ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেনার জন্য টিপস
![](https://blog.bikroy.com/bn/wp-content/uploads/2014/05/mobile-phones.jpg)
যদি আপনার আগের ফোনটি নষ্ট বা চুরি হয়ে যায় তখন আপনি আরেকটি ডিভাইস কেনার জন্য মার্কেটে যান, পুরাতন বা ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেনাটা বুদ্ধিমানের কাজ। অনেক সময় আপনি ব্যবহৃত মোবাইল অনেক কম টাকায় কিনতে পারেন। আবার নতুন কোন ফোন কেনার সময় পরিশোধের জন্য দুই বছরের চুক্তির প্রস্তাব থাকতে পারে।
অনেক মানুষ আছে যারা তাদের ব্যবহৃত ফোনটি উপযুক্ত দামে বিক্রি করে থাকে, বিশ্বাসযোগ্য যে এর ভিতরের কোন না কোন যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে গেছে কারন বেশিরভাগ মানুষ এ বিষয়ে সত্য বলেনা, তবে এটা সবসময়ের জন্য না, তাদের জন্য স্যামসাং বা অ্যাপলের আই ফোন ব্যবহারকারীর কোন ফোন কেনা উচিৎ। তাহলে আপনি একটা সুন্দর ফোন ভাল দামে কিনতে পারেন।
কোথায় খুজবেন?
প্রথমেই কিছু ভাল ওয়েবসাইটের খোজ নিতে হবে। তাৎক্ষনিক ভাবে যে কেউ ব্লাকবেরি,সনি, এইচ টি সি, নকিয়া, এবং অন্য যে কোন ভাল ব্র্যন্ডের ফোন কিনতে বা বেচতে পারেন।মনে রাখতে হবে ভাল ব্র্যান্ডের ফোন বিক্রির ক্ষেত্রে ভাল ব্যক্তির হাতের ফোনটি কেনাটাই উত্তম। এরকম অনেক লোকাল জায়গা আছে যেখানে হারহামেশাই ফোন বিক্রি হয়। এটা খোজা সম্ভব যে, স্থানীয় খুচরা দোকানে নিয়মিত ভাল যন্ত্রাংশ ব্যবহারকারীরা ভাল দামের ব্র্র্যান্ডের ফোন বিক্রির জন্য আসে। তাই আপনার স্থানীয় এরকম একটি এলাকা খুজে নেয়া ভালো, যেখানে সেলফোন ইউজার নামে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে তথ্য পাওয়া যায়। আপনার পছন্দের মোবাইল টি খোঁজার আগে দেখে নিতে পারেন ২০১৯ সালের আসন্ন সেরা ফ্ল্যাগশিপ মোবাইল ফোনগুলো।
এর কম বিভিন্ন খুচরা দোকানে ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ফোন বিক্রি হয়। অন্যদিকে আরো কিছু ওয়েবসাইট আছে যেমন ই বে, কিন্তু আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে কোন দেশের জন্য, যেমন ইউনাইটেড এস্টেট। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন ফোনই কেনা যাবে। যেমন আই ফোন বা ইউজ মোবাইল ফোন নামে সার্চ দিলে এগুলোর সন্ধান পাওয়া যাবে। তবে অবশ্যই তা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যার যেমন খুশি পছন্দ অনুযায়ী কিনতে পারেন।
আপনি যদি ব্যবহৃত ফোন খুচরা দোকানের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিনতে চান তাহলে অবশ্যই খুব সতর্কতার সাথে এই ধরনের সেটের ওয়ারেন্টির অফার এবং সলিট রিটার্ন পলিসি দেখে কিনতে হবে।কারন আপনি কেনার আগে এটি চেক না করলে যে কোন সময় এই ফোনের জটিলতার কারনে আপনি ফোনটি ফেরৎ দিতে আসবেন।
আপনাকে প্রথমেই কেনার সময় ভালভাবে নিশ্চিত হতে হবে যে এটা ব্যবহারের পর কোন সমস্যার কারনে ফেরৎ দেবার কোন সুযোগ আছে কিনা? কিছু ওয়েবসাইটে এর জন্য তাৎক্ষনিকভাবে চার্জ নেয়া হয়। কেউ যদি ই বে এর মাধ্যমে কিনতে চান সতর্কতার সহিত সেই পন্যের ফিড ব্যাক রেটিং এবং উন্নতমানের বিক্রয় সেবা নিশ্চিত করে নিতে হবে। আরও দেখুন এই মুহূর্তে বিক্রির শীর্ষে থাকা স্মার্টফোনগুলো।
ফোন যচাই করা:
