জ্বালানি খরচ কম যেসব গাড়িতে
মিটসুবিসি আই- এম.আই.ই.ভিঃ
মিত্সুবিশি এম.আই.ই.ভি বাংলাদেশে সবচেয়ে সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক গাড়ির মাঝে একটি। ট্রেডফ যা প্রদান করছে কঠিন রাইডিং ভাবে গাড়ি চালানোর, এটা একটু ধীর গতির, এর একটি অচিত্তাকর্ষক অভ্যন্তর আছে। মিত্সুবিশি এম.আই.ই.ভি চার্জ করা যাবে ২৪০ ভোল্ট, লেভেল ২ চার্জার অথবা ১১০ ভোল্ট চার্জার দ্বারা চার্জ করা যাবে। এতে চার্জ দিতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ও ২১ ঘন্টা যথাক্রমে ২৪০ ভোল্ট এবং ১১০ ভোল্টের চার্জারের মাধ্যমে। মিত্সুবিশি এম.আই.ই.ভি শক্তি খরচ হয় ১১ এম্পিজির সমমানের মধ্যে রয়েছে। আরও দেখে নিন আপনার পরিবারের জন্য সেরা গাড়িটি কেনার টিপস।
ফোর্ডফোকাসঃ
ফোর্ডফোকাস, এই গাড়িটি বেশ নমনীয় এবং এর নিয়ন্ত্রণ ব্যাবস্থা বেশ ভালো যা যাত্রা কালে প্রদান করে কম শব্দ ও এর ইন্টেরিওর বেশ আরামদায়ক। এর মাঝে রয়েছে ১৬০ এইচপি চার সিলিন্ডার সংযুক্ত ইঞ্জিন যা প্রদান করে অধিকতর শক্তি। তবে, তার স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সমিশন বিশেষ করে নিম্ন গতি এ, খুব বেশি মসৃণ নয়। হ্যাচব্যাক এবং সীডান এস ই ফোর্ড ফোকাস বিক্রির জন্যে রয়েছে সামগ্রিকভাবে ২৮ এমপিজি যেখানে ফোর্ড ফোকাস এস এফই তে আছে সামগ্রিক ভাবে ৩১ এমপিজি।এর পিছনের আসনটি বেশ শক্ত এবং এর নিয়ন্ত্রন প্রক্রিয়া বেশ জটিল। ফোর্ড ফোকাস এসটি হচ্ছে স্পোর্টি ভার্সন যাতে আছে শক্তিশালী টারবো ইঞ্জিন। ফোর্ডফোকাস ইলেক্ট্রিক হচ্ছে ইলেক্ট্রিক গাড়ি গুলোর মাঝে অন্যতম। এর শক্তি ক্ষমতা হচ্ছে ১০৭ এমপিজি সমতুল্য, এর নির্ভরযোগ্যতা গড়ের নীচে।
নিসান লিফঃ
নিসান লিফ একটি শক্তিশালী ৫ আসন বিশিষ্ট গাড়ি যার পরিসীমা প্রায় ৭৫ মাইল পর্যন্ত। ইহা চার্জ দিতে সময় নেয় ৬ ঘণ্টা ২৪০ ভোল্ট দ্বারা এবং ১৬ ঘণ্টা সময় নেয় ১২০ ভোল্ট অউটলেট ব্যাবহার করে। নিসান পাত অপেক্ষাকৃত দ্রুত এবং আরামদায়ক যাত্রায় প্রদান করে। এতে সহজ কেবিন ব্যাবস্থা ও কম চলমান খরচ আছে। স্ট্যান্ডার্ড নিসান লিফ গাড়ী পিছনের অংশে রয়েছে রিয়ার ভিউ ক্যামেরা এবং হিটেড স্টীয়ারিং হুইল।
টিস্লা মডেল এসঃ
এই বিদ্যুতের দ্বারা চালিত একটি বড় চার দরজা বিলাসিতা গাড়ী। এই গাড়িটি আকারে বেশ বড় এবং তাতে পিছন দিকে সম্মুখীন আসন ব্যাবহার করা হয়ছে। এতে সহজেই ৫ জন যাত্রী বস্তে পারবেন। গাড়িতে ৮৫ কিলো ওয়াট ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে এবং একবার ফুল চার্জ দিতে পারলে ১৮০-২২৫ মাইল পর্যন্ত চালানো যায়। ইহা প্রদান করে ব্যাতিক্রমধর্মী পারফরম্যান্স, আরামদায়ক যাত্রা, রোমাঞ্চকর অ্যাকসেলেরেশন এবং নিখুঁত হ্যান্ডলিং। এই গাড়িটির ভিতরে রয়ছে একটি বড় স্ক্রীন যার মাধ্যমে আপনি গাড়ির বিভিন্ন কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। আরও দেখে নিতে পারেন বাংলাদেশের সেরা ৫ সর্বাধিক বিক্রিত গাড়ি গুলো।
