ইলেকট্রনিক্সটপ ও বেস্ট

বাংলাদেশের মার্কেটে সেরা ১০টি আসুস ল্যাপটপ

আপনি কি আপনার পুরোনো ল্যাপটপটি পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন? নাকি নিজের প্রথম ল্যাপটপটি কেনার জন্য মার্কেটপ্লেস ঘুরছেন? তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গাতেই এসেছেন!

টেক জগতের এক নামকরা ব্র্যান্ড আসুস তাদের অসাধারণ ডিজাইন ও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে বাজারের পিসি এক্সপার্ট ডেল, এইচপি এবং লেনোভোর মত রুই কাতলাদের সাথে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে চলেছে। তাইওয়ানের এই কম্পিউটার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি ১৯৮৯ সাল থেকেই বাজারে রয়েছে এবং আজ অবধি তারা ব্যাপক ধরণের কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী উৎপাদন করে চলেছে।

‘আসুস’ নামটা শোনার পর হয়ত প্রথমেই আপনাদের গেমিং ল্যাপটপের কথা মাথায় আসতে পারে। কিন্তু গেমিং ল্যাপটপ তৈরির জন্য তাদের বিশেষ সুনাম যেমন রয়েছে, তেমনি তারা আরো বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্যও তৈরি করেছে দারুণ সব ডিভাইস। যেমন- নিত্যদিনের ব্যবহার, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ইত্যাদির জন্য ল্যাপটপ এবং বেশ কিছু বাজেট বান্ধব কমপ্যাক্ট ডিজাইনের পিসি।

আজকের প্রতিবেদনে আমরা বাজারের সেরা কয়েকটি আসুস ল্যাপটপের মডেল সম্পর্কে আলোচনা করব এবং তাদের বর্তমান দাম জানব। যাতে করে আপনি সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে এদের মধ্যে কোনটির পেছনে আপনি বিনিয়োগ করবেন আর কোনটা আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো!

গেমিং ল্যাপটপ

আসুস আরওজি মাদারশিপ (জিজেড৭০০জিএক্স)

আসুস আরওজি মাদারশিপ (জিজেড৭০০জিএক্স)

আসুস ল্যাপটপের ইতিহাসে সম্ভবত এটিই সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও উচ্চমানের ল্যাপটপ। আপনার গেমিং এর সব রকম চাহিদা মেটানোর পর যদি আপনার আরো বেশি শক্তিশালী কনফিগারেশনের কোনো ল্যাপটপ কেনার ইচ্ছা হয়, তাহলে এই মডেলটিই আপনার জন্য পারফেক্ট।

আসুস-এর আরওজি মাদারশিপ ল্যাপটপটি এমন একটি অনন্য ডিজাইনে তৈরি, যা কিনা প্রচলিত ল্যাপটপের চেয়ে দেখতে অনেক বেশি আলাদা ও আধুনিক। এটি একটি অল ইন ওয়ান গেমিং পিসি হিসেবে কাজ করে, আর এর দুর্দান্ত স্ক্রিনটি মোট ১৭.৩ ইঞ্চি। ডিভাইসটির মনিটর অঞ্চলে এর সমস্ত মূল উপাদানগুলো সাজানো হয়েছে। আর এতে সংযুক্ত করা হয়েছে একটি হালকা ওজনের পৃথক আরজিবি কীবোর্ড, যা সহজেই আলাদা করা যায়।

এই ল্যাপটপটিতে দেয়া হয়েছে একটি শক্তিশালী ইনটেল কোর আই৯ প্রসেসর এবং এনভিডিয়া আরটিএক্স ২০৮০ জিপিইউ। আর তাই এর গ্রাফিক্স ও পারফরম্যান্স এক কথায় দুর্দান্ত! মাদারশিপ ল্যাপটপটিতে রয়েছে আকর্ষণীয় ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং ৩ মিলিসেকেন্ড রেসপন্স টাইম।

