উৎসবের মৌসুমে কিনুন বাংলাদেশের সেরা ঘরোয়া ফ্রিজ
বাংলাদেশ হোক কিংবা পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে, বাঙ্গালীর বাড়িতে রান্নাঘর হলো সবচেয়ে বড় প্রাণকেন্দ্র। যেকোন সংসারে রান্নাবান্না ও খাওয়া ঘরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আমাদের ঘরের দ্রব্যসামগ্রীর মধ্য দিয়ে এবং সুস্বাদু খাবার রান্না ও সেগুলো সংরক্ষণের জন্য যে পরিমাণ যত্ন প্রয়োজন তার মাধ্যমে আমাদের এই বৈশিষ্ট্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজ অথবা ফ্রিজার যেটাই হোক না কেনো, যেকোন সংসারে সর্বোচ্চ ব্যবহৃত পণ্য হলো এই ফ্রিজ।
প্রত্যেক সংসারে ফ্রিজ শুধুমাত্র খাবার সংরক্ষণ বা পরবর্তীতে খাওয়ার জন্য রেখে দেয়ার জন্যই নয়, বরং বিশেষ কোন দিনের বড় রান্না বা নিত্যদিনের ছোটখাট রান্নার প্রস্তুতি নেবার জন্যও মুখ্য ভূমিকা পালন করে। রান্নার উপকরণ, প্রক্রিয়াজাত মশলা, পুরনো খাবার, ফ্রোজেন খাবার ইত্যাদি সংরক্ষণ করা সংসারের নানা কাজে আসা ফ্রিজের বিশেষ কিছু ব্যবহার মাত্র। বিশেষ করে বাংলাদেশের মত একটি উষ্ণ ও আদ্র জলবায়ুসম্পন্ন দেশে, রেফ্রিজারেটরের ভূমিকা অপরিসীম। তার সাথে যোগ হচ্ছে উৎসবের মৌসুম যেমন ঈদ-উল-আযহা, যখন সমগ্র দেশের মুসলিম-প্রধান জনসংখ্যার মানুষ কুরবানী দিয়ে ও কুরবানীর পশুর মাংস উপভোগ করে থাকেন। আরও জেনে নিন ফ্রিজ কেনার আগে কি কি জানা দরকার?
আপনি কি এই উৎসবের মৌসুমে একটি রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজ কিংবা ফ্রিজার কিনতে চাচ্ছেন?
তবে দেখে নিন আজকের মার্কেটে সেরা ৫টি জনপ্রিয় ফ্রিজের তালিকা ও তাদের বিশেষ বিশেষ গুনাবলীসমূহ!
এলজি
এলজি ফ্রিজের দাম বাংলাদেশে ১২৬৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২২০৪০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে।
স্যামসাং
বিগত কয়েক দশক ধরে স্যামসাং প্রযুক্তির শিখরে অবস্থান করছে এবং বিভিন্ন অভিজাত উৎপাদক কোম্পানির পাশাপাশি অতুলনীয় জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ইলেকট্রনিক্স ও ঘরের দ্রব্যসামগ্রী, উভয় ক্ষেত্রেই স্যামসাং বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি ব্র্যান্ডের নাম। বাংলাদেশি মার্কেটে বিভিন্ন আকর্ষণীয় ডিজাইন ও ফিচার সমৃদ্ধ ফ্রিজসমূহের মধ্যে বেশিরভাগই স্যামসাং কোম্পানির। তার সাথে স্যামসাং এর মত ব্র্যান্ড নাম যুক্ত হওয়ায় পণ্যগুলোর আবেদন আজকের বাজারে একেবারেই অন্যরকম। উৎসাহী কাস্টমাররা স্যামসাং এর শত শত ফ্রিজ ও ফ্রিজারের মডেলের মধ্য হতে বেছে নিতে পারেন তাদের পছন্দের পণ্যটি, যেগুলোতে রয়েছে অত্যাধুনিক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তির ফিচার ও বিভিন্ন আকর্ষণীয় রঙের মধ্যে পণ্য বাছাই এর সুবিধা।
