নিউ ওয়ার্ল্ড ওর্ডার : কোরিয়ান অটোমোটিভের (মোটরগাড়ি) উত্থান
৭০’এর দশক থেকে কোরিয়ানরা গাড়ি তৈরি করে আসছে। প্রাথমিকভাবে কোরিয়ার তিনটি কোম্পানি গাড়ি তৈরি বা উৎপাদন করেছে। এই তিনটি কোম্পানি হলো- হুন্দাই, কিয়া (কেআইএ) এবং স্যাংইয়ং। ছোট হ্যাচব্যাক এবং ফ্যামিলি সিডানস নির্মানে ব্যবহার করা হয়েছে অফ-রোডারস এবং ভারী যন্ত্রপাতি। কোরিয়ান কোম্পানিগুলো তাদের গাড়িগুলোর বেশিরভাগই ডিজাইন করতো এক্সপোর্ট মার্কেটে বিক্রির জন্য। এর মধ্যে অন্যতম গাড়ি উৎপাদনকারী কোম্পানি হলো হুন্দাই মোটর। ৪৮ বছর ধরে এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকা কোম্পানিটি বার্ষিক গাড়ি বিক্রি এবং উৎপাদন সংখ্যার দিক দিয়ে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বে চতুর্থ বৃহৎ গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি।
কোরিয়ায় মোটরগাড়ি শিল্পের বিকাশ খুব বেশি আগের না। কোরিয়ান যুদ্ধের ফলে দেশটিতে এই শিল্পের সূচনা এবং সম্প্রসারণ ঘটে। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে কোরিয়াকে বৃহদায়তন শিল্পায়ন এবং সম্প্রসারণশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়াতে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ এবং সহায়তা প্রদান করে। যাতে করে দেশটিতে সমাজতন্ত্রের পরিবর্তে পূজিবাদ প্রতিষ্ঠা করা যায়। আর স্নায়ু যুদ্ধের সময় এভাবেই সমাজতন্ত্রের বিপরীতে পূজিবাদী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা হতো। সে সময়ের চিন্তা ধারা ছিল, কোন একটি দেশে সমাজতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চাও? তাহলে তার পাশ্ববর্তী কোন দেশে পূজিবাদী বাতিঘরের আলো ছড়িয়ে দাও এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করো। সহজলভ্য ভোগ্য পণ্যের সাথে জীবনযাত্রার মান উন্নত হলে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো কখনই পুনর্জীবিত হওয়ার আশা করবে না।
আর এসব পণ্যের মধ্যে অন্যতম ছিল নিজস্ব পরিবহন। কোরিয়াতে হুন্দাই প্রথম ১৯৭৫ সালে গাড়ি বের করে দি হুন্দাই পনি নামে। ভয়ানক নাম, কিন্তু শুরু থেকেই একটি ব্র্যান্ডের গাড়িতে যেসব উপাদান থাকা প্রয়োজন তার সকল প্রয়োজনীয় উপকরণ ও উপাদানই ছিল হুন্দাইয়ের গাড়িতে। গাড়িটির স্টাইল বা শৈলী প্রস্তুত করেছিলেন ইটালিয়ান ইটালডিজাইনের স্টাইলিং মায়েস্ট্রো জর্জেট্টো জিগিয়ারো। এই ডিজাইনার গাড়ির জগতে এনেছিল লোটাস অ্যাস্পিরিট এবং ডেলিয়ান ডিএমসি-১২ এর মতো রত্নাকর সৌন্দর্য্য এবং ভবিষ্যতের জন্য খ্যাতি। যদিও মিতসুবিশির একটি মিশ্রিত উপাদান ছিল পনি এবং ড্রাইভ করার সময় এর পেছনের চাকা ছিল নির্ভরযোগ্য ও কার্যকরী। যদিও অনেক ভূইফোর ব্র্যান্ডের নির্মাণ কোয়ালিটি অত্যন্ত দূর্বল।
