নিয়োগকারীদের জন্য টিপস । নতুন কর্মী নিয়োগের পূর্বে জেনে নিন এই বিষয়গুলো
একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ঠিক ততখানি ভালো যতখানি ভালো হয় সেখানে কর্মরত ব্যক্তিরা। এজন্যেই নিয়োগের সময়, সব থেকে সেরা মানুষটিকে বাছাই করে নিয়োগ দেওয়াটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিয়োগ কর্তার উপর গুরুদায়িত্বটা থাকে যেনো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যোগ্য মানুষকে আবেদনের জন্য আগ্রহী এবং সেই সাথে সঠিক মানুষটিকে বাছাই করা যেনো এর ফলস্বরুপ সুদূর ভবিষ্যতে তা প্রতিষ্ঠানে সাফল্য বয়ে নিয়ে আসতে পারে। যেকোনো প্রতিষ্ঠান, সঠিক কর্মচারী ছাড়া তার নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারে না। প্রতিষ্ঠানের সকলের মধ্যে সহযোগিতা এবং সমমানসিকতা একটি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নের মূলমন্ত্র। সেজন্যই যেকোনো পদের জন্য যোগ্য কর্মী নিয়োগ দেওয়াটা আবশ্যক। আরও জেনে নিন নিয়োগের সময় নিয়োগ কর্তাদের দ্বারা হয়ে যাওয়া সবচেয়ে সাধারণ ভুলগুলো।
নিয়োগের সময়কার এসব ভুলগুলো পরিহার করে, সেরা কর্মী কিভাবে বাছাই করবেন সে সংশ্লিস্ট ৮টি উপায় সম্পর্কে জেনে নিন আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে।
১। প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট মিশন, ভিশন এবং মূল্যবোধ
সঠিক কর্মী নিয়োগের জন্য সবার আগে নিয়োগকর্তাদের উচিত হবে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য কী তা স্থির করা। প্রতিষ্ঠানের যদি নিজস্ব কোন নির্দিষ্ট মিশন, ভিশন না থাকে সেক্ষেত্রে আবেদনকারীরা আবেদনের ক্ষেত্রে অনেকাংশে অনাগ্রহ প্রকাশ করতে পারে যেহেতু কোম্পানি সম্পর্কে তাঁদের সুস্পষ্ট ধারণা থাকেনা। আবেদনের পূর্বে সকল প্রার্থীরাই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কম বেশি তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। এজন্য যেসব কোম্পানি তাঁদের ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট তথ্য দিতে অক্ষম হয় সেখানে অনেক যোগ্য প্রার্থীরাই আবেদন করা থেকে বিরত থাকেন।
এই সমস্যা সমাধানের উপায়স্বরুপ, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তাদের উচিত, একটু সময় নিয়ে নিজেদের কোম্পানি, কোন লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করছে, ভবিষ্যতে কীভাবে সবকিছু পরিচালনা করার প্ল্যানিং করছে এসব সম্পর্কে কোম্পানির ওয়েবসাইটে একটু বিস্তারিত বলে দেওয়া, যাতে করে আবেদনকারীরা খুব সহজেই তাঁদের লক্ষ্য এবং কোম্পানির লক্ষ্যের মধ্যে সামঞ্জস্য খুঁজে পেতে পারেন এবং আবেদন করতে আগ্রহী বোধ করেন। প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির একই লক্ষ্য এবং মানসিকতা থাকলে তা উভয়ের সার্বিক উন্নতিতে সাহায্য করে, লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে এবং সেইসাথে প্রতিষ্ঠানের পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতেও সুবিধা হয়ে থাকে।
২। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নির্দিষ্ট , স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত রাখা
সঠিক কর্মী নিয়োগের জন্য, নিয়োগকর্তাদের উচিত তাঁদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা কী ধরনের কর্মী চাচ্ছেন তা স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করে দেওয়া। অনির্দিষ্ট চাকরি বিজ্ঞপ্তি যেখানে কাজের ধরণ, বেতন, লোকেশন এসবের স্পষ্ট উল্লেখ থাকেনা সেসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অযাচিত এবং বেমানান অনেক আবেদনকারী আবেদন করে থাকেন। এতে করে নিয়োগকর্তাদের সময়ও অনেক নষ্ট হয় শত শত সিভি থেকে বাছাইকরণ প্রক্রিয়ায়।
সময় বাঁচাতে এবং যোগ্য কর্মী নিয়োগের জন্য স্পষ্টভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরির বিকল্প নেই। বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট পদটির বিবরণ এবং সেই সাথে পালনীয় কার্যবিবরণী পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করতে হবে। পদটির জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং দক্ষতা গুলো স্পষ্টভাবে বলে দিতে হবে যেনো আবেদনকারীরা বুঝতে পারেন তাঁরা আবেদনের জন্য উপযুক্ত কিনা। কিছু দক্ষতার উদাহারণ যেমন-
