আসন্ন সব স্মার্টফোনে সেরা যে ফিচারগুলো না থাকলেই নয়
২০১৮ সাল প্রায় শেষের পথে এবং চলতি বছরে আমরা প্রযুক্তিগত দিকগুলোয় যুগান্তকারী কিছু পরিবর্তন ও আপগ্রেড ঘটতে দেখেছি। ইদানিং স্মার্টফোন গুলো উচ্চমূল্যের ল্যাপটপ ও নোটবুকের কার্যকারিতার সমপর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, তার উপর এগুলো ওজনে অনেক হালকা এবং অধিক বহনযোগ্য। আজকের আধুনিক স্মার্টফোন উৎপাদনের প্রযুক্তির কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে যুগোপযোগী ও সর্বাধুনিক ফিচারের সংগ্রহ। এদের মধ্যে কিছু ফিচার এমন রয়েছে যেগুলো আগের থেকে কিছুটা আপগ্রেড হয়েছে, আবার কিছু এমন ফিচারও কিছুদিন পর পর বাজারে আসে যেগুলো সম্পূর্ণ নতুন, আকর্ষণীয় এবং এগুলোর জন্য আমাদের পকেট ফাঁকা করে দেয়া যায় অনায়াসে!
অবশ্য আমরা চাইলেও হয়ত সব গুলো সেরা ফিচার একই ডিভাইসে পাব না, কিন্তু নিচে উল্লেখিত ফিচারগুলোর মধ্যে অন্তত কয়েকটি ফিচার আজকের আধুনিক স্মার্টফোনে না থাকলেই নয়। এই নিবন্ধটি পড়ার আগে দেখে নিন এই মুহূর্তে বিক্রির শীর্ষে থাকা স্মার্টফোনগুলো।
একটি ফুল স্ক্রিন ১৮:৯ মাপের ডিসপ্লে
আধুনিক ফিচার সমূহের মধ্যে ফুল স্ক্রিন ডিসপ্লে আসলে এমন একটি ফিচার যা আমরা ব্যবহার না করা পর্যন্ত কখনও বুঝবো না যে এর অনুভব কি রকম আর এটি কেনা ঠিক হবে কি না। বিশ্বাস করুন, আপনি একবার এই ডিসপ্লে কোন রকম ব্যবহার করে দেখার পর পুরনো আর কোন ধরণের ডিসপ্লেই আপনার কাছে ভালো লাগবে না।
এলজি জি৬ এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি এস.৯/এস৯+ এর মত ফোনগুলোর মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ ঘটার পর থেকেই আমরা দেখে আসছি যে ১৮:৯ মাপের ডিসপ্লে গুলো সাধারণ যেকোন মাপের ফোন ডিসপ্লের তুলনায় বেশ লম্বাটে। এতে করে ডিভাইসটি দেখতে কিছুটা সরু মনে হয় এবং এক হাতে বা ওয়ান-হ্যান্ডেড মোডে এই ফোনগুলো ধরা ও ব্যবহার করা অনেক বেশি আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্যের। এই মাপের স্ক্রিন সাইজের একটি ছোট্ট সমস্যা হচ্ছে যে বেশির ভাগ অ্যাপস ও মিডিয়া এখনও এই মাপের জন্য তৈরিই করা হয় নি। এই কারণে এই মাপের ডিভাইসে কিছু কিছু অ্যাপ ব্যবহার করা কিংবা ভিডিও দেখার সময় স্ক্রিনের ওপরে ও নিচের দিকে কালো বার দেখা যেতে পারে।
একটা ভালো খবর হচ্ছে যে প্রায় সব গুলো চাইনিজ কোম্পানি তাদের বিভিন্ন নতুন স্মার্টফোনগুলো ১৮:৯ মাপের ফুল স্ক্রিন ডিসপ্লে সহ বাজারে ছাড়ছে। এমনকি তারা তাদের ফ্ল্যাগশিপ মডেল ছাড়া অন্য ডিভাইস গুলোতেও এই রেশিও ব্যবহার করছে! সেই সাথে তাল মিলিয়ে মিডিয়া ডেভেলপার কোম্পানিগুলোও আজকাল সেই চমৎকার রেশিও বজায় রেখে তাদের অ্যাপ গুলো তৈরি করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমানে আপনার বাছাই করে নেয়ার জন্য বাজারে অনেক গুলো স্মার্টফোন মডেল রয়েছে এবং এগুলোর দামও দিন কে দিন কমে যাচ্ছে।
দীর্ঘতর ব্যাটারী লাইফ