এটাই ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি করা প্রথম গাড়ি এবং কোরিয়ানরা তাদের উৎপাদিত গাড়ি প্রথম ধাপেই বিদেশে রপ্তানি করার জন্য যথেষ্ট দুঃসাহসী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার এই গাড়ি প্রথমবারের মতো ১৯৭৬ সালে রপ্তানি শুরু হয় চিলি, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, মিশরে। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে ইকুয়েডর, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস এবং লুক্সেমবার্গেও কোরিয়ান গাড়ি রপ্তানি করা হয়। ১৯৮২ সালে নতুন সংস্করণে কোরিয়ান গাড়ি প্রথমবারের মতো ইউনাইটেড কিংডমে (ইউকে) বিক্রি করা হয়। তখন ইউকে এর মার্কেটে কোরিয়ান গাড়ি ব্রিটিশ লেইল্যান্ড এর ল্যাকলুস্টার গাড়ির সাথে প্রতিযোগিতা করে। সে সময় ল্যাকলুস্টার গাড়ি প্রস্তুত করতো সাবেক ব্রিটিশ লেইল্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারদের একটি টিম।
মোটর গাড়ির শিল্পে কোরিয়ানদের উত্থানের আগে জাপানিজদের দখলেই ছিল বিশ্ব বাজার। পরবর্তীতে কোরিয়ান কোম্পানিগুলোও বিশ্বব্যাপী তাদের স্থান দখল করে নেয়। জাপানিজ এবং কোরিয়ান গাড়ির শিল্পে নিজ নিজ কোর্সের তালিকাগুলোই ছিল সম্ভবত এসব প্রতিষ্ঠানের টার্নিং পয়েন্ট। জাপানিজ কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যকে আরও উন্নত, নিখুত, ত্রুটিমুক্ত এবং পরিমার্জন করার জন্য এক দশক ধরে বিশ্বব্যাপী রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল। নতুন সংশোধিক মোটর গাড়ি নিয়ে বিশ্ব বাজারে ব্যাপকভাবে অবতীর্ণ হওয়ার আগে জাপানিজ কোম্পানিগুলো মার্কেটিংয়ে কৌশলী অবস্থান গ্রহণ করে এবং নিনজা বিক্রয়ে দক্ষ লোকদের নিয়োগ প্রদান করে। আর এজন্যই তারা কিছু সময় রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল। অন্যদিকে এই সময়ে কোরিয়া শুধু গাড়ি তৈরি করা এবং রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তাদের সেই উৎপাদিত পণ্য বাজারে কতটা ভাল করছে সে বিষয়ে তাদের মনোযোগ ছিল অনেক কম। এই পদ্ধতিতে তারা লাভ কিংবা ক্ষতির কথা চিন্তা করেনি। তারা কেবল কোরিয়ার জন্য কাজ করে এই চিন্তা করে। তারা তাদের প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগ প্রদান করে এই পদ্ধতিতে যে, সবার আগে বিক্রি। এতে ভুল হলে সেই ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে এবং পরবর্তী মডেল প্রস্তুত করার সময় সেই ভুল শুধরে নিতে হবে। ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে কোরিয়ানরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বা গাড়িগুলোকে আধুনিকায়ন এবং সংশোধন করতে ছোটখাটো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যে সময়টিতে জাপানিজ এবং ইউরোপিয়ানরা তাদের শিল্পকে অবিশ্বাস্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে সেই একই সময়ে কোরিয়ানরা ধীর স্থিরতা বজায় রেখে, অবিচলতা হয়ে প্রকৃতপক্ষে গ্রাহক বা ক্রেতারা কি চায় সেই বিষয়টিই অফার করেছে। কোরিয়ানরা ৭০ এর দশক থেকে বিশ্বে যে যাত্রা শুরু করেছিল ২০০০ সালের মাঝামাঝিতে এসে তারা একটি নিখুত অবস্থানে পৌছাতে সক্ষম হয়। আর এটাই হচ্ছে সেই অবস্থান যেটার জন্য তারা দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করেছে।
