চাকরি পরিবর্তন করার আগে জেনে নিন দরকারি কিছু বিষয়
আপনি কি বর্তমান চাকরিটি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন? যোগ্যতা থাকার পরও অফিসে যথেষ্ট সম্মান পাচ্ছেন না কিংবা কাজের মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলছেন? কর্ম পরিবেশে পরিবর্তন চাচ্ছেন আর আপনার চাহিদা উপযোগী ভালো কোনো জায়গায় কাজ করতে চাচ্ছেন? হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই, কারণ এই দ্বিধা আর সংকট শুধু আপনার একার নয়।
সাধারণ ভাবে একজন পেশাজীবি ব্যক্তি তার কর্মজীবনে গড়ে ৭ বারের মত চাকরি পরিবর্তন করে থাকেন। আজকের নিত্য নতুন উদ্ভাবন আর প্রতিনিয়ত ছোট পরিসরের স্টার্ট-আপ ব্যবসা শুরু করার যুগে চাকরিজীবীরা সব সময়ই তাদের কর্মজীবনে আরো নতুন ও প্রাণোচ্ছল একটি ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। এমনকি আজকাল বিভিন্ন সম্ভাবনাময় উঠতি ইন্ডাস্ট্রিতেও সুযোগ সন্ধানী চাকরিজীবীদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। তাহলে আপনি কেন পিছিয়ে থাকবেন? অপছন্দের একটা চাকরিতে মনের বিরুদ্ধে আর কতদিন আটকে থাকবেন?
আপনার যদি মনে হয় যে এখন পরিবর্তনের সময় এসেছে এবং এখনকার চেয়েও ভালো ও পরিপূরক একটি চাকরি করতে চান, তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি আপনারই জন্য।
কি কারণে চাকরিটি পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন?
প্রথমত, আপনাকে পরিবর্তন করতে চাওয়ার আসল কারণটা খুঁজে বের করতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কর্মীরা তাদের কর্মস্থলের কঠোর ও হৃদয়হীন বস কিংবা সুপারভাইজারদের কারণে প্রতিষ্ঠান ছাড়তে বাধ্য হন। কেননা উচ্চতর কর্মকর্তারা তাদেরকে কিংবা তাদের কাজকে যথাযথ স্বীকৃতি দেন না। এক্ষেত্রে কিছু কিছু কর্মী এটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন ও বসদের মন জয় করার চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু বাকিদের জন্য পুরো ব্যাপারটা শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে বেশ অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়। এখন নিচের ঘটনা গুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায়, তাহলে বুঝতে পারবেন যে সত্যিই আপনার অন্য কোথাও চাকরি খুঁজে দেখার সময় এসেছে কি নাঃ
আপনি সব সময় ক্লান্ত কিংবা টেনশনে থাকেন
আপনার চাকরির প্রথম কয়েক মাসের তুলনায় এখনকার টেনশন ও চাপ কতটা বেশি তা একটু ভেবে দেখুন। কাজের পরিমাণ বা চাপ বাড়ে নি, অথচ আপনি কাজের সময় আগের চেয়েও বেশি টেনশন অনুভব করেন? কিংবা হয়ত আপনি একই পরিমাণ সময় ধরে কাজ করছেন, কিন্তু স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়েন? এই লক্ষণগুলোই মূলত আপনাকে প্রথম ইঙ্গিত দেয় যে আপনি আপনার চাকরি আর কাজ আগের মত আর উপভোগ করছেন না।
আপনি অধৈর্য বা অস্থির হয়ে পড়েন