বিগত কয়েক বছরে ব্যাটারীর প্রযুক্তিতে বিশাল রকম আপগ্রেড এসেছে। আজকের স্মার্টফোন গুলো আগের চেয়ে অনেক দ্রুত চার্জ যেমন হচ্ছে, তেমনই এক চার্জে অনেক লম্বা সময় চার্জ ধরেও রাখছে ও কাজ করছে। আপনার ফোনে হয়ত পৃথিবীর সেরা কনফিগারেশন ও ফিচারের সংগ্রহ থাকতে পারে, কিন্তু সে ফোনে ব্যাটারীর চার্জ যদি বেশিক্ষণ না থাকে তাহলে এ সব কিছুই ফিকে হয়ে যায়। আজকাল মার্কেটপ্লেসগুলোয় বিভিন্ন ভালো দামের স্মার্টফোন পাওয়া যায় যেগুলোর ব্যাটারী লাইফ দুর্দান্ত।
আপনি যদি অন্যান্য আধুনিক সব ফিচারের পাশাপাশি বেশ বড় ব্যাটারী লাইফ আছে এমন একটি স্মার্টফোন কিনতে চান, তাহলে বেছে নেয়ার জন্য বেশ অল্প কিছু অপশন আপনার হাতে রয়েছে। প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং আজকের স্মার্টফোন গুলোর উচ্চ পারফরমেন্স সমৃদ্ধ ফিচারের সাথে, শুধুমাত্র ৩০০০এমএএইচ ব্যাটারী আমাদেরকে সর্বোত্তম পাওয়ার সরবরাহ করতে পারে না। আধুনিক স্মার্টফোনে এর সব সেরা ফিচারগুলো ব্যবহার করার জন্য অন্তত পক্ষে ৪০০০ থেকে ৫০০০এমএএইচ এর অধিক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারী প্রয়োজন হয়, তা না হলে কিছুক্ষন পর পরই আপনার ফোন চার্জে দিতে হবে।
পানিরোধী ন্যানো কোটিং
পৃথিবী বিখ্যাত টেক-জায়ান্ট কোম্পানি স্যামসাং ইতোমধ্যে কয়েক বছর ধরে তাদের পানিরোধী ফ্ল্যাগশীপ স্মার্টফোন বাজারে বিক্রি করে আসছে। এরকম সময়ে অন্যান্য কোম্পানিগুলোরও উচিত তাদের ট্রেন্ডী ও আধুনিক ফোন মডেলগুলোতে পানিরোধী ন্যানো কোটিং ব্যবহার করা ও সেগুলোকে পানিরোধী করে তোলা! বিভিন্ন কোম্পানি আজকাল এই বিষয়টা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে দেখছেন, কিন্তু আমরা চাই এই প্রয়োজনীয় ফিচারটি সব ফোনের জন্য খুলে দেয়া হোক। ২০১৮ সালে এসে একটি স্মার্টফোনকে পানিরোধী করতে না পারার যুক্তিগত ও প্রযুক্তিগত কোন কারণ বা অযুহাত থাকতে পারে না!
এই বছর বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক স্মার্টফোন কোম্পানি তাদের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো পানিরোধী প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা শুরু করেছে, যেমন- স্যামসাং, আপল, গুগল পিক্সেল, এলজি, হুয়াওয়ে, এইচটিসি ইত্যাদি। আশা করি, আসছে বছরে আমরা খুব শীঘ্রই স্বল্প-বিখ্যাত ও সাধ্যের মধ্যে থাকা স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে পানিরোধী বেশ কিছু ফোনের মডেল পাব।
ইউএসবি টাইপ সি
আমরা হয়ত এমনটা শুধু ভাবিই যে টাইপ সি ইউএসবি কেবল বর্তমান সময়ের একটি ডিফল্ট স্ট্যান্ডার্ড হয়ে গেছে, কিন্তু সত্যি বলতে এখনও সব রকম নতুন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য এই কেবল চালু হয় নি। যদিও আজকাল মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ধরণের ইউএসবি অ্যাডাপ্টার ও কনভার্টার পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু এটাই অভ্যাসে পরিণত হওয়া উচিত নয়!