মূল স্পেসিফিকেশনঃ

  • অপারেটিং সিস্টেম – উইন্ডোজ ১০ হোম ৬৪ বিট
  • প্রসেসর – ৮ম জেনারেশনের ইনটেল কোর আই৯-৮৯৫০এইচকে প্রসেসর (৬ কোর, ১২ মেগাবাইট ক্যাশ, ৫.০ গিগাহার্জ পর্যন্ত ওভারক্লকিং)
  • চিপসেট – মোবাইল ইনটেল সিএম২৪৬
  • মেমোরি – ৬৪ জিবি ডিডিআর৪ ২৬৬৬ মেগাহার্জ র‍্যাম
  • স্টোরেজ – ৩ টি এম.২ এনভিএমই পিসিআইই ৩.০ x৪ ৫১২ জিবি এসএসডি
  • গ্রাফিক্স – এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ২০৮০
  • ডিসপ্লে – ১৭.৩ ইঞ্চি এফএইচডি আইপিএস লেভেল প্যানেল, ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট, ৩ মিলিসেকেন্ড রেসপন্স টাইম, ১০০% এসআরজিবি ডিসপ্লে
  • অডিও – স্মার্ট এএমপি প্রযুক্তি সহ ৪ এক্স ৪ ডব্লিউ স্পিকার
  • ব্যাটারি – ৪ সেলের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি

দাম: বাংলাদেশে ৩,৬৯,০০০ টাকা মাত্র। 

আসুস আরওজি জেফ্রাস এস১৫ (জিএক্স৫০২জিভি)

আসুস আরওজি জেফ্রাস এস১৫ (জিএক্স৫০২জিভি)

আসুস-এর জেফ্রাস এস১৫ মডেলটি দেখতে মোটেই মাদারশিপের মত নয়। বরং বাইরে থেকে একে একদম প্রচলিত একটি সাধারণ ল্যাপটপের মতই মনে হয়। কিন্তু শুধুমাত্র এর বাহ্যিক রূপ দেখে বিচার করাটা একেবারেই বোকামি। আসলে ইনটেলের কোর আই৭-৯৭৫০এইচ প্রসেসর এবং এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ২০৭০ গ্রাফিক্স সহ এই মডেলটিতে রয়েছে উন্নত মানের গেমিং অভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্সের এক দারুন সমন্বয়। এতে রয়েছে একটি মাঝারি মানের ১৫.৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট প্রায় ২৪০ হার্জ পর্যন্ত, ৩ মিলিসেকেন্ড রেসপন্স টাইম এবং এসআরজিবি কালার গ্যামুটের ১০০ ভাগ কভারেজ। এছাড়াও ডিসপ্লেটিতে রয়েছে  এনভিডিয়ার এন্টি স্টাটার জি সীঙ্ক প্রযুক্তি।

আরওজি জেফ্রাস এস১৫ ডিভাইসটি এর বাহ্যিক রূপের দিক থেকে বেশ মার্জিত। এর কীবোর্ডটিতে হাতের ছাপ পড়া ঠেকানোর জন্য এর ম্যাগনেশিয়াম অ্যালয় কাঠামোর উপর সফট-টাচ পেইন্টের প্রলেপ দেয়া হয়েছে। কীবোর্ডের বাটনগুলোর অবস্থান ভেতরের দিকে না হয়ে তাদের সঠিক জায়গামত সামনের দিকে রাখা হয়েছে, আর তার ঠিক ডানদিকে টাচ-প্যাডটি দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে পুরো লে-আউটটা ব্যবহারের উপযোগী, আরামদায়ক এবং আরো স্বাছন্দ্যময় হয়ে উঠেছে।

এই মডেলটির একমাত্র সীমাবদ্ধতা হচ্ছে এতে কোনো ওয়েবক্যাম বসানো হয় নি। আর এর বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এর দারুণ ডিসপ্লের চারদিকে আরো সরু বেজেল।