স্যামসাং ফ্রিজসমূহের দাম বাংলাদেশে ৩৮,৪০০ টাকা হতে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৯৫,০০০টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সিঙ্গার
বাংলাদেশের মার্কেটে সিঙ্গার একটি অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ও পরিচিত নামগুলোর মধ্যে একটি। যদিও এটি বিশ্বব্যাপী পরিচিত কিংবা আলোচিত কোনো ব্র্যান্ডের নাম নয়, তারপরও এইদেশে স্থানীয় মার্কেটগুলোয় সিঙ্গার ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা ও সুনাম ব্যাপক। মাঝারী দামের মধ্যে সিঙ্গারের বিভিন্ন উপযুক্ত রেফ্রিজারেটর মডেল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। যদিও অধিক প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক ব্র্যান্ড যেমন এলজি ও স্যামসাং এর মত সিঙ্গার ততটা বিখ্যাত কিংবা উন্নত নয়, তবুও বাংলাদেশে জনপ্রিয় ফ্রিজসমূহের তালিকায় সিঙ্গারের পণ্যও ব্যাপকভাবে প্রচলিত। এমনকি এদের বেশ কিছু পুরনো মডেলের ফ্রিজ বিভিন্ন গ্রামে কিংবা মফস্বল শহর বা ঢাকার মত প্রাচীন শহরের বাড়িতে বাড়িতে এখনো বহাত তবীয়তে দেখা যায় ও ভালো পারফর্মেন্স দেয়।
সিঙ্গার ফ্রিজের মূল্য বাংলাদেশে ১২,৯৯০ টাকা থেকে শুরু করে ১০১,৯৯০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ওয়ালটন
বর্তমানে বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের মধ্যে ওয়ালটনের নাম ব্যাপক আকার ধারণ করছে। এই ব্র্যান্ডটি আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করার মাধ্যমে বাংলাদেশের গন্ডির মধ্য হতেই বিশেষ ভাবে অগ্রসর হয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। বাংলাদেশের মত এত বৈচিত্রে ভরা মার্কেটে জনপ্রিয়তা অর্জন করা বা টিকে থাকার জন্য কেবল মাত্র দেশীয় পণ্য হওয়ার বিষয়টাই যথেষ্ট নয়, তবে ওয়ালটন এর ইলেকট্রনিক্স পণ্যের মধ্যে অনেকগুলোই বাজারের বিভিন্ন পণ্যের তুলনায় সেরা। তারা ফোন থেকে শুরু করে ছোট খাট ঘরের সামগ্রী, এমনকি বড় হোম অ্যাপ্লায়েন্স সমূহ যেমন রেফ্রিজারেটর, ওয়াশার সহ আরো অনেক কিছু বাজারে এনেছে। আকর্ষণীয় ডিজাইন, রঙের বৈচিত্র, মাঝারী দাম পরিকল্পনা এবং ফ্রিজের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়ের ওয়ারেন্টি ওয়ালটন কোম্পানিকে বাংলাদেশে অন্যতম জনপ্রিয় করে তুলেছে।
ওয়ালটন ফ্রিজের দাম বাংলাদেশে ১৮,৯৯০ টাকা হতে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫৭,৯০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
যমুনা
যমুনা ফ্রিজের দাম বাংলাদেশে ২১,৯০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বাধিক ৩৫,৪০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
পছন্দ করে ফেলেছেন? আপনার ঘরের জন্য ফ্রিজ কিনতে যাচ্ছেন? তবে এবার জেনে নিন ফ্রিজ কেনার ব্যাপারে কিছু প্রয়োজনীয় টিপস!