হোন্ডা একোর্ডঃ
হোন্ডা একোর্ড বাংলাদেশের প্রিয় একটি গাড়ি। ইহা প্রদান করে আমারদায়ক যাত্রা, পিন পয়েন্ট পরিচালনা এবং সুন্দর একটি ইন্টেরিওর। ইহা প্রদান করে ৩০ এমপিজি এবং প্রদান করে বাধাহীন সিভিটি। একটি প্রাণবন্ত ও শোধিত V66 ইঞ্জিন ও ছয় গতির স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সমিশন আছে। হোন্ডা একোর্ড প্রদান করে ২৬ এমপিজি সামগ্রিক। হাই ব্রিড ইঞ্জিন প্রদান করে মসৃন যাত্রা এবং প্রদান করে ৪০ এমপিজি। অন্যসব একোর্ড এর মতন একটি পারফরমান্স প্রদান করে না। তবে কিছু কিছু হোন্ডা একোর্ডে টাচ স্ক্রীন নিয়ে সমস্যা দেখতে পাওয়া গেছে।
লেক্সাস সিটি ২০০ এইচঃ
এটা হল সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের লেক্সাস মডেলের একটি। লেক্সাস সিটি 200H hatchback চমৎকার জ্বালানী অর্থনীতি প্রদান করে। কিন্তু অন্যান্য লেক্সাস মডেলের মতন এটি নয়। লেক্সাস সিটি ২০০ এইচ একটি চার সিলিন্ডারের ইঞ্জিন ব্যবহার করে এবং প্রদান করে ৪০ এমপিজি। এটিতে কম পাউয়ারে অনেক ভালো অ্যাকসেলেরেশন প্রদান করে। এটি একটি শক্ত এবং অস্থির যাত্রায় প্রদান করে কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল এবং নিরাপদ পরিচালনা ব্যাবস্থা আছে। এতে ছোট কেবিন ব্যাবস্থা আছে এবং গাড়ি থেকে সড়কের আওয়াজ বেশ কম পাওয়া যায়। এতে রয়েছে বেশ আরামদায়ক আসন এবং পিছনে আচে মালামাল রাখার সুব্যাবস্থা।
হোন্ডা সিভিকঃ
হোন্ডা সিভিক চমৎকার একটি গাড়ি যাতে রইয়েছে অনেক আকর্ষণীয় ফিচার যেমন উন্নতমানের ব্রেকিং সিস্টেম, সহজ হান্ডেলিং সিস্টেম এবং সুন্দর ইন্টেরিওর রয়েছে। প্রত্যেকটি হোন্ডা সিভিকে আছে ষ্ট্যাণ্ডার্ড ব্যাকআপ ক্যামেরা এবং অটোম্যাটিক আবহাওয়া কন্ট্রোল সিস্টেম। এর পাওয়ার ও গতি অতি দ্রুত কারন এতে রয়েছে পাঁচ গতির স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সমিশন। এর ফুয়েল ইকোনোমি রয়েছে ৩০ এবং ৩২ এমপিজি ইএক্স এর জন্যে এবং এইচএফ ভার্সনে আছে ৪০ এমপিজি পর্যন্ত হাইব্রিড এর জন্যে। এতে রয়েছে বেশ সুন্দর প্রশস্ত পিছন আসন যা বেশ আরামদায়ক ও মজার। এর ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশনটিও ভাল।
ফোর্ড ফিউশনঃ
ফোর্ড ফিউশন একটি স্টাইলিশ গাড়ি যা ড্রাইভে বেশ আনন্দময়। যার মাঝে রয়েছে টারবো স্পীড, চারটি সিলিন্ডারের ইঞ্জিন আছে যা ৬ টি ট্র্যান্সমিশন দ্বারা পরিচালিত হয়। ফোর্ড ফিউশন হাইব্রিড পুরোপুরি নাক্ষত্র যা সামগ্রিক 39এমপিজিমাপা।সমস্ত ভার্সনের গাড়িগুলোর আসন বেশ আরামদায়ক।