মূল স্পেসিফিকেশনঃ

  • অপারেটিং সিস্টেম – উইন্ডোজ ১০ প্রো ৬৪ বিট
  • প্রসেসর – ৯ম জেনারেশনের ইনটেল কোর আই৭-৯৭৫০এইচ ৬ কোর প্রসেসর, ২.৬ গিগাহার্জ (৪.৫ গিগাহার্জ পর্যন্ত টার্বো)
  • চিপসেট – মোবাইল ইনটেল এইচএম৩৭০ এক্সপ্রেস
  • মেমোরি – ১৬ জিবি ডিডিআর৪ ২৬৬৬ মেগাহার্জ র‍্যাম
  • স্টোরেজ – ৫১২ জিবি পিসিআইই এনভিএমই এসএসডি
  • গ্রাফিক্স – এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ২০৬০, ৬ জিবি জিডিডিআর৬ গ্রাফিক্স
  • ডিসপ্লে – ১৫.৬ ইঞ্চি, এফএইচডি আইপিএস লেভেল প্যানেল, ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট, ৩ মিলিসেকেন্ড রেসপন্স টাইম, ১০০% এসআরজিবি, প্যানটোন অনুমোদিত, জি-সীঙ্ক ডিসপ্লে
  • অডিও – স্মার্ট এএমপি প্রযুক্তি অ্যারে মাইক্রোফোন সহ ২ টি স্পিকার
  • ব্যাটারি – ৭৬ ওয়াট-ঘন্টা, ৪এস১পি, ৪ সেলের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি

দাম: বাংলাদেশে ১,৫৫,৮০০ টাকা মাত্র।

আসুস আরওজি স্ট্রিক্স হিরো ২ (জিএল৫০৪জিএম)

আসুস আরওজি স্ট্রিক্স হিরো ২ (জিএল৫০৪জিএম)

ব্যবহারকারীদের মাঝে গেমিং ল্যাপটপগুলোর মধ্যে আরওজি স্ট্রিক্স হিরো ২ এই মডেলটি তুলনামূলক বেশি জনপ্রিয় এক নাম। উচ্চতর গ্রাফিক্স এবং অসাধারণ পারফরম্যান্স – একই রেঞ্জের মধ্যে আরো বড় গেমিং ডিভাইসগুলোর তুলনায় এ সবকিছুই আপনারা পাচ্ছেন অনেক সাশ্রয়ী একটি দামে। স্ট্রিক্স হিরো ২ ল্যাপটপটিতে ব্যবহার করা হয়েছে লেটেস্ট ইনটেল কোর আই৭-৮৭৫০এইচ প্রসেসর এবং এনভিডিয়া জিটিএক্স ১০৬০ ৬জিবি গ্রাফিক্স। তাই বাজেটের মধ্যে এটি একটি দুর্দান্ত গেমিং ল্যাপটপ।

ডিভাইসটির ১৫ ইঞ্চি বেজেল-লেস ডিসপ্লে এই মডেলটিকে অনেক বেশি প্রিমিয়াম একটা লুক এবং অনুভব এনে দিয়েছে। যদিও এই ডিভাইসটির বডিতে প্লাস্টিকের ব্যবহার এর আকর্ষণ কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে। এর ওয়েবক্যামের অবস্থানটাও বেশ অদ্ভুত। প্রচলিত পদ্ধতিতে স্ক্রিনের উপরের দিকে মাঝামাঝিতে না হয়ে এই মডেলের ওয়েবক্যামটি বেইজ এজ অর্থাৎ ভেতরের ভাঁজের দিকে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু সব মিলিয়ে এটি একটি ভালোভাবে তৈরি নোটবুক, যা এই কোম্পানির অন্যান্য ল্যাপটপের তুলনায় বেশ মসৃণ ও আকর্ষণীয় ডিজাইনে সুসজ্জিত।