বিশ্বে কোরিয়ানরা কি করতে পারে এটার প্রথম ইঙ্গিত দিয়েছিল সোনাটা পণ্যটি বাজারে অবমুক্তির মাধ্যমে। এই গাড়িটির মাধ্যমে তারা ছিল উচ্চাকাক্সক্ষী এবং লক্ষ্য ছিল আকাশসম। এই গাড়িটিকে প্রতিযোগিতা করতে হয় হোন্ডার অ্যাকোর্ড এবং টয়োটার ক্যামরির সাথে। ওই সময় এই দুটি গাড়িই উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত গাড়ি ছিল। আর এই গাড়িগুলোর (হোন্ডা এবং টয়োটা) ছিল পরিমার্জন, লাক্সারি, নির্ভরতার দীর্ঘ ইতিহাস এবং ব্যান্ড ইমেজের সব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কোরিয়ানদের তৈরি করা সোনাটা গাড়িটি হোন্ডার অ্যাকোর্ড এবং টয়োটার ক্যামরির তুলনায় এশিয়ান কনটেক্সটের বাইরে অনেকটা অপরিচিতই ছিল। তবে সোনাটাকে প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যাজ বা কোম্পানি অ্যাকর্ড এবং ক্যামরি বিপরীতে অল্প দামের বিকল্প গাড়ি হিসেবে মনে করা হতো। ২০০৯ সালে সোনাটার ষষ্ঠ জেনারেশন লঞ্চ করার ফলে গাড়ি কেনার মার্কেট বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মন্দা উড়িয়েই হুন্দাই ব্যাজমুখী হয়েছে এবং এই প্রতিষ্ঠানটিকে একটি সুসজ্জিত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি স্টার্ডি এক্সিকিউটিভ সিডানের সাথে সরল ডিজাইন ও এগিয়ে নেয়ার চিন্তা বা মনোভাব প্রকাশ হয়েছে।
হ্যাঁ ডিজাইনের ক্ষেত্রে অ্যাকোর্ডকে কপি করা হয়েছে এবং অভ্যন্তরিণ যে উপকরণগুলো পছন্দ করা হয়েছে তা অনেক আকাক্সিক্ষত। কিন্তু সোনাটার সময়টি অগ্রদূত হিসেবেই এসেছে। এটিতে কোন পশ্চাতচিন্তা ছিলনা যে অন্যান্য গাড়ির পর তালিকাভুক্ত করা বরং এটিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে টেকসই বিকল্প হিসেবে।
২০০০ সালের মাঝামাঝি হতে হুন্দাই ব্যাজ দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে পরিতৃপ্তির সাথে অগ্রসর হয়েছে। ১৯৬১ সালের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পার ক্যাপিটা জিডিপি ছিল ঘানার চেয়েও কম। কিন্তু ২০১০ সালের দিকে এসে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি বিশ্বের ১৩তম সর্বোচ্চ অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। ২০১৩ সালে বিশ্বের ১৯৩টি দেশের ৫ হাজার ডিলারশিপ এবং শো রুমে হুন্দাইয়ের গাড়ি বিক্রি হয়েছে। যা থেকে ওই এক বছরেই দক্ষিণ কোরিয়া ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেভিনিউ অর্জন করেছে।
উত্তর আমেরিকাতে হুন্দাইয়ের টিউশন, স্যান্টা ফি, ইলান্ট্রা এবং এ্যাসেন্ট এর মতো মডেলের গাড়িগুলো প্রতিনিয়তই শীর্ষ বিক্রির তালিকায় থাকছে। অন্যদিকে এশিয়াতে তাদের নিজ নিজ গাড়ির ক্লাস এবং শঙ্কর গাড়ির আধিক্যেও হুন্দাই আগামী দিনের জন্য আরও অধিক পরিবেশ বান্ধব গাড়ি তৈরির প্রতিযোগিতায় অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে।
২০১৭ সালে অন্যান্য মডেলের সাথে হুন্দাইয়ের ইলেন্ট্রা মডেল তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে হোন্ডা সিভিক-টয়োটা করোল্লা-মাজদা ৩-মিতসুবিশি ল্যানসার এই ক্লাস এর মতো হুন্দাইয়ের ইলেন্ট্রাকে স্পষ্টই একটি ব্র্যান্ড ইমেজ হিসেবে প্রদর্শন করা। যদিও এই ক্লাসে থাকা বাকী গাড়িগুলো দীর্ঘ প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড নামের উপর নির্ভর করছে। হুন্দাই তাদের প্রত্যেকটি নতুন গাড়িতে মাথা খারাপ করা সব