আপনি কিন্তু নিশ্চিত হতে পারবেন না যে ব্যবহৃত ফোন কেনার পর ভাল হবে কি না ভোগান্তিতে ভুগতে হবে। কিছু বিষয় আপনাকে পরীক্ষা করে কিনতে হবে।
প্রথমেই ফোনটির চারপাশ ভাল করে দেখে নিন। এটি যদি স্বচ্ছ থাকে তাহলে এটি ঠিক আছে অথবা নষ্ট কি না যাচাই করুন। তবে এটা সত্যি যে অনেক সময় আমাদের হাত থেকে বেশ কয়েকবারই সেট পড়ে যায় তখন আমরা বুঝতে না পারলেও কিছুদিন পরে এর ফাংশনের নানা জটিলতা দেখতে পাই। সেক্ষেত্রে ফোনের পর্দার ক্ষত এবং ফাংশন গুলো দেখে নিতে হবে।
এধরনের ফোনের যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রঙ্গের পরিবর্তনও আসতে পারে। সেজন্য স্ক্রীনের সব পাশে একইধরনের রং আছে কিনা দেখে নিন। আসল এল সি ডি এর দাগ পড়ার পর কিছু কসমেটিকস সমস্যা দেখা যায়।
বিশেষকরে টাচ স্ক্রীনে এধরনের সমস্যা দেখা দেয় সব জায়গাতেই। ধরতে গেলে উপরে, নিচে, মাঝে সবকর্নারেই এই সমস্যা দেখা যায়। তাই প্রোপার জায়গায় সব ফাংশন ঠিক আছে কিনা তা ফিজিকাল বাটন দ্বারা চেক করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে হোম বাটন পাওয়ার বাটন ও ভলিয়ম বাটন চেক করতে হবে।
লিকুইড ড্যামেজের ক্ষেত্রে চোখ রাখতে হবে । কারন অনেক সময় ভাল কাজ করলেও ফোনের লিকুইড ড্যামেজ আমাদের চোখে পড়ে না। যা ফোনের ভিতরের অংশের ফাংশন হেডফোন বা চার্জিং পয়েন্টের পোর্ট যাচাই করতে হবে, যদি সবুজ বা হলুদ রং চোখে পড়ে মনে করতে হবে এটি ওয়াটার ড্যামেজ। পপ আউট ব্যাটারীর ক্ষেত্রে অথবা স্মল স্কয়ারের রিম কার্ডের ক্ষেত্রে এধরনের সমস্যা চোখে পড়ে। এটি সাদা থাকে তাহলে এর সব ঠিক আছে। যদি গোলাপী বা লাল রংয়ের দেখায় তাহলে ধরে নিতে হবে এটি ওয়াটার ড্যামেজ। এখানে আসল ফোনের অনেক সময় একই ধরনের স্টীকার চোখে পড়ে। মনে হয় ব্যাটরী ঠিক ঠাক আছে। এক্ষেত্রে বিক্রেতারা অনেকসময় ক্রেতাদের বোকা বানায় ।
সব শেষে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে ফোনটি ক্লিন ই এস এন আছে। যদি কেউ সি ডি এমএ ধরনের মোবাইল ফোন কিনেন সেক্ষেত্রে ফোনে সিমকার্ড থাকেনা তখন সেই ব্যবহার কারীকে ই এস এন ফ্রি করে দেয়া হয়। অনেক সময় এটি চুরি হলে মোবাইল ফোনটির অ্যাকাউন্ট ভুল বলে চিহ্নিত করা হয়। তাই এধরনের ফোন কেনাটাই উত্তম নয়, মোবাইলটি কেনার পর দেখা যাবে আপনি ব্যাবহার করতে পারেছেন না।
সবচেয়ে উত্তম উপায় হচ্ছে ই এস এন ফোন যদি লোকাল সেল ফোন স্টোর থেকে বিক্রি করা হয় যেমন রবি অথবা বাংলালিংক স্টোর সেখানেই ফোনটি সক্রিয় করে দেয়া হয়, সেটিই উত্তম। না হলে আপনি কাস্টমার সার্ভিসে ফোন করতে পারেন। আপনার ওয়ারলেস প্রোভাইডারের জন্য এবং অনুরোধ করতে পারেন যে ই এস এন শুধু আপনার ভেরিফাইড করা। ই এস এন বা কোন সিরিয়াল নাম্বার ডিরেক্ট বন্ধ করা যাবে যেখানেই এটি ব্যাটারী সংযোগ থাকবে।
এসকল পরামর্শ আপনাকে একটা বাজে ফোন ব্যবহার বা কেনার থেকে মুক্ত রাখবে। আর অবশ্যই আপনি আপনার লোকাল এলাকা থেকে ফোন কেনা থেকে বিরত থাকুন। কারন আপনি একটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেনার সময় সব ফোন চেক করে নেন না। তাই অনেকে ফোন নেয়ার পর নানা জটিলতায় ভোগেন। তাই সলিড রেপুটেশেন কোম্পানী বা লোকাল স্টোর বা এক্সচেঞ্জ পলিসি চেক করে কিনুন। কারন রেপুটেড কোম্পানী সবসময় ক্রেতাদের সাথে সুসম্পর্ক টিকে রাখার চেষ্টা করে। কারন আজকে ভাল সার্ভিস দিলে আগামীতে তিনি আবার আসবেন।