মূল স্পেসিফিকেশনঃ

  • অপারেটিং সিস্টেম – উইন্ডোজ ১০ হোম ৬৪ বিট
  • প্রসেসর – ৮ম জেনারেশনের ইনটেল কোর আই৭-৮৭৫০এইচ এবং ইনটেল কোর আই৫-৮৩০০এইচ প্রসেসর, ২.২ গিগাহার্জ (৩.৯ গিগাহার্জ পর্যন্ত টার্বো)
  • চিপসেট – মোবাইল ইনটেল এইচএম৩৭০ এক্সপ্রেস
  • মেমোরি – ১৬ জিবি ডিডিআর৪ ২৬৬৬ মেগাহার্জ র‍্যাম
  • স্টোরেজ – ১ টেরাবাইট ৫৪০০ আরপিএম এইচডিডি, ১২৮ জিবি/ ২৫৬ জিবি/ ৫১২ জিবি এসএসডি
  • গ্রাফিক্স – এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স ১০৬০, ৬ জিবি জিডিডিআর৫ গ্রাফিক্স
  • ডিসপ্লে – ১৫.৬ ইঞ্চি, এফএইচডি ১৪৪ হার্জ হাই রিফ্রেশ রেট, আইপিএস লেভেল এন্টি-গ্লেয়ার ডিসপ্লে
  • অডিও – স্মার্ট এএমপি প্রযুক্তি অ্যারে মাইক্রোফোন সহ ২ এক্স ১ ডব্লিউ স্পিকার
  • ব্যাটারি – ৪ সেলের লিথিয়াম আয়ন, ৬৬ ওয়াট-ঘন্টা, ৪এস১পি ব্যাটারি

দাম: বাংলাদেশে ৯৪,৩০০ টাকা মাত্র।

জেনবুক ল্যাপটপ

আসুস জেনবুক ১৫ (ইউএক্স৫৩৪এফটি)

আসুস জেনবুক ১৫ (ইউএক্স৫৩৪এফটি)

আসুস তাদের এই মডেলটিকে ৩টি শব্দের সাহায্যে বর্ণনা দিয়েছে- সৃজনশীলতা, স্টাইল ও উদ্ভাবন। এই মডেলটির মূল উদ্দেশ্য সত্যিকার অর্থে বুঝতে চাইলে আগে এই শব্দগুলোর প্রত্যেকটিকে আলাদা ভাবে বুঝতে হবে। ১৫ ইঞ্চি স্ক্রিনের রেঞ্জে এই মডেলটি অন্যতম ছোট একটি ল্যাপটপ এবং এতে একটি অপরূপ ফ্রেম বিহীন ন্যানো-এজ ডিসপ্লে ফিচার করা হয়েছে। এই মডেলটিতে আরো দেয়া হয়েছে যুগান্তকারী স্ক্রিনপ্যাড ২.০ – এক বহুমূখী মাল্টি পারপাস ফিচার, যা প্রচলিত ল্যাপটপগুলোর তুলনায় গ্রাহকদের টাচপ্যাড দিয়ে আরো বেশি কিছু করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়।

জেনবুক ১৫ ডিভাইসটি শৈল্পিক মনোভাবের গ্রাহকদের কাছে একবাক্যে গ্রহণযোগ্য। যেকোনো জায়গায় গেলে যারা তাদের সৃজনশীল সম্ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলতে চান, তাদের জন্য এই মডেলটি সেরা। এর ঝকঝকে হাই রেসল্যুশন ডিসপ্লের সাথে উজ্জ্বল রঙের সমাহার এবং ওয়াইড এঙ্গেল প্রযুক্তি মিলে গিয়ে যেকোনো ভিজুয়ালকেই করে তুলবে নজরকাড়া। মনিটরের ফ্রেমটি বেশ মিনিমাল, আর তাই দেখার অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে আরো বেশি গভীর ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।