কিভাবে সঞ্চয় করবেন ও আপনার ফ্রিজ থেকে পাবেন আরো বেশি কিছু
বাংলাদেশের সেরা ৫টি ফ্রিজের ব্র্যান্ড ও তাদের জনপ্রিয় মডেলগুলোর নাম ও তাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ পড়ার পর আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে একটি ফ্রিজ কেনা বলতে গেলে এক রকম বড় বিনিয়োগ। একটি রেফ্রিজারেটর প্রথমবার কেনার সময় যেমন অনেক বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়, তেমনি সেটার মেইনটেনেন্স ও অন্যান্য কর্মক্ষমতা সংক্রান্ত খরচাপাতিও অনেক বেশি। কিন্তু কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে বাড়ীতে পণ্যটি ব্যবহারের পাশাপাশি এর থেকে কিছু টাকা পয়সা বাঁচাতেও পারবেন খুব সহজে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সেটিংস
প্রথমত আপনার রেফ্রিজারেটরের সাথে দেয়া কন্ট্রোল সিস্টেমের সুবিধা নিন। কন্ট্রোল সিস্টেম দেয়া থাকলে শুধু মাত্র বিশেষ সেটিংসে ফ্রিজ ব্যবহার করা যায় না, বরং আপনার সুবিধা মত ফ্রিজের অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যখন আপনার ফ্রিজ খাবার ও উপকরণে ভরা থাকে তখন এর তাপমাত্রা সর্বোচ্চ সেটিংসে সেট করতে হয়, কেননা অধিক উপকরণ ঠাণ্ডা রাখার জন্য সর্বোচ্চ সেটিংস প্রয়োজন এবং এতে করে কোন কিছু নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে না।অপরদিকে, যখন ফ্রিজ প্রায় খালি থাকে অর্থাৎ অল্প পরিমান খাবার বা উপকরণ থাকে তখন ফ্রিজের তাপমাত্রার সেটিংস কমিয়ে রাখা বা শীতলীকরণ কম করে রাখা ভালো, কেননা খাবার নষ্ট হবার ঝুঁকি তখন এমনিতেই থাকে না। এতে করে প্রয়োজন ছাড়া অধিক বিদ্যুৎ ব্যবহার করা থেকে বেঁচে যাবেন ও অধিক বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার সুযোগ পাবেন নিজের সুবিধামত। এভাবে ফ্রিজের সেটিংস এর সর্বাধিক ব্যবহার করার পাশাপাশি এর থেকে কিছু টাকাপয়সা ও বৈদ্যুতিক শক্তি বাঁচাতে পারবেন সহজে।
সংরক্ষনের সঠিক উপায়
দ্বিতীয়ত আপনার ফ্রিজে কি ঢুকছে ও ফ্রিজ হতে কি বের হচ্ছে সেটার দিকেও সব সময় খেয়াল রাখা জরুরি। যেকোন খাবার ফ্রিজে ঢুকানোর সময় তা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকতে হয়, তাই গরম কিছু ফ্রিজে না রেখে তা আগে ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। এতে করে ফ্রিজের ওপর চাপ কম পড়ে ও ফ্রিজটির স্বাভাবিক ক্রিয়া ঠিক থাকে। এছাড়াও যেকোন উপকরণ ফ্রিজে রাখা উচিত নাকি ফ্রিজারে রাখতে হবে সেটাও আগে ভেবে নিতে হবে। এইসব সিদ্ধান্ত আপনার ফ্রিজের থারমোস্ট্যাটের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ পড়ে না ও ফ্রিক অধিক সময় পর্যন্ত স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে পারে।
নতুন প্রযুক্তি
তৃতীয়ত যেকোন ফ্রিজ কেনার আগে আপনার মাথায় রাখতে হবে যে প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন প্রযুক্তি উন্মোচিত হচ্ছে এবং একই সাথে ফ্রিজের বৈশিষ্ট্যেও আসছে বৈচিত্র।বিভিন্ন শক্তিশালী ও কর্মক্ষম ফ্রিজ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে, একই সাথে অটো কিংবা ম্যানুয়াল ডি-ফ্রস্ট ফ্রিজ ইত্যাদি সম্পর্কেও জেনে রাখতে হবে আগে ভাগেই। যেকোন প্রকার বিনিয়োগের পূর্বে সঠিক তথ্য ও ধারনার সাথে নিয়ে স্মার্ট সিদ্ধান্ত নেয়া অত্যাবশ্যক।
পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপদ ব্যবহার
সবশেষে, যেকোন সামগ্রীর ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা অত্যাবশ্যক! আপনার রেফ্রিজারেটরটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাটা অত্যন্ত জরুরি ও এই ব্যাপারে আপনাকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। এতে করে শুধু যে আপনার খাবার ও উপকরণ ভালো ও স্বাস্থ্যকর থাকবে তা না, একই সাথে আপনার পণ্যটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভালো ও কর্মক্ষম থাকবে। পরিষ্কার করার সময় বেশি কঠোর না হয়ে হালকা ভাবে ও প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষ্কার করুন। মাঝে মাঝে খুলে নেয়া যায় এমন অংশ গুলো বের করে নিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন ও শুকান, যেমন- ড্রয়ার, শেলফ, র্যাক ইত্যাদি। প্রতিটি অংশ অবশ্যই পানি-রোধী বা ওয়াটার-প্রুফ হয়ে থাকে, অতএব এগুলো নষ্ট হওয়ার ভয় নেই। দরজার হ্যান্ডেল পরিষ্কার রাখুন ও ফ্রিজারের ভেতর বরফের পরিমানের দিকে নজর রাখুন। ভেতরে ও বাহিরে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে খাবারে জীবানু সংক্রমণের আশংকা থাকে না। দরজা খোলা ও বন্ধ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং খেয়াল রাখুন যেন খুব বেশি সময় দরজা খোলা না থাকে।
এবার, সর্বাধিক জনপ্রিয় এলজি, স্যামসাং, সিঙ্গার, ওয়ালটন কিংবা যমুনা যে ব্র্যান্ডেরই রেফ্রিজারেটর কিনুন না কেন, তার আগে আপনার বাসার জন্য সেরা রেফ্রিজারেটর বাছাই করার জন্য যেসব জিনিস খেয়াল রাখা জরুরি সেগুলো জেনে নিন।
রেফ্রিজারেটর কেনার আগে যে বিষয় গুলো দেখে নেয়া দরকার!
