চট্টগ্রামে প্রপার্টি বা সম্পত্তির খোঁজখবর
অনভিজ্ঞ লোকজনের কাছে প্রপার্টির বাজার অত্যন্ত জটিল বলে মনে হতে পারে। কোনো একটি অ্যাপার্টমেন্ট, বাড়ি বা যৌথ মালিকানাভিত্তিক প্রপার্টি কেনা বা ভাড়া করার জন্য একগাদা টাকা খরচ করার আগে আপনাকে সেটির অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। বর্তমানে, বাংলাদেশে প্রপার্টি কেনা বা ভাড়া নেয়ার পক্ষে সেরা হিসেবে বিবেচিত স্থানগুলোর একটি হলো চট্টগ্রাম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাজার অনেক বেশি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে এবং প্রকৃতপক্ষে তা ঊর্ধ্বগামী হতে শুরু করেছে। বিগত কয়েক বছরের নিম্নমুখী মূল্যের তুলনায় এটিকে বিপুল উন্নতিই বলতে হবে। আপনি যদি আপনার পরিকল্পনাধীন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য কয়েক খন্ড জমি পেতে চান তবে এই শহরের মধ্যে পছন্দ করে নেয়ার মত বহু ধরনের প্রপার্টি রয়েছে। বিক্রয় অথবা ভাড়ার জন্য সকল স্তরের উপার্জনশীল মানুষের সামর্থের মধ্যে বিভিন্ন দামের প্রপার্টিও আপনি এখানে পেতে পারেন।
চট্টগ্রামের ব্যাপারে একটি ভালো দিক হলো বিভিন্ন ধরনের অগ্রাধিকারভিত্তিক পছন্দের জন্য শৈলী এবং রুচির নিরিখে বিভিন্ন ধরনের প্রপার্টি এখানে রয়েছে। যারা অতি সম্প্রতি পারিবারিক জীবন শুরু করেছেন তাদের জন্যও এখানে অনেক অ্যাপার্টমেন্ট এবং ফ্ল্যাট রয়েছে। আপনার যদি এমন কোনো ব্যবসা থেকে থাকে যেটিকে আপনি চট্টগ্রামে স্থানান্তর করতে চান তবে আপনি শহর এলাকার মধ্যেই বিপুল সংখ্যক বাণিজ্যিক প্রপার্টি সহজেই পেয়ে যাবেন। আপনি যদি এই শহরে বদলী হতে চান তবে আপনি এবং আপনার পরিবারের থাকার মত জায়গা ভাড়ায় পাওয়ার অভাব হবে না। চট্টগ্রামের প্রপার্টির বাজার সম্পর্কে জানতে চলুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর দেয়া যাক। এর সাথে আরও দেখে নিয়ে পারেন ২০১৮ সালে আবাসন খাত এর সার্বিক অবস্থা নিয়ে আমাদের একটি ইনফোগ্রাফিক।
অ্যাপার্টমেন্ট ও ফ্ল্যাট
এই দুটি জিনিসের বাজার বিগত বহু বছরের তুলনায় এখন অনেক ভালো। বর্তমানে সুলভ মূল্যে ক্রয় করার মত পর্যাপ্ত ইউনিট পাওয়া যায় যা কয়েক বছর আগেও অনেক বেশি ব্যয়বহুল ছিল। আপনি যদি চট্টগ্রামে বসবাস করতে সত্যিই আগ্রহী হন তাহলে আপনার পক্ষে খুব শীঘ্রই গুরুত্ব সহকারে প্রপার্টির খোঁজখবর আরম্ভ করাটাই উত্তম হবে। বর্তমানে দাম যদিও সুলভ কিন্তু নিশ্চিতভাবে এই দাম আবার উঠানামা করতে শুরু করবে। দাম যদি ঊর্ধ্বগামী হতে শুরু করে তবে আপনি হয়ত আপানার নিজের এবং আপনার পরিবারের জন্য একটি আদর্শ জায়গা সুলভ মূল্যে আর না ও পেতে পারেন। বাংলাদেশের বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পেতে আমরা যদি অতীত প্রবণতাগুলো যাচাই করি তবে আমরা দেখতে পাই যে, প্রতি ছয় থেকে আট মাস পরপর দাম নাটকীয়ভাবে উঠানামা করতে শুরু করে। দামের এই উঠানামার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। মোদ্দা কথা হলো, কোনো একটি জায়গার খোঁজখবর নেয়ার জন্য সময়ের অপেক্ষায় বসে থাকাটা হবে মারাত্মক ভুল।
জমির প্লট
বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশের মধ্যে চট্টগ্রাম সেরা স্থানগুলোর অন্যতম হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এখানকার মাটি বিভিন্ন উচ্চতাবিশিষ্ট বৃহৎ দালানকোঠার ভিত্তি নির্মাণের পক্ষে যথেষ্ট উপযুক্ত। আপনার প্রকল্প যত বড় এবং জটিলই হোক না কেন তা বাস্তবায়ন করার মত বিপুল সংখ্যক ঠিকাদার এবং দক্ষ শ্রমিক শহর এলাকার মধ্যেই রয়েছে। জমির প্লটের জন্য আপনাকে কতটা দাম পরিশোধ করতে হবে তা সরাসরি নির্ভর করে জমির অবস্থান এবং প্লটের আকারের উপর। দামের ক্ষেত্রে জমির আবর্জনা উপাদান ও মাটির গুণাগুণও বিচার্য বিষয়। এর কারণ হলো নির্মাণকাজের জন্য কিছু জমি অন্যগুলোর তুলনায় অধিকতর ভালো। যে কোনো নির্মাণ প্রকল্প শুরু করার পূর্বে জমির গুণাগুণ ভালোভাবে যাচাই করে নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে ভবনটি নির্মাণ করতে চাচ্ছেন সেটির ভার বহনের পক্ষে মাটি যথেষ্ট শক্ত কি-না তা আপনাকে দেখে নিতে হবে। এর সাথে জেনে নিন প্লট বা জমি কেনার খুঁটিনাটি বিষয়াদি গুলো।