– যোগাযোগ দক্ষতা
– দলবদ্ধতা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলি
– সমস্যা সমাধান যোগ্যতা
– পরিকল্পনা এবং সঠিকভাবে কাজ সম্পাদন যোগ্যতা
– নতুন কিছু শেখার যোগ্যতা, এসবের উল্লেখ করে দিলে বিজ্ঞপ্তিতে তা আবেদনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও আগে থেকে ঠিক করে রাখলে নিয়োগের সময় বাছাইয়ে সুবিধা হয় এবং সময়ও কম লাগে। সেইসাথে ভুল মানুষ নিয়োগের সম্ভাবনাও কমে যায়।
৩। ইন্টারভিউতে যোগ্যতা যাচাই
যেকোনো নিয়োগ প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ইন্টারভিউ। ইন্টারভিউতে আবেদনকারী এবং নিয়োগকর্তাগণ সামনাসামনি কথা বলার সুযোগ পান। এতে করে নিয়োগকর্তারা যেমন আবেদনকারী সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা পান তেমনি আবেদনকারীও প্রতিষ্ঠান এবং নিয়োগকর্তাদের ব্যাপারে ধারণা লাভ করেন।
ইন্টারভিউতে নিয়োগকর্তারা যদি আবেদনকারীকে এমন সব প্রশ্ন করেন যা থেকে নিয়োগকর্তারা নির্ধারণ করতে পারবেন যে, সেই ব্যক্তিটি চাকরীর উপযুক্ত কিনা তাহলে বাছাই প্রক্রিয়াটা খুব সহজ হয়ে যায়। তাছাড়া ইন্টারভিউতে প্রশ্ন-উওরের মাধ্যমে সিভিতে উল্লেখ নেই সেরকম অনেক তথ্যও জেনে নেওয়া সম্ভব নিয়োগকর্তাদের পক্ষে। কিছু প্রশ্ন আছে, যেমন, “আপনি নিজেকে ৫-১০ বছর পর কোন অবস্থানে দেখতে চান?” এ ধরণের প্রশ্নের মাধ্যমে, নিয়োগকর্তারা যাচাই করতে পারেন, আবেদনকারী কত সময়ের জন্য কোম্পানিতে স্থায়ী হবেন কিংবা তাঁর অন্য কোন ইচ্ছা আছে কিনা। যেহেতু নিয়োগের প্রক্রিয়াটি অনেক ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ তাই সঠিক কর্মী নিয়োগের গুরুত্ব অপরিসীম। ভুল ব্যক্তি নিয়োগে কোম্পানিকে হয়তো কিছু সময় পরেই আবারো নিয়োগ দিতে হবে। এতে করে যেমন প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি হয় তেমনি অনেক সময়ও নষ্ট হয়।
এছাড়াও ইন্টারভিউতে আবেদনকারীকে প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত প্রশ্ন করেও বোঝা যায় যে, কোম্পানি সম্পর্কে প্রার্থীর ধারণা বা আগ্রহ কতটুকু। যেসব প্রার্থীদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে পূর্ব ধারণা থাকে তাঁরা জেনে শুনেই আবেদন করতে আগ্রহী বলে ধরে নেওয়া হয়। অন্যদিকে যেসব প্রার্থী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে না জেনে শুনে আবেদন করে থাকেন তাঁদের অনেকেই ইন্টারভিউতে কোম্পানি সম্পর্কে জেনে অনেক ক্ষেত্রে অনাগ্রহী হয়ে যান।
৪। নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীদের উপর নজর রাখা
যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া বর্তমানে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। সকল প্রতিষ্ঠানই শত শত আবেদনপ্রার্থীর মধ্যে থেকে খুঁজছেন সঠিক ও যোগ্য লোকজনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য। দক্ষ এবং যোগ্য কর্মচারীদের চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানই তাঁদের বর্তমানে কর্মরত কর্মীদের কাজের প্রতি তাঁদের সমানভাবে আগ্রহী রাখার প্রতি সতর্ক দৃষ্টি দিচ্ছেন। একজন কর্মীকে খুশি এবং সন্তুষ্ট রাখাটা জরুরি যদি তাঁকে প্রতিষ্ঠানে সুদূর ভবিষ্যতেও রেখে দেওয়ার ইচ্ছা থাকে। এজন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সর্বদা উচিত তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নজর রাখা। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের কী ধরণের সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে বা তাঁদের স্কিল বৃদ্ধিতে নতুন ধরণের ট্রেনিং দেওয়া শুরু করেছে কী না – এসব বিষয়ে খোঁজ খবর রাখতে হবে নতুবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের কাছে নিজের দক্ষ এবং যোগ্য জনবল হারানোর সম্ভাবনা রয়ে যায়। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতেও নিদির্ষ্ট পদের সাথে সম্পৃক্ত কম্পেন্সেশন এবং বেনেফিটগুলো সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দেওয়া উচিত এর জন্য।
এর সাথে জেনে নিন সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ১০টি চাকরি কোনগুলো?