আপনার চোখ কি ঘন ঘন ঘড়ির দিকে চলে যায়, দিন কখন শেষ হবে সেই অপেক্ষায় অধীর হয়ে থাকেন? যখন আপনি আপনার মনের মত একটা চাকরি করেন এবং আপনার কাজকে ভালবাসেন, তখন আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ কাজের দিকে ফোকাস হয়ে থাকে। দিন কখন কিভাবে শেষ হয়ে যায় সেটা আপনি বুঝতেও পারবেন না। আপনার চাকরি এমন হওয়া উচিত যা আপনাকে এক দিনে সবচেয়ে বেশি কাজ করার অনুপ্রেরণা দেয়। তাড়াহুড়ো করে অফিস থেকে বের হওয়ার আগে কোন রকম কাজ গুছিয়ে যাওয়ার মনোভাব থাকলে বুঝে নেবেন চাকরিটি আপনার জন্য সঠিক নয়।
নিজেকে অবহেলিত মনে হয়
অফিসে আপনার মতামতকে যদি সব সময় উপেক্ষা করা হয় কিংবা আপনার পরিশ্রম আর চেষ্টাকে যদি প্রায়শই অবজ্ঞা আর সমালোচনা করা হয়, তাহলে হয়ত আপনার চাকরিটি পরিবর্তন করাই উত্তম। একজন কর্মী হিসেবে কোম্পানিতে আপনার সঠিক মূল্যায়ন হওয়া এবং নিজেকে দলের একটি অংশ ভাবতে পারাটা খুবই জরুরি। যদি আপনার নিজেকে একা আর বিচ্ছিন্ন মনে হয়, আপনার সিনিয়র এবং কলিগদের কাছ থেকে আর কিছুটা স্বীকৃতি পেতে ইচ্ছে করে, তাহলে হয়ত ভিন্ন কোন কোম্পানিতে কাজ করা আপনার জন্য ভালো হবে। হয়ত আপনি আবার নতুন করে উদ্যম ফিরে পাবেন।
কোম্পানির প্রতি আপনার কোন টান নেই
যখন আপনি প্রথম চাকরিটিতে জয়েন করেছিলেন, তখন হয়ত ঐ কোম্পানিতে কাজ করতে পেরে আপনি গর্ব বোধ করতেন। সময়ের সাথে বিরূপ কর্ম পরিবেশ হয়ত সেই অনুভূতিকে ভোঁতা করে দিয়েছে, কিংবা হতে পারে অফিসে অন্যান্যদের সাথে কাজের সম্পর্কগুলোয় তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। আপনার যদি আর নিজেকে অফিস ও এর পরিবারের অংশ বলে মনে না হয়, তাহলে হয়ত আপনার সময় এসেছে কাজ করার জন্য নতুন চাকরি ও সতেজ একটি পরিবেশ খুঁজে নেয়ার।
আপনার আগ্রহ ও প্যাশনের সাথে আপনার দক্ষতার মিল হচ্ছে না
কর্মক্ষেত্রে বেশির ভাগ কর্মীদের আগ্রহ ও উদ্যম কমে যাওয়ার একটা বড় কারণ হচ্ছে যে তারা যে ধরণের কাজ করছেন তা তাদের মন টানছে না, কিংবা করার ইচ্ছাই ছিল না। আপনার মধ্যে হয়ত এমন কিছু দক্ষতা রয়েছে যা আপনার চাকরির জন্য একদম পারফেক্ট, কিন্তু সেই কাজের প্রতি আপনার মধ্যে প্যাশন নাও থাকতে পারে।
আপনার মন নেই এমন কোনো কাজ যদি আপনাকে সব সময় বাধ্য হয়ে করতে হয়, তাহলে খুব শীঘ্রই একটা সময় আপনার সেই কাজগুলো করতে ভীষণ একঘেয়েমি লাগবে। তাই আপনি একটি কাজের যোগ্য, শুধুমাত্র সেই কারণে চাকরিটি চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে এমন একটি চাকরির খোঁজ করা ভালো, যেটা সত্যিই আপনি মন থেকে করতে চান। আপনার সত্যিকারের আগ্রহ রয়েছে এমন একটি ক্ষেত্রে নানা রকম চাকরির সুযোগ ও অফার খুঁজে দেখুন; সেটা ছোট বড় যেমন পজিশনেরই হোক না কেন।
চাকরি পরিবর্তনের আগে যেসব বিষয় ভেবে রাখা দরকার
যখন আপনি নিশ্চিত ভাবে চাকরি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন, ঠিক তখনই আপনাকে ভালো ভাবে আরো কিছু জিনিস ভেবে নিতে হবে। অনেক কর্মীরাই দ্রুত পরিবর্তন করার তাড়ায় বেশ কম মূল্যায়ন পাওয়া সত্ত্বেও হুট করে একটি নতুন চাকরিতে রাজি হয়ে যান। এতে করে তারা প্রথমটার চেয়েও আরো খারাপ পরিস্থিতে পড়ে যান। আপনার জীবনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ এই পরিবর্তন কতটা কার্যকরী হবে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নিজেকে নিচের প্রশ্নগুলো করে দেখুনঃ
আপনার চাকরি থেকে আপনি ঠিক কি আশা করেন?
