প্রপার্টি

উত্তরা: প্রপার্টিতে বিনিয়োগের জন্য আদর্শ এলাকা

ঢাকা মহানগরীতে উত্তরা এলাকাটির নাম আমরা বহু বছর ধরেই শুনে আসছি। এই এলাকা নিয়ে কম বেশি আমাদের সবার মনেই একটা ভুল ধারণা গেঁথে আছে। আসলে এই এলাকাটিতে আমূল পরিবর্তন এসেছে, আজকের দিনে থাকার জন্য চমৎকার একটি জায়গা। তুলনামূলক কম ভাড়া, বাচ্চাদের জন্য ভালো স্কুল, মোড়ে মোড়ে জনপ্রিয় সব সুপারশপ আর রেস্টুরেন্ট, আর এয়ারপোর্টের বেশ কাছাকাছি হওয়ার ফলে, উত্তরা আজ নিজেই একটা ছোট খাটো শহর হয়ে উঠেছে বলা চলে। মেট্রো রেল ব্যবস্থার মত ভবিষ্যতের বড় বড় প্রজেক্টের পাশাপাশি পূর্বাচল এলাকার উন্নয়নের প্রভাবে খুব শীঘ্রই ঢাকা শহরে ফ্ল্যাট কেনার পরবর্তী সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত এলাকা হয়ে উঠবে উত্তরা।

আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো উত্তরা এলাকায় বাসিন্দাদের জন্য কি রকম দারুণ সুযোগ সুবিধা থাকতে পারে। এছাড়াও দেখবো কেন বিশেষ করে এই এলাকার প্রপার্টিগুলোতে বিনিয়োগ করা আপনার জন্য একটা সেরা সিদ্ধান্ত হবে।

কেন ‘উত্তরা’?

Bikroy.com এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে প্রপার্টির সব বিজ্ঞাপনের মধ্যে শতকরা ৯ ভাগই উত্তরায় অবস্থিত। অন্যদিকে বসুন্ধরা ও গুলশানের পর সাইটটির সর্বাধিক সার্চ হওয়া এলাকার মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে এই উত্তরা।

উত্তরার জনপ্রিয়তার ব্যাপারটা আপনারা যতটা রহস্যময় মনে করছেন, এর কারণটা আসলে তার চেয়েও বেশ সহজ। বাড়ির মালিকদের মধ্যে যারা প্রপার্টি নিয়ে উৎসাহী, তারা জানেন যে এই এলাকায় বিনিয়োগ করতে পারলে ভালো রকম লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। শহরবাসীদের মধ্যে অনেকেই বাসা বদলে উত্তরায় চলে আসার পেছনে উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ এখানে তুলে ধরা হলোঃ

ভাড়া এবং প্রপার্টির খরচ তুলনামূলক কম

ঢাকা শহরের কেন্দ্রীয় এলাকা, যেমন- গুলশান, বনানী বা তেজগাঁও -এর চেয়ে উত্তরায় গড়ে প্রপার্টি সংক্রান্ত খরচ বেশ কম।

গত বছর আমাদের প্রকাশিত ইনফোগ্রাফিক অনুযায়ী Bikroy.com -এ পোস্ট হওয়া সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের প্রপার্টির বিজ্ঞাপনগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রপার্টিই ছিল উত্তরার। আর সেগুলোর দাম ছিল প্রতি বর্গফুটে ৫ হাজার টাকারও কম, যেখানে গুলশানের প্রপার্টির বিজ্ঞাপনে প্রতি বর্গফুটের দাম বিস্ময়কর ভাবে ১৫ হাজার টাকার মত ধরা হয়। বলাই বাহুল্য, দুই এলাকার দামে আকাশ পাতাল পার্থক্য!

অ্যাপার্টমেন্টগুলো শুধুমাত্র দামেই কম নয়, পাশাপাশি সাইজেও বেশ বড়। ২০১৮ সালে উত্তরা থেকে পোস্ট হওয়া বিজ্ঞাপনে অনেক প্রপার্টির সাইজ ছিলো ৩ হাজার বর্গফুটেরও বেশি। অর্থাৎ, ঢাকা শহরে তুলনামূলক আধুনিক ও মানসম্মত এলাকার তুলনায় উত্তরায় আপনারা পাচ্ছেন এক তৃতীয়াংশের মত দামে প্রশস্ত ও বিলাসবহুল একটি অ্যাপার্টমেন্ট।