ইউএসবি টাইপ সি এর পোর্টগুলো আকারে ছোট, দ্রুততর, অধিক ফ্লেক্সিবল এবং সবচেয়ে বড় কথা, এটি রিভারসিবল কোয়ালিটি সম্পন্ন। এর মানে হচ্ছে আপনাকে এই কেবল ফোনের সকেটে প্লাগ-ইন করার সময় কোন রকম বিভ্রান্তিতে পড়ার কোন সুযোগই নেই। এটি অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন এবং বর্তমানের ইউএসবি স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং ইতোমধ্যে বিভিন্ন রকম প্রোডাক্টের সাথে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অতএব আমরা স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে আশা করি যে তারা ২০১৮ সাল থেকে শুরু করে এই ফরম্যাটের সাথে ভালোভাবে পরিচিত হয়ে নিয়ে এর সদ্ব্যবহার করতে পারবে।
লেটেস্ট এন্ড্রয়েড ভার্সন ও আপডেট
সত্যি বলতে গেলে এই সময়ে লেটেস্ট এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম সহ চাইনিজ স্মার্টফোন নির্মাতারা তাদের স্মার্ট ডিভাইস বাজারে ছাড়ার ব্যাপারে অনেক বেশি অগ্রবর্তী। কিন্তু এখনও সব ধরণের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড এই চর্চা ব্যাপক ভাবে শুরু করেনি। আজকাল আমরা দেখতে পাই বড় বড় স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলো আপডেটের অপশন দিয়ে দিচ্ছে তাদের সব ডিভাইসে, আর ছোট কম জনপ্রিয় ভেন্ডররা তাদের নতুন স্মার্টফোনগুলো লেটেস্ট এন্ড্রয়েড ওএস সহ তৈরি করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত এর মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা স্মার্টফোন নির্মাতারা এখনও তাদের পুরনো অপারেটিং সিস্টেম ভিত্তিক লেটেস্ট রম বাজারে ছাড়ার খারাপ অভ্যাস ধরে রেখেছে। এতে করে তারা এই বিশাল প্রতিযোগিতামূলক প্রযুক্তির বাজারে নিজেদের অবস্থানকে নড়বড়ে করে ফেলেছে।
আমরা আশা করি সকল স্মার্টফোন কোম্পানিরা এগিয়ে আসবেন এবং ‘স্মার্ট’ কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিছু শিখবেন, যারা সত্যিকার অর্থে কাস্টমারের সন্তুষ্টির কথা ভাবেন এবং দ্রুত সকলের মন জয় করে নিতে জানেন।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার
এটা খুবই স্বাভাবিক যে স্ক্রিনের নিচে লুকানো ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার ইতোমধ্যে ২০১৮ সালের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ফিচার। বিভিন্ন নতুন ও পুরনো স্মার্টফোন কোম্পানি তাদের বিশেষ ফ্ল্যাগশীপ ফোনগুলো এই ফিচার সহ বাজারে ছাড়ছে এবং রাতারাতি খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে একটি স্মার্ট ডিভাইস কোম্পানি তাদের নতুন এবং উন্নত স্মার্টফোন মডেলগুলোকে পানিরোধী করে তোলার পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে। এছাড়াও এর সাহায্যে ফোনের পৃষ্ঠে থাকা উঁচু নিচু যায়গা অনেকটা কমে আসে এবং ডিভাইসটি স্পর্শ করা ও ব্যবহারে ক্ষেত্রে অনেক বেশি মসৃণ ও আরামদায়ক হয়ে ওঠে।
আমরা ২০১৮ সালে সব স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের থেকে এমন আশা করতে পারি না যে তারা সবাই তাদের সব ডিভাইসের ওপর এই নতুন প্রজন্মের সিকিউরিটি সিস্টেম প্রয়োগ করতে পারবে। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস যে তারা অন্তত সব ফ্ল্যাগশীপ ডিভাইস গুলোকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপগ্রেড করবে, বিশেষ করে বড় স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে এটুকু তো আশা করাই যায়।
ক্যামেরা কোয়ালিটি
আমরা এখনও অবাক হয়ে যাই এটা দেখে যে এখনও কত শত এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনে কতটা নিম্ন মানের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়! আমরা আরো অবাক হই যখন দেখি যে কিছু নির্দিষ্ট উচ্চ মূল্যের স্মার্টফোন নির্মাতারা দিন দিন তাদের পুরনো পদ্ধতিতে ফিরে গিয়ে তাদের স্মার্টফোন ক্যামেরায় শুধুমাত্র একটি ভালো দামের সেন্সর ব্যবহার করছে, অথচ অ্যাপটির পেছনে ব্যবহার হওয়া লেন্স ও সফটওয়্যার এর কোয়ালিটি ভালো করার জন্য কোন চেষ্টাই করছে না!