আপনি কোন ধরণের কাজ করতে চাচ্ছেন, আর আপনার কোন দক্ষতাগুলোকে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন সেটা আগে খুঁজে বের করুন। আপনি বর্তমানে যেই চাকরি করছেন সেই একই ক্ষেত্রে কাজ করতে চান, নাকি সম্পূর্ণ ভিন্ন কোন একটি ক্ষেত্রে চলে যেতে চান? আপনি কি আপনার মধ্যে থাকা কিছু বিশেষ দক্ষতাকে শাণিত করতে চান, নাকি আপনার কাজের মাধ্যমে নতুন কিছু দক্ষতা অর্জন করতে চান? এই প্রশ্নগুলোর উত্তরে আপনি সহজেই বুঝে যাবেন যে আপনি সত্যিকার অর্থে কোন ধরণের কাজ করতে চাচ্ছেন।
কোন চাকরিতে সুযোগ ও সম্ভাবনা বেশি ভালো?
কিছু আকর্ষণীয় ও পছন্দমত চাকরির বিজ্ঞাপন বেছে নেয়ার পর, প্রত্যেকটি চাকরিতে আপনি কী কী ধরণের সুযোগ ও সম্ভাবনা পাচ্ছেন সেটা খুঁজে বের করুন। কোন কোন চাকরিতে অগ্রগতির সুযোগ রয়েছে? কোন চাকরিগুলো দেখে মনে হচ্ছে যে আপনাকে একটা পজিশনে সারা জীবন পড়ে থাকতে হবে? প্রত্যেকটি কোম্পানিতে ঠিক কতটুকু বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে সেটা জানার চেষ্টা করুন। তাহলেই তাদের সাথে কাজ করতে আপনার ঠিক কতটা ভালো বা খারাপ লাগবে তা আপনি বুঝতে পারবেন।
আর্থিক ও অনার্থিক ব্যক্তিগত সুবিধাগুলো কী কী?
যেখানে বেশির ভাগ কর্মীরাই চাকরি বেছে নেয়ার সময় বেতনটাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন, সেখানে প্রকৃতপক্ষে ভেবে দেখার মত আরো বেশ কিছু দিক রয়েছে। একটি চাকরিতে হয়ত আপনাকে বড় অংকের বেসিক বেতন অফার করছে, কিন্তু তাতে ব্যক্তিগত সুবিধাগুলো অনেক কম থাকতে পারে। আবার সেখানে অন্য একটি চাকরিতে বেশি পরিমাণে ছুটি, বোনাস এবং কাজের নমনীয়তার পাশাপাশি বেসিক বেতন কিছুটা কম পাবেন। এখন আপনি কোন চাকরিটি বেছে নিবেন সেটা নির্ভর করে আপনি ঠিক কি ধরণের সুযোগ সুবিধা খুঁজছেন তার উপর।
চাকরির কর্ম পরিবেশ ঠিক কেমন?
আপনি কি কঠোর শ্রেণীবিভাগ এবং নিয়ম-কানুন সহ একটি কোম্পানিতে কাজ করতে চান, নাকি তুলনামূলক শিথিল ও আন্তরিক পরিবেশে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন? কোন ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক রীতি বা সংস্কৃতি আপনার বেশি পছন্দ? আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ঠিক কোন কর্ম পরিবেশটি আদর্শ হবে সেটা আপনার পছন্দ ও প্রাধাণ্যগুলোই আপনাকে দেখিয়ে দেবে।
কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য কেমন থাকবে?