একই সাথে হাউজিং এর পলিসিতে নতুন পরিবর্তন আসার সুবাদে এই এলাকায় বিনিয়োগ করাটা এখন হয়ে উঠেছে আরো লোভনীয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পরিকল্পনাটি দেশের প্রপার্টি মার্কেটকে থমকে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রপার্টির মার্কেটে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য আরোপিত ট্যাক্স কমানো ও কঠোর আইন প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনা কার্যকর করা হয়েছে। উত্তরার জন্য ট্যাক্স আরোপের পরিকল্পনা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

ফ্ল্যাট ও বিল্ডিং এর জন্যঃ

  • ২০০ বর্গমিটারের কম হলে প্রতি বর্গমিটারে ৩ হাজার টাকা
  • ২০০ বর্গমিটারের বেশি হলে প্রতি বর্গমিটারে ৫ হাজার টাকা

জমির জন্যঃ

  • প্রতি বর্গমিটারে ১০ হাজার টাকা

তার মানে হচ্ছে যে এখন ঢাকা শহরের উত্তর অঞ্চলে প্রপার্টিতে বিনিয়োগ করা হয়ে গেছে আগের চেয়েও অনেক সহজ।

উন্নত এবং পরিকল্পিত অবকাঠামো

উত্তরা এলাকাটি আবাসিক প্রেক্ষাপটের কথা মাথায় রেখে ডেভেলপ করা হয়েছিল। অর্থাৎ এই এলাকাটি ঢাকা শহরের অন্য পুরোনো এলাকার তুলনায় বেশ পরিকল্পিত ভাবে তৈরি। এখানকার রাস্তাগুলো বিভিন্ন সেক্টরে বিভক্ত, আর তাই এই এলাকায় পথ বুঝে চলাফেরা ও ন্যাভিগেট করা খুবই সহজ।

বসবাসের জন্য উত্তরার জনপ্রিয় হয়ে ওঠার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে এর দারুণ উন্নত অবকাঠামো, চওড়া রাস্তা এবং সুপরিকল্পিত বিস্তৃত শহরতলি অঞ্চল।

এখানকার তুলনামূলক নতুন অনেক এপার্টমেন্ট বিল্ডিং রয়েছে, অর্থাৎ এগুলো আরো উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি। আর এই বিল্ডিংগুলোর কাঠামো বলিষ্ঠ ধরণের এবং ডিজাইন মনোরম ও আধুনিক মানের।

ভালো ও মানসম্মত স্কুল

উত্তরার একটি স্বনামধ্যম্য স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হওয়ার সুবাদে আমি নিজেও আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে ঢাকা শহরের বেশ কিছু সেরা মানসম্মত স্কুল এই এলাকায় রয়েছে। আপনি যদি পরিবার সহ উত্তরায় এসে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে এখানে আপনার সন্তানদের সেরা শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন। তাই শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যাতায়াতের চিন্তাই আর থাকবে না।

জনপ্রিয় সব রেস্টুরেন্ট এবং সুপারশপ

যেমনটা আমরা আগেই বলেছি, উত্তরা নিজেই একটি ছোট-খাটো শহরের মতন। প্রাথমিকভাবে যেখানেই শুরু হোক না কেন, উত্তরায় রয়েছে বহু জনপ্রিয় কোম্পানির শাখা। কম বেশি সব ভালো ভালো কোম্পানিই একটা সময় তাদের একটি আউটলেট বা শাখা এই এলাকায় নিয়ে আসেন। আর তাই ঢাকা শহরের কষ্টকর পথ পাড়ি দেয়ার কোনো ঝামেলা ছাড়াই উত্তরার বাসিন্দারা তাঁদের পছন্দের জায়গায় স্বাচ্ছন্দ্যে যাওয়া আসা করতে পারেন। এখানে দোকান, সুপারশপ ও রেস্টুরেন্ট কাছাকাছি থাকায় ঢাকার অসহনীয় যানজট নিয়ে আপনাদের আর কোন টেনশনই করতে হবে না।

এছাড়াও উত্তরায় রয়েছে এর নিজস্ব কিছু ইউনিক জায়গা ও ব্র্যান্ডেড কোম্পানির আনাগোনা। আপনার তো কোথাও যেতে হচ্ছেই না, বরং এখানে সারা ঢাকার ট্রেন্ড-শিকারীরা প্রায়ই বিভিন্ন উদ্দেশ্যে আসা যাওয়া করে থাকেন। তাছাড়া উত্তরায় কমার্শিয়াল স্পেসের ভাড়া তুলনামূলক বেশ কম। আর তাই এই এলাকায় থাকা বিভিন্ন কোম্পানির শাখা অন্যান্য অভিজাত এলাকার শাখার তুলনায় বেশ কম মূল্যে সর্বোচ্চ মানের পণ্য ও সার্ভিস দিয়ে থাকে।

উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ঢাকা শহরের মধ্যবর্তী ও দক্ষিণ অঞ্চলের তুলনায় উত্তরায় অপরাধের হার অনেকটাই কম। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম এবং আবাসিক পরিবেশ তুলনামূলক সাধারণ মানের হওয়ায় আপনার বাড়ির আশেপাশে অপরাধ ও আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটা নিয়ে আপনার কখনও দুশ্চিন্তা করতে হবে না।

একই সাথে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন অর্থাৎ র‍্যাবের হেডকোয়ার্টারও উত্তরাতেই রয়েছে। তাই এখানকার বাসিন্দারা তাদের শান্তি ও নিরাপত্তার ব্যাপারে বেশ নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন, কেননা সাহায্যের হাত খুব বেশি দূরে নয়। 

বিমানবন্দরের কাছাকাছি থাকার সুবিধা

উত্তরায় বসবাস করার সবচেয়ে বড় একটি সুবিধা হচ্ছে যে আমাদের জাতীয় বিমানবন্দর এই এলাকার খুব কাছাকাছি রয়েছে। আপনার যদি নিয়মিত ভ্রমণ করার অভ্যাস থাকে, তাহলে বিমানবন্দরের কাছাকাছি থাকাটা নিঃসন্দেহে একটা বোনাস। ফ্লাইট মিস হয়ে যাওয়ার টেনশন আপনার তেমন একটা করতে হবে না। কারণ সময়মত বিমানবন্দরে পৌঁছানো আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।

নিকটবর্তী ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা

বেশ কয়েক বছর আগে ঢাকার ভিতরে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা বেশির ভাগ ফ্যাক্টরি সরিয়ে শহরের বাইরের দিকের এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে গাজীপুর বাংলাদেশের এক অন্যতম সেরা ইন্ডাস্ট্রিগুলোর প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। বিশাল পরিসরের বহু উৎপাদন কারখানা ও প্ল্যান্ট এই গাজীপুরকে সমৃদ্ধ করে রেখেছে।

কাজের উদ্দেশ্যে বহু সংখ্যক লোক প্রতিদিন এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় যাতায়াত করে থাকেন। আপনি যদি তাঁদের মধ্যে একজন হন, তাহলে উত্তরায় বসবাস করা আপনার জন্য নিঃসন্দেহে একটি ভালো অপশন। একদিকে থেকে যাতায়াতের পথ কমিয়ে আনার জন্য উত্তরা যেমন কাছে, অন্যদিকে ফ্যাক্টরির নানা রকম দূষণ ও শব্দ কোলাহল থেকে নিরাপদ দূরত্বে নিজের বাসায় শান্তিতে থাকার মত নির্মল পরিবেশও এখানে পাবেন।

উত্তর অঞ্চলে আরো অনেক নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও এসে জায়গা করে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর তারই সাথে এখানে বেড়ে চলেছে নানা রকম সম্ভাব্য চাকরির সুযোগও

উত্তরার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

এতক্ষণ আমরা উত্তরায় বসবাস করার সমসাময়িক সুবিধা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছি। তাহলে এবার চলুন দেখে নেয়া যাক অদূর ভবিষ্যতে উত্তরাবাসীদের জন্য কেমন সম্ভাবনা অপেক্ষা করছেঃ

ঢাকা মেট্রো রেল

ঢাকা মেট্রো রেলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। এই পুরো প্রজেক্টটি এখন ইটালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। উত্তরার উত্তর অঞ্চল থেকে শুরু করে মতিঝিলের দক্ষিণ সীমানা পর্যন্ত একটি দ্রুতগতির পরিবহন ব্যবস্থা নির্মাণ করার পরিকল্পনা থেকে এই প্রজেক্টের যাত্রা শুরু। অনুমান করা যাচ্ছে, ২০২১ সালের শেষ দিকে প্রজেক্টটি শেষ হবে ও ব্যবহারের জন্য চালু হয়ে যাবে।