৫। নিয়োগের জন্য সঠিক ডিজিটাল পোর্টাল ব্যবহার করা
নিয়োগের জন্য শুধুমাত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাই এখনকার দিনে যথেষ্ট নয় সঠিক এবং যোগ্য কর্মী পাওয়ার জন্য। চাকরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমগুলোর পাশাপাশি এখন নিয়োগকর্তারা এখন ডিজিটাল পোর্টালগুলোয়ও তাঁদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকেন। স্মার্টফোনের যুগে প্রায় সকলেই ডিজিটাল মাধ্যমে বেশি স্বাছন্দ্য বোধ করেন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোয় চাকরির বিজ্ঞপ্তি খুঁজতে এবং অনলাইনে আবেদন করতে। এজন্য বর্তমানে BikroyJOBS, বিডি জবস (Bdjobds), প্রথম আলো জবস (Prothom Alo Jobs) – এসব অনলাইন জব পোর্টালগুলো খুব প্রচলিত হয়ে উঠছে। নিয়োগকর্তারাও সহজে পেয়ে যাচ্ছেন হাজারো প্রার্থীদের ভিড়ে তাঁদের কাঙ্খিত প্রার্থীকে।
BikroyJOBS রয়েছে সকল ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।
অনলাইন এসব জব পোর্টালগুলো ব্যবহারের আরো সুবিধা হচ্ছে এসব পোর্টালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ প্রতিষ্ঠানের টাকা এবং সময় দুটোই বাঁচিয়ে দেয়। সেইসাথে সিভি সর্টিং এর বিভিন্ন অপশন থাকায় হাজার হাজার আবেদনকারীর মধ্যে থেকে উপযুক্ত প্রার্থীকে খুব সহজেই বের করে ফেলা যায়।
অনেক নিয়োগকর্তারাই অল্প সময়ের জন্য বা পার্ট টাইম পদগুলোর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোয় প্রকাশ করে থাকেন। আরও জেনে নিন বাংলাদেশে পার্ট টাইম জবস সম্পর্কে।
৬। দ্রুত নিয়োগ এবং যোগ্য কর্মী
যখনই কোনো চাকরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় তখন সাধারণত নিয়োগের প্রক্রিয়াটি দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার একটি প্রবণতা দেখা যায় নিয়োগকর্তাদের মাঝে। নিয়োগের প্রক্রিয়াটি ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ হওয়ার জন্যই এই প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু দ্রুত নিয়োগ পদ্ধতি কখনোই যোগ্য এবং সঠিক ব্যক্তির বাছাই নিশ্চিত করেনা। বরং ভুল কর্মী বাছাইয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং পরবর্তীতে তা প্রতিষ্ঠানের জন্য অন্য আনুষাঙ্গিক খরচের সৃষ্টি করে।
যে কাউকে নিয়োগ দেওয়া থেকেও বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয় ভুল কাউকে নিয়োগ দেওয়া হলে। প্রথম দিকে হয়তো ব্যাপারটা প্রকট আকারে ধরা দেয় না, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ভুল ব্যক্তি নিয়োগের ফলে প্রকট সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভুল ব্যক্তিকে নতুনভাবে কাজ শেখানো, প্রশিক্ষণ দেওয়া – এতে করে সময় এবং অর্থ দুইই অনেক ব্যয় করতে হয়। পরবর্তীতে যদি একান্তই কাজ করানো না যায় তখন আবারও নতুন করে, পুরো নিয়োগের প্রক্রিয়াটি চালিয়ে নতুন কাউকে নিয়োগ দিতে হয়। এতে যেমন নিয়োগকর্তাদের অনেক সময় ব্যয় করতে হয় সেই সাথে প্রতিষ্ঠানেরও সার্বিক ক্ষতি হয়।
এতসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য, প্রথমবারের নিয়োগ প্রক্রিয়াটি থেকেই যেনো সেরা প্রার্থীকেই বাছাই করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৭। নিয়োগকর্তার নিজের মতামতের গুরুত্ব
সঠিকভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ইন্টারভিউতে সঠিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা, সিভি ভালোমত দেখার পরেও দিন শেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আবেদনকারী সম্পর্কে নিয়োগকর্তার নিজস্ব মতামত। শত শত সিভিতে হাজার হাজার উল্লেখিত দক্ষতা এবং ডিগ্রীধারীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের জন্য আসলেই কে সেরা হবে সেটা যাচাই করা খুব সহজ নয় বরং বেশ কঠিনই।
চোখের দেখায় ভালো প্রার্থী নির্বাচনের জন্য একজন নিয়োগকর্তার চাই অনেক বছরের অভিজ্ঞতা। যেসব নিয়োগকর্তারা বহু বছর ধরে কর্মী নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত থাকেন, ইন্টারভিউতে প্রার্থীর দুই একটি প্রশ্নের জবাব শুনেই বুঝে নিতে পারেন যে প্রার্থী পদটির জন্য কতটা উপযুক্ত। প্রায়ই দেখা যায়,বেশ ভালো ইন্টারভিউ দেওয়ার পরেও অনেক প্রার্থীর পারফরম্যান্স আশানুরুপ হয়না আবার ইন্টারভিউতে হয়তো খুব ভালো পারফর্ম করেননি কিন্তু চাকরিতে যোগদানের পর সেই ব্যক্তির পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো।
এজন্য, একজন অভিজ্ঞ নিয়োগকর্তার উচিত হবে তার নিজস্ব মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া কিন্তু সেই সাথে খেয়াল রাখতে হবে মতামত যেনো ন্যায্য ও পক্ষপাতিত্ব বিহীন হয়ে থাকে।
৮। সেরা ট্যালেন্টগুলোকে ধরে রাখা
যোগ্য ব্যক্তি নিয়োগ দিলেই হবেনা সে যেনো প্রতিষ্ঠান এ দীর্ঘদিন কাজ করে যেতে পারে সে ব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠানেরই করতে হবে। বর্তমানে চাকরির বাজারে অনেক অনেক প্রার্থীর সমাগম থাকলেও এদের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কমই আছে। একজন যোগ্য কর্মীকে যদি প্রতিষ্ঠান থেকে সঠিক কাজের পরিবেশ, নতুন দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ভালো বেতন সেই সাথে অন্যান্য বেনিফিট এবং তাঁর ক্যারিয়ারের বিকাশের সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে একজন ব্যক্তি কখনই চাইবেন না তার বর্তমান প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করে অন্য কোথাও যেতে। বরং এত সুবিধার জন্য সে আরো ভালো পারফর্ম করার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
অন্যদিকে, প্রতিষ্ঠানের উচিত অযোগ্য কর্মীদের প্রথমে সুযোগ দেওয়া নিজেদের বদলানোর জন্য কিন্তু তাতে কাজ না হলে, তাঁদের ছাঁটাই করে দেওয়া। কেননা, একজন যোগ্য কর্মী প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নতির জন্য যতটুকু ভালো অযোগ্য কর্মী ঠিক ততটাই খারাপ।
কোন নির্দিষ্ট পদের জন্য আবেদনকৃত প্রার্থীদের মধ্যে থেকে সেরা প্রার্থী বাছাই করা যেমন কষ্টসাধ্য তেমনি অনেক সময় সাপেক্ষ। কিন্তু যদি নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠু এবং সঠিকভাবে করা যায়, সেক্ষেত্রে সেরা কর্মী বাছাইয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং একজন যোগ্য কর্মী প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করে এর মুনাফা ও লক্ষ্য অর্জনে।
নিজের প্রতিষ্ঠানের জন্য সেরা ট্যালেন্ট বাছাই করুন, আমাদের ট্যালেন্ট সার্চ থেকে।