শক্তি সঞ্চয় ও সাশ্রয়
যেহেতু ঘরের এপ্লায়েন্স সব সময়ই বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহার করে চলে, তাই আপনার ঠিক করা দামে যদি বাজারে কোন শক্তি সঞ্চায়ক ফ্রিজের মডেল থেকে থাকে তবে সেটিই আগে বেছে নিন। ফ্রিজের মত একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্য সারাক্ষণই বিদ্যুৎ সংযোগে যুক্ত থাকে, তাই যত ওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবেন তত বেশি টাকা আপনার ইলেকট্রিক বিল থেকে বাঁচাতে পারবেন।
সাইজ
আপনার খাদ্য সঞ্চয়ের পরিমাণের ভিত্তিতে রেফ্রিজারেটরের সাইজ কেমন হওয়া উচিত তা ভেবে দেখুন। আপনি যদি টাটকা খাবার রান্না ও খাওয়ার অভ্যাস করে থাকেন তাহলে বড় ফ্রিজ না কিনে ছোট ও উপযুক্ত মাপের একটি ফ্রিজ কিনুন, কেননা বড় ফ্রিজে বিদ্যুৎ বিলও অনেক বেশি আসে।
ওয়ারেন্টি
বিভিন্ন উৎপাদক কোম্পানির পণ্যে সেরা ও সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী ওয়ারেন্টি খুঁজে দেখুন। রেফ্রিজারেটর কেনা একটি দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ, তাই আপনি যেনো মেরামতের পেছনে বাড়তি খরচ না করেই সেই পণ্যটি ওয়ারেন্টির পূর্ণ মেয়াদ পর্যন্ত বা ফ্রিজটির আয়ুষ্কাল পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে ব্যবহার করতে পারেন, সেই ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যবহার
আপনি যেন আপনার ঘরে ফ্রিজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু মূল নিয়ম প্রতিষ্ঠা করতে পারেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হোন, যাতে করে আপনি আপনার পণ্যটি হতে সর্বাধিক বিনিময় ও সার্ভিস পেতে পারেন। অসচেতন ব্যবহার বা অপব্যবহার আপনার পণ্যের অবস্থা আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলবে, যার ফলে খারাপ সার্ভিস ও হ্রাস প্রাপ্ত রি-সেল ভ্যালু বা পুনরায় বিক্রির সময় কম টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠে।
ডিজাইন
রেফ্রিজারেটর বাজারে বিভিন্ন আকার আকৃতি, স্টাইল, ডিজাইন ও রঙে পাওয়া যায়। সবচেয়ে সাধারণ ও বহুল প্রচলিত ডিজাইন বা স্টাইল হলো সিঙ্গেল দরজার ফ্রিজ, যার সাথে ছোট আকারের, পৃথক ফ্রিজার থাকে ওপরের দিকে। এটা সাধারণ ও নিত্য দিনের ব্যবহারের জন্য উপযোগী, কিন্তু ফ্রিজারে যায়গার স্বল্পতা বিশেষ কিছু উৎসব, যেমন কুরবানীর ঈদের সময় আপনার জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আরেকটি অপশন হলো ডাবল দরজার ফ্রিজ, যেগুলো সাধারণ উপর নিচ পদ্ধতিতে না খুলে পাশাপাশি দু’টি অংশে বিভক্ত থাকে। এর মধ্যে বেশির ভাগ ফ্রিজেই ফ্রিজ ও ফ্রিজারের যায়গা সমান পরিমানে থাকে। কিছু ব্যতিক্রমধর্মী ডিজাইনও বাজারে রয়েছে, যেমন- ফুল ফ্রিজ সিস্টেম, যাতে ফ্রিজার একেবারেই থাকে না, অথবা ফুল ফ্রিজার, যার পুরোটাই বিশালাকার একটি ফ্রিজার ও কোন ফ্রিজ থাকে না সাথে। এবার এসকল অপশনের মধ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে পারে যেটি সবচেয়ে বেশি সেটিই আপনার জন্য সেরা চয়েস।