ঢাকা মেট্রো রেল একবার চালু হয়ে গেলে ঢাকা মহানগরীতে চলাচল করাটা অনেক বেশি সহজ আর দ্রুততর হয়ে যাবে। আবার যেহেতু এই রেলের প্রথম স্টেশনটি উত্তরায়, সেহেতু মেট্রো রেল চালু হয়ে যাওয়ার আগেই এখানকার কিছু প্রপার্টিতে বিনিয়োগ করে ফেললে তা আপনার জন্য বেশ লাভজনক হবে। কেননা মেট্রো রেল চালু হয়ে গেলেই তার আশেপাশের সব প্রপার্টির দাম তরতর করে অনেক বেড়ে যাবে।

পূর্বাচল সিটির দ্রুত অগ্রগতি

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পূর্বাচল সিটি সম্প্রসারিত হয়ে একটি নতুন আবাসিক প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে এবং ঢাকা শহরের এখতিয়ারের অন্তর্ভুক্ত হবে। মহানগরীর বর্তমান সীমানার মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত যানজট এবং আবাসনের সম্পৃক্ততার সমাধান হিসেবে বলতে গেলে বেশ কিছু দিন ধরেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে।

পূর্বাচল মহানগরীর এখতিয়ারের মধ্যে চলে আসার পর শহরের বহু মানুষ ধীরে ধীরে ঢাকার এই দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলটিতে চলে আসবেন এবং এখানকার প্রপার্টি কিনতে শুরু করবেন।

পূর্বাচলের বেশ কাছাকাছি হওয়ায় উত্তরার জন্য অগ্রগতির সম্ভাবনা আরো অনেক বেড়ে যাবে। অদূর ভবিষ্যতে অনেক বাড়ির মালিকরা উত্তরাতেও প্রপার্টি কিনতে ও বিনিয়োগ করতে চাইবেন। আর এভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে যাওয়ার ফলে একটা সময় উত্তরার প্রপার্টির দামও অনেক বেড়ে যাবে।

অতএব আপনি যদি উত্তরায় কোন প্রপার্টি কেনার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে সম্ভবত এখনই সেরা সময় সেই চিন্তাকে বাস্তবায়ন করার। কেননা আগামী অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই আপনার বিনিয়োগ থেকে বেশ ভালো অংকের লাভ আসা শুরু হয়ে যাবে।

শেষকথা

সব মিলিয়ে বলে গেলে আপনার পরবর্তী প্রপার্টিটি কেনার জন্য উত্তরা নিঃসন্দেহে অসাধারণ একটি জায়গা। প্লট এবং অ্যাপার্টমেন্টের সাশ্রয়ী দাম, কাছাকাছি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট ও জনপ্রিয় সুপারশপ এবং পরিশেষে গুরুত্বপূর্ণ লোকেশনের কাছাকাছি থাকার কারণে সামগ্রিকভাবে বিনিয়োগ করার জন্য বলতে পারেন উত্তরা বেশ একটি লাভজনক এলাকা।

অতএব প্রচলিত ভুল ধারণা এবার মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন। কেননা ধীরে ধীরে উত্তরা বেশ দাপটের সাথে ঢাকা শহরের অন্যতম সেরা ও উন্নত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠছে। খুব শীঘ্রই উত্তর অঞ্চলের এই এলাকাটি গোটা শহরের এক অবিচ্ছেদ্য প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠবে এবং আমাদের দেশকে উন্নয়নের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আপনি যদি উত্তরায় প্রপার্টি কেনা একটি ভালো সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন, তাহলে দেরি না করে এখনই ব্রাউজ করুন Bikroy.com -এ, আর খুঁজে নিন দারুন সব প্রপার্টির বিজ্ঞাপন আজই! এখানে পাবেন উত্তরা সহ ঢাকা শহরের সব এলাকায় থাকা প্লট, অ্যাপার্টমেন্ট এবং বাড়ির শত শত বিজ্ঞাপন। আপনার পছন্দমত প্রপার্টি সিলেক্ট করুন এবং তুলনা করে দেখুন, আর বেছে নিন আপনার জন্য সেরা একটি মনের মত প্রপার্টি।

উত্তরার আর কোন কোন দিক আপনার কাছে দারুণ লাগে? লিখে জানান আমাদের কমেন্ট সেকশনে!

Property for sale in DhakaProperty for sale in Chattogram
Property for sale in Dhaka DivisionProperty for sale in Khulna Division
Property for sale in SylhetProperty for sale in Chattogram Division
Facebook Comments
সাবস্ক্রাইব করুন

No spam guarantee.

Show More

Related Articles

Back to top button
Close
Close