প্রযুক্তির উৎকর্ষের সাথে সাধারণ মানুষও এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় ভালো কোয়ালিটির ফটোগ্রাফির দিকে ঝুঁকছে। বেশির ভাগ মানুষের একই সাথে একটি দামী স্মার্টফোন এবং একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা কেনার সামর্থ্য থাকে না। তার উপর এটাও সত্য যে ফটোগ্রাফি আসলে পুরোপুরি নির্ভর করে ভালো ভিজুয়াল সেন্স এবং নূন্যতম কোয়ালিটি সম্পন্ন প্রযুক্তির উপর। আমাদের লিস্টের বেশির ভাগ আইটেমের মতই, এই যুগে এসে কোন স্মার্টফোন দারুণ মানের একটি ক্যামেরা ছাড়া বাজারে ছাড়া বা বিক্রি করার কোন কারণই থাকতে পারে না।
হেডফোন জ্যাক
আমরা এখনকার টাইপ সি ইউএসবির প্রযুক্তিকে যতটাই ভালোবাসি না কেন, এখনও আমরা একটি অসাধারণ হেডফোন সেটকে ফোনের সাথে সংযোগ দেয়ার একমাত্র অপশন হিসেবে ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট থাকার কষ্টটাকে মেনে নিতে পারছি না! কিন্তু হ্যাঁ, আপনি চাইলেই একটি ৩.৫ মিলিমিটার পিনকে একটি টাইপ সি ইউএসবিতে কনভার্ট করার জন্য বিশেষ কেবল ও কনভার্টার কিনতে পারেন। কিন্তু এই ধরণের সমাধান আমরা গতানুগতিক অ্যাপল ডিভাইসের কাছ থেকে আশা করতে পারি বড়জোর, উন্নত কোয়ালিটির এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলোর কাছ থেকে নয়।
সর্বাধুনিক পানিরোধী প্রযুক্তি বাজারে থাকার পরও বর্তমানে হেডফোন জ্যাকে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে পানি লাগার মত দুর্ঘটনা নিয়ে ভয় পাওয়ার কোন কারণই থাকা উচিত নয়। আমরা ইতোমধ্যে স্যামসাংকে দেখেছি তাদের লেটেস্ট ফ্ল্যাগশীপ মডেল স্যামসাং গ্যালাক্সী এস৯ একটি ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাকের সাথে বাজারে ছেড়েছে। তাই আমরা আশা করতেই পারি যে অন্যান্য স্মার্টফোন কোম্পানিরাও তাদের এই পদাঙ্ক অনুসরণ করবে।
ওয়াও ফ্যাক্টর
মনে পড়ে ঘূর্ণনশীল ক্যামেরা, আকর্ষণীয় ডিজাইনের আপগ্রেড এবং ডুয়াল স্ক্রিন ফোনের কথা, যেগুলো আমরা দেখেছি খুব বেশি দিন হয় নি? স্বীকার করতে কষ্ট হয়, কিন্তু এটাই সত্য যে ২০১৮ সালে রিলিজ হওয়া বেশির ভাগ স্মার্টফোনই তাদের ওয়াও ফ্যাক্টর ডিপার্টমেন্টে কিছুটা দমে গিয়েছে। শুধুমাত্র অল্প কিছু স্মার্টফোন তাদের উদ্ভাবনী নতুন ফিচার এবং আইডিয়ার কারণে বাকিদের থেকে সত্যিকার অর্থে আলাদা হয়ে উঠেছে।
মাত্র কয়েক বছর আগের কথা, স্মার্টফোন নির্মাতারা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেয়ার জন্য ঝুঁকি নিতে সব সময় প্রস্তুত থাকতেন! তারা তখন দারুণ সব উদ্ভাবনী পণ্য বাজারে নিয়ে আসতো এবং আকর্ষণীয় নতুন ফিচারের সাথে নিজেদের সীমাকে নতুন করে চ্যালেঞ্জ করতে পছন্দ করতো। এই কারণেই সত্যিকার অর্থে চাইনিজ প্রযুক্তির শিল্প বেশির ভাগ ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনের চেয়েও অধিক পরিমানে সেল বাড়াতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু এই বছর মনে হচ্ছে, সেই দিন গুলোকে আমরা অনেক পেছনে ফেলে এসেছি। আমরা সত্যিকার ভাবে আশা করি যে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো নতুন নতুন সব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে এবং আমরা অধির আগ্রহে আবারো নতুন করে হতবাক হওয়ার আশা করছি!
উপসংহার
এই সব অসাধারণ ফিচার সহ ২০১৮ এর লেটেস্ট ও সেরা স্মার্টফোন মডেলগুলো বিভিন্ন অনলাইন এবং অফলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন Bikroy.com এ পাওয়া যাচ্ছে। খেয়াল করে সব রকম ভিন্ন ভিন্ন স্মার্টফোনের তালিকা থেকে ভালোভাবে ব্রাউজ করে ভিন্ন ভিন্ন মডেলের মধ্যে তুলনা করে দেখুন এবং জেনে নিন কোন ফিচারগুলো আপনার বেশি পছন্দ! বিভিন্ন জনপ্রিয় কোম্পানির পক্ষ হতে ফ্ল্যাগশীপ ফোনগুলোর উপর দারুণ সব ডিল খুঁজে পান Bikroy Deals এ। আজই Bikroy এ আপনার রিসার্চ সম্পন্ন করুন আর আপনার স্বপ্নের স্মার্টফোনটি লুফে নিন!