ফিচার, প্রযুক্তি অন্তর্ভূক্ত করার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করার পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। এছাড়া তাদের প্রতিদ্বন্ধী গাড়িগুলোর তুলনায় নতুন গাড়ি তৈরি করা হয়েছে স্ট্রিমলাইনড ডিজাইন এবং অনেক পরিচ্ছন্নভাবে। যাহোক গাড়িটি কম মূল্যেই পাওয়া যাবে এবং টাকা জমিয়ে গাড়িটি নেয়ার সুযোগও রয়েছে। এধরণের একটি সুবিধার মাধ্যমে, কষ্টার্জিত টাকায় যেসব ক্রেতারা তাদের নিজেদের জন্য প্রথমবারের মতো গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন বা গাড়ি খুজছেন তারা গাড়ি কিনতে পারবেন। অতি সামান্য পরিমান টাকা দিয়ে গাড়ি কেনার সুযোগ থাকায় ইতোমধ্যে ক্রেতারা হুন্দাই ডিলারদের কাছে ভিড় করছে। অ্যাকর্ড এবং ক্যামরির মতো ব্র্যান্ড থেকে ক্রেতাদের ফিরিয়ে নিয়ে সোনাটার প্রতি আকৃষ্ট করতে হুন্দাই তাদের এই পদ্ধতি গ্রহণ করেছিল এবং পুনরায় তারা এটি ইল্যান্ট্রার ক্ষেত্রে এবং সিভিক/করোল্লা/ল্যানসার এর বিপরীতে প্রয়োগ করছে।
হুন্দাই শুধু বাজারের তলানিতে কিংবা মাঝামাঝিতেই ডোমিনেট করে শেষ করতে চায় না। বরং হুন্দাই আরও বড় ধরণের ডোমিনেট করার পরিকল্পনা করছে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে হুন্দাই তাদের সাব-ব্র্যান্ড জেনেসিস লঞ্চ করেছে। এর মাধ্যমে হুন্দাই হাই-এন্ড লাক্সারি গাড়ির মার্কেটে প্রবেশ করতে চায় এবং লেক্সাস এবং অ্যাকিউরা এমনকি জার্মান হলি ট্রিয়ো (পবিত্র ত্রয়ী বা তিনটি নামিদামি গাড়ির ব্র্যান্ড) বিএমডব্লিউ, মার্সেডিজ বেনজ এবং অডি এর মতো ব্র্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চায়। তাদের জেনেসিসের মাধ্যমে নিউইয়র্ক ধারণায় তারা দেখিয়েছে যে, তারাও লাক্সারি গাড়ির মার্কেট দখল করতে পারে এবং ফ্লেয়ার এবং চ্যারিসমার সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে পারে।আর এই সবই হচ্ছে কিয়া ব্যতিত হুন্দাই এর কর্পোরেট এর ব্যানারে।
এটা বলা যায় যে, আজকের এই বিশ্বায়নের যুগে দীর্ঘ দিন ধরে অটোমোবাইল বা গাড়ির মর্কেট সম্পর্কে থাকা ধারণা অত্যন্ত উর্ধ্বোমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। জার্মানরাই শুধু দক্ষ গাড়ি তৈরি করে তা নয়, জাপানিজরা তাদের নিজস্ব শিল্পের মাধ্যমে যে গাড়ি তৈরি করে তা কোন ধরণের সমস্যা ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে। আর এই গাড়ি তৈরির পদ্ধতিটি অনুকরণ করে সফলভাবে বাস্তবায়ণ করা হয়েছে এবং কোরিয়ানরা খুব সামান্যই ছোট (ছোট মাইক্রো বাসের মতো) এবং অপরিচ্ছন্ন গাড়ি সহ্য করে বা মেনে নেয়। তাদের মধ্যে কেউ অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত না হলে এধরণের গাড়ি কেনে না। তারপরও, এটা সত্যিই যে একটি নতুন বিশ্ব ক্রম তৈরি হচ্ছে। যেখানে কোরিয়ান অটোমোটিভ জায়ান্টদের অপ্রতিদ্বন্ধী উত্থান হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সবচেয়ে বড়, দক্ষতা সম্পন্ন এবং আমেরিকান গাড়ি তৈরি করছে দক্ষিণ কোরিয়া। যা আমেরিকা ছাড়াও যে কোন স্থানে বিক্রি করা হয়। কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো কখনই পরিবর্তন হয় না।