চাকরিটপ ও বেস্ট

সঠিক উপায়ে চাকরির কভার লেটার বা আবেদন পত্র লেখার ৫টি টিপস

হয়তো আপনি প্রথমবার চাকরি খুঁজছেন, অথবা একজন অভিজ্ঞ কর্মজীবী হিসেবে চাকরি পরিবর্তন করতে চাইছেন – এই সকল ক্ষেত্রেই কীভাবে সঠিক উপায়ে চাকরির কভার লেটার বা আবেদন পত্র লিখতে হয় তা জেনে রাখা বাংলাদেশে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

চাকরির শূন্যপদের বিপরীতে যেহেতু শত শত আবেদন জমা পড়ে থাকে, তাই নিয়োগকারীদের চোখে পড়তে কিছু আকর্ষণীয় উপায় অবলম্বন করা ছাড়া উপায় নেই।

আপনার সিভি তথ্যপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও, সূক্ষ্ম কিছু কারণে তা সহজেই নিয়োগকারীর দৃষ্টি এড়িয়ে যেতে পারে। আর ঠিক তাই কভার লেটার বা আবেদন পত্র গুরুত্বপূর্ণ।

আপনিও যদি আবেদন পত্র লেখার টিপস এবং কৌশল সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের আজকের লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন!

চাকরির আবেদন পত্র কী? 

চাকরির আবেদন পত্র যা কভার লেটার হিসেবেই অধিক পরিচিত, মূলত সংক্ষিপ্ত আকারের একটি লেখা যা আপনার রেজ্যুমে বা সিভির সাথে চাকরির জন্য আবেদন করার সময় যোগ করা হয়। এখানে আপনার সম্পর্কে কিছুটা বিবরণী আকারে দেওয়া থাকে যা আপনার সিভিতে উল্লেখ নেই। রেজ্যুমে/সিভিতে যেমন আপনার কাজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা উল্লেখ করে লেখা থাকে তেমনি একটি কভার লেটার একটি নির্দিষ্ট কাজের আবেদনের করার কথা মাথায় রেখে লেখা হয়।

আবেদন পত্রে সাধারণত নিজের কিছু স্কিল তুলে ধরতে হয় যাতে নিয়োগকারী যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আপনার প্রতি আগ্রহী হতে পারে এবং আপনি যেই প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছেন তার সম্পর্কে আপনার কিছু ভালো লাগার বিষয় উল্লেখ করতে পারেন। নিচে আমরা চাকরির আবেদন পত্র লেখার ৫টি টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি যা আপনাকে আপনার প্রথম ইন্টারভিউ কল পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। 

আকর্ষণীয় চাকরির আবেদন পত্র লেখার ৫টি টিপস

১. রিসার্চ করুন

কভার লেটার কোনো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপনার ধারণা তুলে ধরার চমৎকার একটি সুযোগ। লেখা শুরু করার আগে প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তারা কারা, তারা কী করে এবং তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু সম্পর্কে ধারণা পেতে কোম্পানির ওয়েবসাইটটি দেখুন। সেখানে উল্লেখ্য মিশন এবং ভিশন স্টেটমেন্টগুলো আপনাকে কর্পোরেট কালচার সম্পর্কে একটি ধারণা দেবে, এবং ইন্টারভিউ এর সময় আপনার ব্যক্তিগত গুণাবলীর সাথে সেগুলোর সমন্বয় ঘটিয়ে আপনি বাড়তি সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।

পাশাপাশি তাদের বিশেষ সুবিধা বা প্রোগ্রামগুলো সম্পর্কে ওয়েবসাইট বা নিউজ আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন – আপনার কভার লেটারে এই ফিচারগুলো উল্লেখ করলে নিয়োগকারী সহজেই বুঝতে পারবে যে আপনি আবেদন করার আগে তাদের ব্যাপারে তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জেনেছেন

২. প্রফেশনাল টেমপ্লেট ব্যবহার করুন

ফার্স্ট ইম্প্রেশন তৈরি করার ক্ষেত্রে একটি ভালো ও প্রফেশনাল টেমপ্লেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোছানো কভার লেটার না হলে নিয়োগকারী সেটি পুরোপুরি পড়তে আগ্রহী হবে না। শুধু তাই নয় এর কারণে তারা সেটি পুরোপুরি বাতিল ও করে দিতে পারে।