স্মার্ট ফর টুঃ
এই গাড়িটি পার্ক করা বেশ সহজ এবং তেল খরচ বেশ কম। এটা ধীর গতি সম্পূর্ণ একটি গাড়ি। টবে এটি চালানো খুব বেশি আরামদায়ক নয় এবং কদাকার হ্যান্ডলিং এবং গিয়ার পরিবর্তন। এর কেবিন এ বসে থাকা বেশ আরামদায়ক। এই ভার্সনের কিছু গাড়ি গ্যাস এ চালিত এবং কিছু গাড়ি ইলেক্ট্রিক।
হোন্ডা ইনসাইটঃ
হোন্ডা ইনসাইট ৫ আসন বিশিষ্ট একটি গাড়ি যা প্রচালিত হয় হাইব্রিড ইঞ্জিন দ্বারা এবং ফুয়েল খরচ বেশ কম, যার সামগ্রিক এমপিজি ৩৮ । ইহা কম ব্যয়বহুল এবং কম প্রশস্ত। ইহা পরিচালনা করা খুব বেশি আরামদায়ক নয় এবং এর পিছনেরর কেবিন খুব বেশি সুবিধাজনক নয়। তবে ২০১৩ হোন্ডা ইনসাইট এর সাসপেন্সন সিস্টেম বেশ ভালো। এর ভিতরে বিশেষ সফটওয়্যার দেয়া আছে যা আপনাকে আপনার ড্রাভিং ইকোনোমি দেখাবে।
মিটসুবেশি মিরেজঃ
মিটসুবেশি মিরাগ একটি ছোট গাড়ি যার ফুয়েল ইকোনোমি ৩৭এমপিজি এবং পিছনে সহনসীল ব্যাবস্থা বসার। এর অন্য সব ফিচার হচ্ছে এতে একটি ফেন্সি রেডিও, অটো ক্লাইমেট সিস্টেম, পুশ স্টার্ট এবং ব্লু-টুথ ফোন অপারেটিং সিস্টেম। এর নিম্ন দিক তিন সিলিন্ডার বিশিষ্ট এই ইঞ্জিনের সাউন্ড একটু বেশি, কষ্টসাধ্য হ্যান্ডলিং এবং নিম্ন মানের কেবিন আসবাব ব্যবস্থা।
ভক্সওয়াগেন জেট্টাঃ
২০১৪ সালের ভক্সওয়াগেন জেট্টা ভার্সনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে অনেক বেশি উন্নত করা হয়ছে। এই গাড়িটি বেশ আরামাদয়ক, প্রশস্ত এবং এমন একটি সেডান গাড়ি যা যে কেউই পছন্দ করবে। এর নতুন সংস্করনের ইঞ্জিনে ব্যাবহার করা হয়ছে আধুনিক সব যন্ত্র যা দ্বারা ড্রাইভিং করে বেশ আরাম। এটা ৩০এমপিজি পর্যন্ত মাইলেজ দিয়া থাকে। ভক্সওয়াগেন জেট্টার স্টিয়ারিং এবং সাস্পেনশন সিস্টেম আধুনিক এবং উন্নত যা যাত্রা কালে কোন রকম বাধার সৃষ্টি করে না। এর সর্ব শেষ ভার্সনে ইন্টেরিয়র কাজ অনেক সুন্দর করে করা হয়েছে।
বি এম ডব্লিউ ৩ সিরিসঃ
বি এম ডব্লিউ ৩ সিরিস চমৎকার একটি গাড়ি যার জ্বালানি খরচ বেশ সাশ্রয়ী। যা প্রদান করে অতি আনন্দময় যাত্রা, আরাম এবং এতে বাইরের আওয়াজ অনেক কম আসে ভেতরে। ইহা ৪ সিলিন্ডারের টার্বো ইঞ্জিন যা মাইলেজ দেয় প্রায় ২৮এমপিজি। বি এম ডব্লিউ ৩ সিরিস বা তার থেকে ঊর্ধ্ব তর সংস্করণ গুলীর মাঝে পাওয়া যায় চমৎকার ড্রিভিং অভিজ্ঞতা ও পরিচালনা বৈশিষ্ট্য।
ফিয়াট ৫০০:
ফিয়াট ৫০০ এই মডেলের গাড়িটি চালতে বেশ আরাম ও মজা। এর ইঞ্জিনটি টার্বো ছাড়া এবং ৬ গিয়ার বিশিষ্ট ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন গাড়ি যা মাইলেজ দেয়া প্রায় ৩৩এমপিজি পর্যন্ত। ফিয়াটের হাই পারফরম্যান্সের গাড়িগুলো বেশ দ্রুত গতির এবং এর পরিচালোনা ক্ষমতা বেশ আরামদায়ক ও এতে স্পোর্টি নির্গমন নোট আছে।