মূল স্পেসিফিকেশনঃ

  • অপারেটিং সিস্টেম – উইন্ডোজ ১০ হোম ৬৪ বিট
  • প্রসেসর – ৮ম জেনারেশনের ইনটেল কোর আই৫-৮২৬৫ কোয়াড কোর প্রসেসর, টার্বো বুস্ট (৩.৯ গিগাহার্জ পর্যন্ত) সহ ১.৬ গিগাহার্জ এবং ৬ মেগাবাইট ক্যাশ
  • মেমোরি – ৮ জিবি এলপিডিডিআর৩ ২১৩৩ মেগাহার্জ র‍্যাম
  • স্টোরেজ – ২৫৬ জিবি/ ৫১২ জিবি পিসিআইই এক্স২ এসএসডি
  • গ্রাফিক্স – এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স ১৬৫০ ম্যাক্স-কিউ / ইন্টারনাল ইনটেল ইউএইচডি গ্রাফিক্স ৬২০, ৪ জিবি জিডিডিআর৫ ভি-র‍্যাম
  • ডিসপ্লে – ১৫.৬ ইঞ্চি, এফএইচডি এলইডি-ব্যাকলিট ১৬ঃ৯ স্লিম বেজেল ন্যানো-এজ ডিসপ্লে / স্ক্রিনপ্যাড সুপার আইপিএস ডিসপ্লে ১৭৮ ওয়াইড ভিউ প্রযুক্তি
  • অডিও – সারাউন্ড সাউন্ড সহ আসুস সনিক মাস্টার স্টেরিও অডিও সিস্টেম; সর্বোচ্চ অডিও পারফরম্যান্সের জন্য স্মার্ট অ্যামপ্লিফায়ার
  • ব্যাটারি – ৭১ ওয়াট-ঘন্টা, ৮ সেলের লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি

দাম: বাংলাদেশে ১,৪০,০০০ টাকা মাত্র। 

আসুস জেনবুক ডুয়ো (ইউএক্স৪৮১এফএল)

আসুস জেনবুক ডুয়ো (ইউএক্স৪৮১এফএল)

ঠিক জেনবুক ১৫ এর মতই জেনবুক ডুয়ো ডিভাইসটিও শৈল্পিক মননের গ্রাহকদের জন্য দারুন পছন্দের এক অপশন। এই মডেলটিতে ফিচার করা হয়েছে একটি অনন্য লে-আউট – একটি পূর্ণ প্রস্থের স্ক্রিনপ্যাড, যা কিনা এর আসল স্ক্রিনের সাথে মিলে যায় এবং ডিভাইসের একদম প্রান্তে একটি কীবোর্ড এবং আলাদা টাচপ্যাড সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে রয়েছে একই সাথে একটি গেমিং ও একটি সৃজনশীল ল্যাপটপের কম্বিনেশন, যা গ্রাহকদের চূড়ান্ত মানের পারফরম্যান্স ও কাজের উপযোগিতা দিতে সক্ষম। ফলে ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ মানের মাল্টি টাস্কিং ক্ষমতা অর্জন করতে ও তাদের সৃজনশীল সম্ভাবনাগুলোকে সঠিক ভাবে সঞ্চারিত করার সুযোগ পাবেন।

একই সাথে এই ডিভাইসের আর্গো-লিফট কবজা এর কীবোর্ডটিকে একটি ৫.৫ ডিগ্রীর আকর্ষণীয় উত্তোলন দিতে পারে। জেনবুক ডুয়ো ল্যাপটপটি যে আপনাকে শুধুমাত্র আরামদায়ক লেখার অভিজ্ঞতা দিচ্ছে তা নয়, একই সাথে এর কুলিং এবং অডিও পারফরম্যান্সও বেশ উন্নত করা হয়েছে।

সব মিল্যে ফটোগ্রাফার, ভিডিও এডিটর এবং মিউজিক প্রোডিউসারের মত ব্যক্তিদের জন্য এই মডেলটি এক দারুণ পছন্দের অপশন।

