ক্রেতা এবং বিক্রেতার জন্য মোটরসাইকেল সার্ভিসিং এর দরকারি টিপস
যাদের মোটরসাইকেল আছে তাদের দেখলেই বোঝা যায় এ যানটি কতটা সুবিধাজনক। হালকা ওজনোর একটি মোটরসাইকেল থাকলে আপনি খুব দ্রুত এবং সহজেই চলাচল করতে পারবেন। অনেকেই এ ধরনের বাইক চালাতে খুব পছন্দ করে, তাই তাদের জন্য বাইক সার্ভিসিংএর বিষয়গুলো ভালোভাবে জানাটা খুবই জরুরী। আপনি যখন বাইক সার্ভিসিংএর পেছনে আপনার সময় এবং শক্তি উভয় ব্যয় করবেন তখন কিছু নির্দিষ্ট বিষয় সামনে চলে আসে।
আপনি যদি বিক্রির জন্য কোনো মাটোরবাইক খুঁজেন কিংবা বাইকের জন্য সবচেয়ে ভালো যন্ত্রাংশ খুঁজেন, সেক্ষেত্রে আপনার বাইকটি আরো ভালো চলবে যদি নিয়মিত সেটি সার্ভিসিং করান। অপনার যদি এধরনের কোনো বাইক থেকে থাকে কিংবা যদি কোনো পুরানো বাইক কিনতে চান তাহলে সার্ভিসিংএর ক্ষেত্রে আপনাকে ঠিক কি কি করতে হবে সে বিয়য়গুলোর তালিকা করা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বাংলাদেশে কোনো সমস্যা ছাড়া বাইক চালানোর ক্ষেত্রে এটি অনেক সহায়ক। বাংলাদেশে অনেকেই মোটরবাইক চালায়, তাই ভালোভাবে চলে এমন একটি বাইক আপনার চলাচলের ক্ষেত্রকে অনেক সহজ করে দিতে পারে। সাথে দেখে নিন প্রথম বাইক কেনার আগে যে বিষয়গুলো আপনার জানা প্রয়োজন।
কেন আপনার সার্ভিসিং করা বাইক প্রয়োজনঃ
মোটরবাইক থাকলে সেটি ভালো ভাবে কাজ করানোর জন্য আপনাকে নিয়মিত সার্ভিসিং করারতে হবে। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ন কারনে আপনার উচিৎ বাইকটিকে সার্ভিসিং করিয়ে রাখা। প্রথমত আপনি জানতে পারবেন বাইকটি জ্বালানি ব্যাবহারের জন্য সঠিক অবস্থায় আছে কি না। কারন গাড়ির সবকিছু সঠিক অবস্থায় থাকলে অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ করতে হবে না। অন্যদিকে ভালোভাবে সার্ভিসিং করা বাইক আপনি রাস্তায় নিরাপদে চালাতে পারবেন। ভালোভাবে সার্ভিসিং করানো না হলে নির্জন কোন স্থানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই সঠিকভাবে সার্ভিসিং করা কোনো মোটরবাইক আপনার জন্য অনেক সুবিধা দিতে পারে।
কখন বাইক সার্ভিসিং করাতে হয়ঃ
বাংলাদেশে মোটরবাইক কখন সার্ভিসিং করাতে হয় সেটি শুনলে আপনি হয়তো অবাক হবেন। এক্ষেত্রে কিছু সুর্নিদিষ্ট ক্লু আছে। আপনি যদি কোনো ব্যবহৃত বাইক ফকনেন, তবে সবচেয়ে ভালো কাজ হবে কেনার পরপরই সেটি স্থানীয় সরাইখানায় নিয়ে সার্ভিসিং করানো। এমনকি পেশাদাররাও বলেন যে নিরাপদে বাইক চালাতে বছরে একবার সেটি সার্ভিসিং করানো প্রয়োজন।
বাইক সার্ভিসিং প্রয়োজন হলে কখন সেটি বলতে হবেঃ
আপনার বাইক সার্ভিসিংএর ব্যাপারে যদি কোনো নির্দিষ্ট সময়সূচী না থাকে, তবে কিছু বিষয় আছে যেগুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন সেটি সার্ভিসিং করাতে হবে। প্রথমত আপনি খেয়াল করবেন বাইক ঠিকমতো চলছে কি না। রাস্তায় চলতে যদি এটি সমস্যা করে তাহলে বুঝতে হবে এটি সার্ভিসিং করাতে হবে। আর সর্বশেষ সার্ভিসিং যদি অনেক আগে করানো হয়ে থাকে, তাহলে কোনো দক্ষ মেরামতকারী দিয়ে বাইকটি ভালোভাবে পরীক্ষা করানো উচিৎ ।
সার্ভিসিং করার সুবিধা ঠিক সার্ভিসিং না করানোরই বিপরীত অবস্থাঃ