সকল কর্মজীবী মানুষের জন্যই কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্মক্ষেত্রে কাটানো সময় এবং পরিবার ও প্রিয়জনদের সাথে, এমনকি শুধুমাত্র নিজের জন্য একাকী কাটানো সময়ের মধ্যে একটি সুষম ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। আপনি যদি কাজ পাগল একজন মানুষ হন এবং একা বাসা নিয়ে থাকেন, তাহলে হয়ত প্রতিদিন অবসরের চেয়ে অফিসেই বেশি সময় কাটাতে পছন্দ করবেন। অন্য দিকে আপনার বাসায় যদি একজন জীবনসঙ্গী, সন্তান, কিংবা বয়স্ক বাবা মা থাকেন, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই আপনি অফিসের পাশাপাশি বাসায়ও বড় একটা সময় কাটাতে চাইবেন। আপনার ও আপনার পরিবারের প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখে আপনাকে এমন একটি চাকরি বেছে নিতে হবে, যেখানে আপনার চাহিদামত কাজ ও জীবনের আদর্শ ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবেন।
যাতায়াতের সময় ও ব্যবস্থা
প্রতিদিন বাসা থেকে আপনার কর্মস্থলে আবার সেখান থেকে বাসায় যাতায়াত করার ব্যবস্থা আপনার মেজাজ ও শারীরিক মানসিক সুস্থতার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে ঢাকা শহরের অসহ্য ট্র্যাফিক জ্যামে অন্তত ঘন্টা খানেক বসে না থেকে যেকোনো জায়গায় যাওয়া প্রায় অসম্ভব বলা চলে। এই কারণেই শহরে চলাচলকারী সাধারণ মানুষেরা খিটখিটে মেজাজ, বিরক্তি ও ক্লান্তির শিকার হন তুলনামূলক ভাবে বেশি। আপনার জীবনকে কিছুটা সহজ করার জন্য চাইলে আপনি বাসার কাছাকাছি কোনো একটি কর্মস্থল বেছে নিতে পারেন। তাহলে আপনি দিন প্রতি আরো বেশি কাজ করার জন্য কিছুটা বাড়তি সময় পাবেন।
আপনার পেশাদারি সম্পর্কগুলোতে চাকরি পরিবর্তনের প্রভাব কেমন হবে?
চাকরি পরিবর্তন করার সময় হয়ত অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে আপনার কিছু সম্ভাবনা, বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে, আবার একেবারে শেষ পর্যায়ে কিছুটা টানাপোড়েন বা বাজে পরিস্থিতিও চলে আসতে পারে। আপনার পেশাদারি অর্থাৎ প্রফেশনাল জীবনে এই পরিবর্তনের প্রভাব ঠিক কী রকম হবে সেটা নিয়ে আগেই কিছুটা চিন্তা ভাবনা করে নেয়া দরকার। নতুন চাকরিদাতারা স্বাভাবিক নিয়মেই আপনার ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য আপনার আগের প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনি যেই প্রতিষ্ঠানেই কাজ করুন না কেন, আপনার সাথে যদি কোন রকম অন্যায় না করা হয়, তাহলে সেই অফিসের লোকজন ও কলিগদের সাথে ভালো ও বন্ধুসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন। আগের চাকরিদাতাদের মধ্যে যেকোনো একজনও যদি আপনার সম্পর্কে সামান্য কোনো খারাপ মন্তব্য করেন, তাহলে আপনার এত সাধনার নতুন চাকরিটি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
শেষ কথা
সব মিলিয়ে আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি যে আপনার সর্বোচ্চ সম্ভাবনার দরজা খুলে দেয়ার জন্য কঠিন হলেও মাঝে মাঝে বাংলাদেশে চাকরি পরিবর্তন করা ও ঝুঁকি নেয়া প্রয়োজন। আপনি যে কাজ করছেন তা নিয়ে আপনি আদৌ সন্তুষ্ট কি না তা মাঝে মাঝে নিজেকে জিজ্ঞেস করা জরুরি। আর সেই উত্তর যদি ‘না’ হয়, তাহলে কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে এমন একটি চাকরি খুঁজুন যেটা আপনাকে সুখী করবে। আপনি কোন দিকে ক্যারিয়ার গঠন করতে চাচ্ছেন সেটা ঠিক করে নিন এবং এমন একটি চাকরি বেছে নিন যেটা আপনার প্রত্যাশার সাথে ঠিক ঠিক মিলে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি ঠিক রাস্তায় হাঁটছেন, নতুন করে শুরু করা এবং ক্যারিয়ারের মোড় বদলানোর কোন বয়স নেই!
আজই ভিজিট করুন BikroyJOBS -এ, দেখে নিন বাংলাদেশে চাকরির খবর আর শত শত চাকরির বিজ্ঞাপন থেকে বাছাই করুন। কথা দিচ্ছি, আপনার জন্য পারফেক্ট একটি চাকরির অফার খুঁজে পাবেন নিশ্চিত!