মূল স্পেসিফিকেশনঃ

  • অপারেটিং সিস্টেম – উইন্ডোজ ১০ প্রো ৬৪ বিট
  • প্রসেসর – ১০ম জেনারেশনের ইনটেল কোর আই৫-১০২১০ইউ প্রসেসর, কোয়াড কোর (১.৬ গিগাহার্জ), সাথে টার্বো বুস্ট (৪.২ গিগাহার্জ পর্যন্ত) এবং ৬ মেগাবাইট ক্যাশ
  • মেমোরি – ৮ জিবি এলপিডিডিআর৩ ২১৩৩ মেগাহার্জ র‍্যাম
  • স্টোরেজ – ৫১২ জিবি এসএসডি
  • গ্রাফিক্স – এনভিডিয়া জিফোর্স এমএক্স২৫০, ২ জিবি জিডিডিআর৫ ভি-র‍্যাম
  • ডিসপ্লে – ১৪ ইঞ্চি/ স্ক্রিনপ্যাড প্লাস স্ক্রিন ১২.৬ ইঞ্চি, ১৭৮ ডিগ্রি ওয়াইড ভিউ প্রযুক্তি
  • অডিও – সারাউন্ড সাউন্ড সহ আসুস সনিক মাস্টার স্টেরিও অডিও সিস্টেম; সর্বোচ্চ অডিও পারফরম্যান্সের জন্য স্মার্ট অ্যামপ্লিফায়ার
  • ব্যাটারি – ৭০ ওয়াট-ঘন্টা, ৪ সেলের লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি

দাম: বাংলাদেশে ১,৩৮,০০০ টাকা মাত্র। 

আসুস জেনবুক ফ্লিপ এস (ইউএক্স৩৭০ইউএ)

আসুস জেনবুক ফ্লিপ এস (ইউএক্স৩৭০ইউএ)

আসুস-এর জেনবুক ফ্লিপ এস ডিভাইসটি একটি আলট্রা স্লিম ১০.৯ মিলিমিটার অ্যালুমিনিয়ামের ল্যাপটপ, যাতে রয়েছে একটি নমনীয় ৩৬০ ডিগ্রী ফ্লিপযোগ্য ডিসপ্লে। এই মডেলটি অনেক অনেক বেশি হাল্কা এবং বহুমুখী গুণ ও মানসম্মত। ফলে ব্যবহারকারীরা একে একটি ল্যাপটপ কিংবা ট্যাবলেট, যেকোনো মোডে নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। যেসব ব্যক্তিরা সারাক্ষণ চলাফেরা ও ভ্রমণের উপর থাকেন এবং তাদের কম্পিউটিং এর চাহিদা পূরণ করার জন্য একটি সহজ ও বহনযোগ্য সমাধান খুঁজছেন, এই ল্যাপটপটি ঠিক তাদের জন্যই।

জেনবুক ফ্লিপ এস ডিভাইসটি প্রিমিয়াম কোয়ালিটির মহাকাশ গ্রেডের অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা তৈরি করা হয়েছে, যা আদর্শ ও সাধারণ ল্যাপটপ অ্যালয়ের তুলনায় ৫০% বেশি মজবুত কিন্তু যথেষ্ট হালকা ওজনের। এছাড়াও এই মডেলটিই আসুস-এর সিগনেচার আর্গো-লিফট কবজা ব্যবহার হয়েছে এমন প্রথম মডেলগুলোর মধ্যে একটি। ল্যাপটপটির আলট্রা স্লিম ও পাতলা ডিজাইনের সাথে এই আর্গো-লিফট ফ্লিপযোগ্য কবজা বেশ ভালো ভাবেই মানিয়ে গেছে।