আপনার বাইকটি যদি সার্ভিসিং না করিয়ে ফেলে রাখেন তবে বাংলাদেশের রাস্তায় সেটি নিরাপদে এবং সঠিকভাবে চলার ক্ষেত্রে কষ্টকর হয়ে যাবে। যারা নিয়মিত তাদের বাইক সার্ভিসিং করায় না তারা চলাচলের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যায় পড়ে এবং অনেক ক্ষেত্রে তা জ্বালানির খরচ অনেক বাড়িয়ে দেয়। তাই নিজর সুবিধার জন্যই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে দ্রুত এবং সহজেই বাইক সার্ভিসিং করিয়ে নেয়া। কোনো দক্ষ ব্যক্তিকে দিয়ে আপনার বাইটি পরীক্ষা করালে রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে এটি আপনাকে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য দিবে।
নিজেই সার্ভিসিং করুনঃ
আপনি সার্ভিসিংএর ক্ষেত্রে পয়সা বাচাঁতে চাইলে সেটি নিজে নিজেও করতে পারেন। অবশ্যই সেক্ষেত্রে বাইক মেরামতের ব্যাপারে আপনার দক্ষতা এবং জ্ঞান থাকতে হবে যাতে করে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি আপনি করতে পারেন এবং রাস্তায় আপনি কোনো সমস্যা ছাড়াই বাইক চালাতে পারেন। কিছু জিনিস আপনি নিজে করতে পারবেন, যেমন তেল পরিবর্তন করা, সব স্পার্ক প্লাগুলো চেক করা এবং চাকাগুলো সঠিক অবস্থায় আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া। বাইকে পুরানো এবং নষ্ট জিনিসগুলো নিজে নিজে পরিবর্তন করতে পারলে আপনার বাইকের ব্যাপার আপনি ভালোভাবে জানতেও পারবেন।
নিজেই পার্টস কিনুনঃ
আপনি যদি নিজেই বাইক সার্ভিসিং করাতে চান তাহলে অনলাইন থেকে আপনি নিজেই প্রয়োজনীয় পার্টস কিনতে পারবেন। এমনকি আপনি ভালো সার্ভিসিং সেন্টার থেকেও এগুলো কিনতে পারেন। আপনি ডিসকাউন্ট এ কেনা আপনার পার্টসগুলো দেখাতে পারেন। অনেক দোকানেরই স্বাভাবিক প্রবণতা থাকে সার্ভিস বা পার্টস এর জন্য অনেক বেশি মজুরি রাখা, তাই অপনার জন্য জেনে রাখা ভালো কোথা থেকে আপনি আপনার প্র্রয়োজনের সময় সঠিক দামে সেগুলো কিনতে পারবেন। এটি অবশ্যই আপনাকে বড় অংকের টাকা বাঁচাকে সহায়তা করবে।
সঠিক মেকানিক খুঁজে বের করাঃ
বাংলাদেশে বাইক মেরারমতের জন্য অনেক দোকান রয়েছে, তাই বুদ্ধিমানের কাজ হল জেনে নেওয়া যে কোন দোকানটি আপনার জন্য উপযুক্ত আর কোনটি এড়িয়ে চলতে হবে। এসব সম্পর্কে ভালো ধারনা পেতে আপনার এলাকায় যারা বাইক চালায় তাদের কাছে থেকেও তথ্য নিতে পারেন। তারা কোন মেকানিক থেকে সহায়তা নেয় এবং সেগুলো বাইক সারাইএর ক্ষেত্রে উপযুক্ত হবে কি না তা জেনে নিন। ভালো হয় যদি কোনো দক্ষ ব্যক্তি যিনি এই নির্দিষ্ট বাইকের উপর কাজ করেন তার কাজ দেখা যাতে করে আপনি জেনে নিতে পারেন যে আপনার বাইকের জন্য সেটি উপযুক্ত কি না।
সহজে এবং স্বাচ্ছন্দে চলাচলের জন্য বাইক অত্যন্ত উপযুক্ত একটি মাধ্যম। বাংলাদেশে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা এমন বাইক খোঁজেন যা তাকে বছরের পর বছর ধরে যাতায়াতে সহায়তা করবে। এই বাইক আপনাকে অনেক ট্রাফিকের ভেতর চলতে সহায়তা করবে, আপনার গন্তব্যে সহযে, দ্রুততার সাথে পৌছাতে সহায়তা করবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল বাইককে প্রায়ই সার্ভিসিং করানো যাতে আপনি যেভাবে চান সেভাবেই সেটি নিয়ে চলাচল করতে পারেন। বছরে একবার সার্ভিসিং না করানো হলে রাস্তার মাঝে সেটি বিভিন্ন সমস্যা করতে পারে যেটি সবচেয়ে খারাপ বিষয়। আপনি যদি স্থানীয় কোনো ডিলারের কাছ থেকে কোনো ব্যবহৃত বাইক কিনেন তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল সেটি সার্ভিসিং করনো।