ষয়ক্ষতি হয় তা সিএনজি নির্ভর ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে হয় আরও বেশি। কেননা সিএনজি নির্ভর গাড়ির ইঞ্জিন চালাতে গিয়ে অনেক বেশি উত্তপ্ত হয়। উচ্চ তাপমাত্রা ইঞ্জিনের তেলের ঘনত্বকে নষ্ট করে দেয় যা কিনা ইঞ্জিনের ভেতরকার পার্টসগুলোকে সচল রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং এ অবস্থায় আপনাকে ঘন ঘন ইঞ্জিনের তেল দিতে হবে যাতে করে ইঞ্জিনটি স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে আপনার গাড়ির জন্য একটি রেফারেন্স পয়েন্ট তৈরি করতে পারেন। প্রতি ৬ মাস অন্তর আপনার গাড়ির তেল পরিবর্তন করুন। অনলাইনে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতামত নিন, জানুন কোন পরিস্থিতিতে এবং কখন গাড়ির তেল পরিবর্তন করা উত্তম। একই সাথে গাড়ির থ্রোটল বডি পরিষ্কার করুন, এয়ার ফিল্টার প্রতিস্থাপন করুন এবং নিশ্চিত হয়ে নিন যে সব ধরণের সেন্সর এবং ওয়্যারিং সঠিকভাবে কাজ করছে। কোন সেন্সর যদি হারিয়ে যেয়ে থাকে এবং গাড়ির ওয়্যারিং যদি আর্দ্র থাকে তবে তা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে ভোগাবে।
একজন এ.সি বিশেষজ্ঞকে দিয়ে আপনার গাড়ির এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট পরীক্ষা করান এবং চিহ্নিত করুন কোন পার্টসগুলো অদূর ভবিষ্যতেই আপনাকে বদলাতে হবে। কেবল ভাগ্যবান হলেই আপনার পক্ষে কম্প্রেসার এবং কন্ডেন্সারের রপ্লেসমেন্ট পাওয়া সম্ভব। সুতরাং এ সম্বন্ধে আগে থেকেই যথাসম্ভব ধারণা যোগাড় করে নিন। কখনই এমন কোন বিক্রেতাকে বিশ্বাস করবেন না যে কিনা আপনাকে বলবে, “আপনি গ্যাস বেশি করে ভরে নিলেই এ.সি ঠিকমত কাজ করবে।” কেননা ১০০% ক্ষেত্রেই যদি আপনার সিস্টেমে যথেষ্ট গ্যাস না থাকে তবে ধরে নিতে হবে যে সিলিন্ডারে বা কোথাও কোন ছিদ্র আছে যে সমস্যাটি শুধুমাত্র সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তি করে নিলেই সমাধান হয়ে যাবে না।
মেকানিকাল পার্টসগুলো ছাড়াও গাড়ির টায়ারগুলো যদি পুরনো হয়ে থাকে এবং টায়ারের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায় তবে টায়ার পরিবর্তন করা বাঞ্ছনীয়। টায়ার মেরামত করার লক্ষণগুলো খেয়াল করবেন এবং প্রয়োজনে পুরনো টায়ার ফেলে দিয়ে নতুন টায়ার সংযোজন করবেন। এক সেট ভাল টায়ার আপনাকে বছরের পর বছর সার্ভিস দেবে এবং আপনি গাড়িটি চালিয়েও বেশ উপভোগ করবেন।
গাড়ির গায়ে কোন ধরণের ক্ষয় বা অমসৃণতা থাকলে বা অন্য কোন অসৌন্দর্য থাকলে তা নিয়ে অযথা মাথা ঘামানো অপ্রয়োজনীয়। আপনার গাড়ি যদি মেকানিক্যালি ঠিকঠাক থাকে এবং একনাগাড়ে অনেক দিন ভাল চলে তবে নির্দ্বিধায় গাড়িটি ব্যবহার করতে থাকুন। একটি স্বল্প খরচের মাসিক বাজেট রাখুন যা দিয়ে আপনি গাড়ির বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজগুলো যেমন – হেডলাইট, রঙ, ইন্টেরিওরের ক্ষয়ে যাওয়া কোন অংশ মেরামত বা প্রতিস্থাপন করতে পারেন। একটি পুরনো গাড়ির ইন্টেরিওর ঠিক করতে চাইলে গাড়ির দরজার সম্পূর্ণ সেট (ডোর কার্ড, জানালার মটর, সেন্ট্রাল লকিং ইত্যাদি) এবং ড্যাশবোর্ড ধোলাইখাল থেকে কিনে নিন কেননা আপনি যদি পৃথকভাবে এই পার্টসগুলো কিনতে যান তবে আপনার খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে হবে এবং দামও বেশি পরবে। তবে আপনি যদি কয়েক বছরের মধ্যে গাড়িটি বিক্রি করে নতুন গাড়ি কেনার চিন্তা করে থাকেন তবে এই পার্টসগুলো পরিবর্তন বা প্রতিস্থাপন করা একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ নয়।
ব্যবহৃত গাড়ি ক্রয় করার পর রক্ষণাবেক্ষণ করা তেমন একটা কঠিন কাজ নয়। একটি সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি যদি সঠিকভাবে পরিচর্যা এবং ব্যবহার করা হয় তবে আপনি যে মূল্যে গাড়িটি ক্রয় করেছেন সে অনুপাতে দীর্ঘমেয়াদি এবং ভাল সার্ভিস পাবেন। সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ির ব্যবহারের সুবাদে আপনি গাড়ির সম্পর্কে জানতে পারবেন অনেক কিছু, গাড়িটি চালাতে এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে গিয়ে আপনি যখন নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হবেন তখন আপনার ধৈর্য পরীক্ষাও হবে। অন্তত কালশীর কাদামাখা রাস্তায় যখন আপনার মরচে ধরা গাড়িটি হঠাৎ নষ্ট হয়ে যাবে এবং বৃষ্টির কবলে পরবে তখন নিঃসন্দেহে আপনার ধৈর্যের একটি কঠিন পরীক্ষা হয়ে যাবে। একটি সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি নিয়ে আপনার যাত্রা হবে বেশ শিক্ষামূলক এবং একই সাথে সংকটপূর্ণ। তাই অনেকেই বলেন, নতুন গাড়ি কেনার চেয়ে সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি কেনা উত্তম। সুতরাং আর দেরি না করে ইন্টারনেট খুলে বসে পরুন এখনই। Bikroy-এ পাতার পর পাতাজুড়ে রয়েছে সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি বিক্রয়ের অসংখ্য বিজ্ঞাপন। সেখান থেকেই বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের গাড়িটি।