কীভাবে কম খরচে ঘর সাজাবেন? দেখে নিন ৭টি দারুন আইডিয়া
নতুন ঘর সাজানোর সময় কত জিনিসপত্রই না কেনাকাটা করা হয়, কিন্তু মাস ছয়েক বাদে যখন সেই সাজ ই একঘেয়েমীর সৃষ্টি করে তখন? কেবল একঘেয়েমী কাটাতে ৫-৬ মাস পর পর নতুন ভারী সরঞ্জাম কেনা অহেতুক বিলাসিতার পর্যায়ে পড়ে। সবার পক্ষে এই বিলাসিতা বহন করাও সম্ভব হয় না, তাছাড়া ঝামেলা বহুল তো বটেই!
এক্ষেত্রে কম খরচে ঘর সাজান সবচেয়ে সাশ্রয়ী আর বুদ্ধিদীপ্ত কিছু পদক্ষেপের সাহায্যে, যা আপনার রুচি ও মনের পরিচয় দিতে পারে।
১। পুনরায় সাজান পুরোনো আসবাবঃ
মাঝে মাঝে সামান্য পুনর্বিন্যাস পুরো ঘরের আদল পালটে দিতে পারে! আসবাবপত্র গুলো নাড়াচাড়া করে দেখুন, নতুন করে সাজান। এতে ফ্লোর এর রঙ যেমন নষ্ট হয় না, তেমন ঘরেও আসে নতুনত্ব। কিছু আসবাব ঘর-বদল করুন, শো-পিস নতুন করে সাজান। নতুন আমেজ পেতে হলে সবসময় নতুন জিনিস কিনতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। এর সাথে আরও কিছু টিপস পেতে আমাদের সাম্প্রতিক প্রকাশ করা একটি প্রবন্ধ থেকে কিছু আইডিয়া নিয়ে নিন কীভাবে আপনার ছোট বাসাটি দারুণ সব আসবাবপত্র দিয়ে সাজিয়ে তুলবেন?
২। পুরোনো ছবি বাঁধাই করুনঃ
কত ছবি অ্যালবামে পড়ে থাকে দিনের পর দিন, খুলেই দেখা হয় না বহুদিন ধরে। ছবিগুলো অল্প খরচে বাঁধাই করে নিন, খোলা দেয়ালে মনের মত সাজান। ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি আপনার স্মৃতিময় হাস্যোজ্জ্বল মুহূর্তগুলো আপনার ঘরকে রাঙ্গিয়ে রাখবে। এই সম্পর্কে আরও কিছু আইডিয়া নিতে দেখে নিন প্রথমবার অল্প খরচে কীভাবে আপনার বাড়ি সাজাবেন?
৩। আনাচে কানাচে সবুজের ছোঁয়াঃ
বাগান করার সখ যাদের আছে, তারা ঘরের বারান্দায়, ছাদে কমবেশি গাছপালা লাগিয়ে থাকেন। পুরোনো বোতল কেটে, বা টিনের কৌটোয় অথবা কাচের ছোট জারে ছোট গাছ বা লতাগুল্ম এনে সাজানো যায় ঘরের ভেতরটাও। বইয়ের তাকে, কিংবা জানালার কার্নিশে, টেবিলের ওপর বা আসবাবের পাশে অল্পস্বল্প সবুজের ছোঁয়া আপনার ঘরে নিয়ে আসবে সজীবতা।
৪। আয়না কেবল সাজসজ্জার জন্য নয়ঃ
ড্রেসিং টেবিল ছাড়াও ঘরে রুচিশীল আয়নার ব্যবহার আনতে পারে নতুন মাত্রা। দেয়ালজোড়া আয়না যেমন ঘরের আকার বড় দেখাতে ও আলোকিত করতে সাহায্য করে, তেমন আকর্ষণীয় ফ্রেমের ও ডিজাইনের আয়না রুমের শোভা বাড়াতে পারে বহুগুনে। বাজারে ও অনলাইনে কম খরচে সুন্দর যেসব আয়না পাওয়া যায়, সেগুলো কিনে ঘরের দেয়ালে মনের মত সাজাতে পারেন।
৫। ফ্রেমে ফ্রেমে বৈচিত্রঃ
আপনার হাতে করা কোনো শিল্প, কিংবা ক্যালেন্ডারের পাতায় পছন্দের কোনো ছবি, ম্যাগাজিন-কাটিং অথবা সুন্দর র্যাপিং পেপার, স্কুলের বন্ধুদের লিখা টি-শার্ট, যা কিছু আপনার মনে আলোড়ন তোলে, করে ফেলুন ফ্রেমে বন্দী! ছবি তোলার কথা বলছি না,সত্যিকারের ফ্রেম; দেখবেন কিভাবে ড্রয়ারে, আলমিরায় পড়ে থাকা জিনিস আপনার দেয়ালে বৈচিত্র নিয়ে আসে! শুধু তাই নয়, ছোট বড় ফ্রেম দিয়ে সাজানো দেয়াল আপনার রুচিশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে।
৬। শখের জমানো জিনিসগুলো বের করে আনুনঃ
ছোটবেলা থেকে আমরা কমবেশি সবাই কিছু না কিছু জমিয়েছি। ডাকটিকেট থেকে শুরু করে মার্বেল, স্বচ্ছ পাথর, ঝিনুক, রঙ্গিন বোতাম ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস কাঁচের জার বা বোলে করে সাজিয়ে রাখতে পারেন। আগ্রহ থাকলে রি-সাইকেল করেও ঘর সাজানোর সামগ্রী তৈরি করে নিতে পারেন। অনলাইনে Pinterest সহ আরো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ ধরনের বিভিন্ন আইডিয়া পেতে পারেন।
৭। প্লাস্টিক ও কাগজের আল্পনার ব্যবহারঃ
আজকাল অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেইজে দেয়াল সাজানোর নানা রকম আলপনা পাওয়া যায়; এগুলো দামেও সাশ্রয়ী এবং দেখতেও দারুন। এগুলো ব্যবহারে খুব কম খরচে দারুন পরিবর্তন নিয়ে আসা যায় সাদামাটা দেয়ালে। আপনার শোবার ঘর সাজানোর জন্য এটি একটি দারুন উপায়।
একটু বুদ্ধি আর সৃজনশীলতা অনেক সময় আপনার ব্যক্তিত্ব আর রুচির পরিপূরক হয়ে উঠতে পারে। আপনি আপনার ঘর সাজানোর জন্য কি কি নতুন আইডিয়া কাজে লাগাচ্ছেন? আমাদের সাথে শেয়ার করুন আর আমাদের উৎসাহিত করুন। 🙂