আমাদের সাজেশন অনুযায়ী একটি আদর্শ কভার লেটার টেমপ্লেট দেওয়া হয়েছেঃ 

cover letter template
একটি আদর্শ কভার লেটার টেমপ্লেট

৩. সংক্ষিপ্ত আকারে লিখুন

চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে তা সংক্ষিপ্ত রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যেমনটা আগে বলা হয়েছে, নিয়োগকারীদের খুব অল্প সময়ের মধ্যে শত শত প্রার্থীদের আবেদন যাচাই করতে হয়। আর তাই তাদের কাজ যথাসম্ভব সহজ করতে পারলে তা আপনার জন্যই হিতকর। যা করার কার্যকরি উপায় হচ্ছে আপনার কভার লেটার সংক্ষিপ্ত এবং যথাযথ রাখা, অর্থাৎ শুধুমাত্র সবচেয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো উল্লেখ করা যাতে নিয়োগকর্তা একবার দেখেই আপনার প্রার্থীতার ব্যাপারে আগ্রহী হবেন।

আমরা সাধারণত একটি কভার লেটার ১ পৃষ্ঠার বেশি না করার পরামর্শ দিয়ে থাকি যেখানে ভূমিকা, মূল অংশ এবং উপসংহার থাকবে। সঠিক উপায়ে কীওয়ার্ড-এর ব্যবহার এটিকে আরও কার্যকর করে তুলতে পারে যা পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হয়েছে।

৪. কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন

কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি লক্ষ করলে দেখবেন সেখানে চাকরিটি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ সহ আপনার যেধরণের যোগ্যতা প্রয়োজন তার উল্লেখ থাকে। এই কাজগুলো আপনি আপনার কভার লেটারের বিভিন্ন জায়গায় যোগ করতে পারেন (যেখানে প্রয়োজন)। যেহেতু আজকাল অনেক প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যার ব্যবহার করে আবেদন পত্র যাচাই করে থাকে, সেক্ষেত্রে এসকল কী-ওয়ার্ডের ব্যবহার আপনাকে সহজেই পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।

৫. প্রুফরিড করুন

আবেদন পত্র লেখার সময়ে প্রুফরিডিং বেশ গুরুত্বপূর্ণ। লেখার সময় ভুলগুলো উপেক্ষা করা সহজ, তাই বানান এবং ব্যাকরণগত ত্রুটির মতো ছোট ভুলগুলো ঠিক করে নেওয়ার জন্য লেখার পর চোখ বুলিয়ে নিতে হবে।কারণ ভুলগুলো ছোট হলেও, তা নিয়োগকর্তার কাছে আপনার ব্যাপারে ভালো ধারণা দিবে না।

প্রুফরিড করার জন্য আপনি ‘গ্রামারলি’-এর মতো কিছু টুলস ব্যবহার করে দেখতে পারেন, যা আপনার আবেদন পত্রকে করবে আরও পেশাদার ও গোছালো।

শেষ কথা

চাকরিতে আবেদন করা যথেষ্ট শ্রমসাপেক্ষ এবং তা মাঝে মাঝে আপনার হতাশার কারণ হয়ে উঠতে পারে। তবে সময় নিয়ে আবেদন পত্র লেখার দিকে মনোযোগ দিলে তা আপনাকে দ্রুত ইতিবাচক ফল এনে দিতে সক্ষম।

আমরা আশা করছি আমাদের আজকের লেখাটি আপনাকে পরবর্তী চাকরির জন্য কভার লেটার লিখতে সাহায্য করবে। উল্লেখিত টিপসগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি সহজেই অন্যান্য প্রার্থীদের ভিড়েও আপনার কাঙ্ক্ষিত চাকরির জন্য প্রথম ইন্টারভিউ কলটি পেতে পারেন।

হাজারো চাকরির বিজ্ঞাপন দেখতে ঘুরে আসুন- এন্ট্রি-লেভেল এবং দক্ষতা ভিত্তিক চাকরির জন্য #১ নাম্বার জব পোর্টাল BikroyJOBS! আপনার পেশাগত জীবনের সাফল্য কামনা করছি! 

চাকরি খুঁজে নিন in Dhakaচাকরি খুঁজে নিন in Chattogram
চাকরি খুঁজে নিন in Dhaka Divisionচাকরি খুঁজে নিন in Khulna Division
চাকরি খুঁজে নিন in Sylhetচাকরি খুঁজে নিন in Chattogram Division
Facebook Comments
সাবস্ক্রাইব করুন

No spam guarantee.

Show More

Related Articles

Back to top button
Close
Close