বাণিজ্যিক প্রপার্টি
বর্তমানে, ব্যবসা আরম্ভ করার পক্ষে সমগ্র বাংলাদেশের সেরা স্থানগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম অন্যতম। এর প্রাথমিক কারণগুলোর একটি হলো, জমির মানসম্পন্ন প্লট যেগুলোকে বাণিজ্যিক স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে বিশেষভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দামও কমে গিয়েছে। ফলে, ক্ষুদ্র ব্যবসার মালিকদের পক্ষে স্বল্প খরচে তাদের ব্যবসার নতুন শাখা খোলা সহজ হয়েছে। এই জমির দাম নির্ভর করবে এটি কোথায় অবস্থিত তার উপর। উদাহরণস্বরূপ, এটি যদি কোনো বড় রাস্তা বা ব্যবসাকেন্দ্রের নিকটে হয়ে থাকে তবে এর দাম বেশ খানিকটা বেশি পড়বে, কারণ এর চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি। এই ধরনের এলাকা ব্যবসা মালিকদের পছন্দসই হওয়ার কারণ হলো ব্যবসার আয় উন্নতির পক্ষে এই এলাকা দিয়ে বিপুলসংখ্যক পথচারি ও গাড়ি যাতায়াত করে। যেহেতু বাণিজ্যিক প্রপার্টির দাম বর্তমানে কম তাই আগ্রহী লোকজনের উচিত দাম বাড়তে শুরু করার আগেই অবিলম্বে উপলভ্য প্রপার্টিগুলোর খোঁজখবর নেয়া। ভবিষ্যতে বর্ধিত দামের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে তাদের উচিত বেশি সংখ্যায় প্রপার্টি ইজারা নিয়ে রাখার চেষ্টা করা।
ভাড়ায় প্রাপ্তব্য প্রপার্টি
পরিবার নিয়ে বসবাসের জন্য বাড়ি এবং বৃহত্তর পরিসরের প্রপার্টি ভাড়া নেয়াটা চট্টগ্রামে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, কারণ বর্গফুট হিসাবে সেগুলোর ভাড়া ছোটখাটো অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়ার তুলনায় অনেক কম হয়ে থাকে। এই ব্যাপারটি, অদূর ভবিষ্যতে সন্তান গ্রহণের পরিকল্পনাকারী দম্পতির কাছে এই ধরনের প্রপার্টিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে এই শহরে বাড়ি ভাড়ার বাজার খুবই লাভজনক হয়ে উঠেছে। এর ফলে এমন কিছু লোকজন নিয়ে একটি নতুন ধরনের বাজার গড়ে উঠেছে যারা ভাড়া দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রপার্টি ক্রয় করে থাকেন এবং সেটির ভাড়া থেকে মুনাফা অর্জন করে থাকেন। কোনো বাড়ি ভাড়া নেয়ার পূর্বে আপনাকে সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে নিতে হবে যাতে এমন কোনো বিষয় না থাকে যেটি ভবিষ্যতে আপনার জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। শহর এলাকার মধ্যে আপনি কোন আকারের বাসস্থান খুঁজছেন সেটি কোনো ব্যাপার নয়, আপনার প্রয়োজন অনুপাতে যে কোনো একটি স্থান খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন। এর কারণ হলো, ভাড়াযোগ্য উপলভ্য প্রপার্টির পরিমাণ অনেক বেশি। আরও কিছু সাহায্য পেতে দেখুন কিভাবে আপনার আশেপাশেই ভাড়ার জন্য অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজে পাবেন।
প্রপার্টির জন্য সেরা স্থানসমূহ
চট্টগ্রাম সিটি সেন্টার দ্রুত বর্ধনশীল এবং বাংলাদেশে বসবাসের পক্ষে অতি কাঙ্খিত স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে। এ কারণে, শহরের অন্যান্য এলাকার চাইতে এটি অধিক ব্যয়বহুল। যাহোক, এখানে কোনো জায়গা ভাড়া করলে আপনি শহরের নাগরিক সুবিধাগুলো হাতের কাছে পাবেন। ছাত্রছাত্রীদের পক্ষেও বসবাসের জন্য এটি একটি ভালো জায়গা কারণ শহরের বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যায়গুলোর কয়েকটি এ জায়গার নিকটেই অবস্থিত। উপলভ্য ফ্ল্যাটগুলোকে একনজর দেখে নিন। সেগুলোর কোনো একটা আপনার পছন্দ হয়ে যেতে পারে।
Property for sale in Dhaka | Property for sale in Chattogram |
Property for sale in Dhaka Division | Property for sale in Khulna Division |
Property for sale in Sylhet | Property for sale in Chattogram Division |