মূল্য
একটি নির্দিষ্ট মডেলে আপনার চাহিদা মত সকল ফিচার খুঁজে পাওয়ার পর, এ ব্যাপারটাও খেয়াল রাখা জরুরি যেন পণ্যের দাম আপনার বাজেটের মধ্যে থাকে। আপনার রেফ্রিজারেটর টির জন্য আবেগের বশে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খরচ বা বিনিয়োগ করে বসবেন না। এছাড়াও, বিভিন্ন দোকান বা শো-রুমে গিয়ে দামের মধ্যে তুলনা করে যাচাই বাছাই করে দেখুন, অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন Bikroy.com -এ এ কাজটি আরো সহজে করা সম্ভব।
উপসংহার
মনে রাখবেন, যেকোন বিনিয়োগের পেছনে মূল চাবিকাঠি হচ্ছে গবেষণা ও খোঁজ। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি বিভিন্ন দোকান, শো-রুম কিংবা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে দেখে ও তুলনা করে পর্যাপ্ত যাচাই বাছাই করে নিতে পারবেন, তত দ্রুত ও সহজে আপনি আপনার জন্য সেরা ডীলটি খুঁজে পাবেন। অতএব, এই কুরবানির ঈদ উপভোগ করুন রাজার মত এবং আপনার ঘরকে যেকোন উৎসবের কঠিন চ্যালেঞ্জ ও অধিক চাহিদাকে টক্কর দেয়ার মত করে সাজিয়ে তুলুন। যেহেতু, রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজার যেকোন সংসারে সর্বাধিক ব্যবহৃত একটি সামগ্রী, তাই জনপ্রিয় ব্র্যান্ড সমূহের ফ্রিজগুলো বাংলাদেশের সেরা মূল্যে খুঁজে দেখুন এবং আপনার সবরকম চাহিদা অনুযায়ী সবচেয়ে সেরা ফ্রিজটি বেছে নিন।
আপনি যদি ফ্রিজ কেনার কথা না ভেবে থাকেন তাহলে অন্তত আসছে কুরবানির আগেই আপনার বর্তমান ফ্রিজটি পরিষ্কার করে ও যায়গা খালি করে রেডি করে ফেলুন! পুরনো খাবার, মেয়াদ উত্তীর্ণ ফ্রোজেন খাবার এবং যেকোন অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফ্রিজ থেকে বের করে দিন, যাতে করে ঈদ উপলক্ষে প্রচুর পরিমানে বাটা মশলা, মাংস ও অন্যান্য সুস্বাদু খাবার এবং মিষ্টান্ন রাখার মত পর্যাপ্ত যায়গা তৈরি থাকে। আপনার ফ্রিজের কন্ট্রোল সেটিংস ঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা তা আগেই চেক করে রাখুন ও কোন রকম গন্ডগোল থাকলে আগে ভাগেই তা সারিয়ে নিন। আরো ভালো হয়, যদি Bikroy.com-এ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রিজের কালেকশন দেখে ও যাচাই করে আপনার বাসার জন্য নতুন একটি ফ্রিজ কিনে নিতে পারেন!
আপনার বিশ্বস্ত অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে Bikroy.com-এ আজই ভিসিট করুন এবং হাজার হাজার জনপ্রিয় ফ্রিজের তালিকা থেকে আপনার পছন্দের ফ্রিজটি খুঁজে নিন ও বাংলাদেশের সেরা দামে কিনে ফেলুন। শপিং হোক আনন্দের!