মূল স্পেসিফিকেশনঃ

  • অপারেটিং সিস্টেম – উইন্ডোজ ১০ প্রফেশনাল (৬৪ বিট)
  • প্রসেসর – ৭ম জেনারেশনের ইনটেল কোর আই৭-৭৫০০ইউ প্রসেসর (২.৭ গিগাহার্জ পর্যন্ত টার্বো)
  • মেমোরি – ১৬ জিবি এলপিডিডিআর৩ (বোর্ডের সাথে সংযুক্ত)
  • স্টোরেজ – ৫১২ জিবি সলিড স্টেট ড্রাইভ (এসএসডি)
  • গ্রাফিক্স – ইনটেল এইচডি গ্রাফিক্স
  • ডিসপ্লে – ১৩.৩ ইঞ্চি, ১৭৮ ডিগ্রি ওয়াইড ভিউ প্রযুক্তি, টাচস্ক্রিন এফএইচডি গ্লসি ডিসপ্লে
  • অডিও – বিল্ট ইন স্পিকার ও মাইক্রোফোন, হারমান কারডন স্পিকার
  • ব্যাটারি – ৩৯ ওয়াট-ঘন্টা, ২এস১পি, ২ সেলের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি

দাম: বাংলাদেশে ৯৮,৪০০ টাকা মাত্র। 

আসুস জেনবুক ফ্লিপ ১৪ (ইউএম৪৬২ডিএ)

আসুস জেনবুক ফ্লিপ ১৪ (ইউএম৪৬২ডিএ)

আসুস-এর পক্ষ থেকে আরো একটি ৩৬০ ডিগ্রী ফ্লিপযোগ্য ল্যাপটপ হচ্ছে জেনবুক ফ্লিপ ১৪। এতে ফিচার করা হয়েছে একটি ১৪ ইঞ্চি বেজেল-লেস ডিসপ্লে এবং এতে রয়েছে নতুন ফ্রেমলেস ন্যানো-এজ ডিজাইন, যা এই মডেলটিকে এর পূর্বপুরুষদের তুলনায় প্রায় ১০% ছোট হতে সাহায্য করেছে। এর ডিসপ্লে লে-আউট একটি ৯০% স্ক্রিন টু বডি রেশিও, যা এর ফ্রেমওয়ার্ক ডিজাইনকে করে তুলেছে আরো বেশি কমপ্যাক্ট।

ফ্লিপ ১৪ মডেলটিতে বাজারের লেটেস্ট এএমডি রাইজেন ৭ প্রসেসর এবং অ্যাকটিভ স্টাইলাস সাপোর্ট সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে এওটি উদ্ভাবনী নাম্বার প্যাড ডুয়াল ফাংশন টাচপ্যাড। তুলনামূলক ছোট আকৃতির ল্যাপটপে নিউমেরিক কীপ্যাড দেয়ার মত পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় আসুস তাদের এই ডুয়াল ফাংশন টাচপ্যাডটি সমাধান হিসেবে তৈরি করেছে।

মূল স্পেসিফিকেশনঃ

  • অপারেটিং সিস্টেম – উইন্ডোজ ১০ হোম ৬৪ বিট
  • প্রসেসর – এএমডি রাইজেন ৭-৩৭০০ইউ মোবাইল প্রসেসর, (৪সি/৮টি, ৬ মেগাবাইট ক্যাশ, ৪.০ গিগাহার্জ বুস্ট)
  • মেমোরি – ৮ জিবি / ১৬ জিবি ডিডিআর৪ ২৪০০ মেগাহার্জ র‍্যাম
  • স্টোরেজ – ২৫৬ জিবি / ৫১২ জিবি পিসিআইই এক্স২ এসএসডি
  • গ্রাফিক্স – রেডন আরএক্স ভেগা ১০ গ্রাফিক্স
  • ডিসপ্লে – ১৪ ইঞ্চি, এফএইচডি এলইডি-ব্যাকলিট ১৬ঃ৯ স্লিম বেজেল ন্যানো-এজ ডিসপ্লে, ৪.৩ মিলিমিটার থীন১ বেজেলের সাথে ৯০% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও, ওয়াইড ১০০% এসআরজিবি কালার গ্যামুট, ১৭৮ ডিগ্রি ওয়াইড ভিউ প্রযুক্তির ডিসপ্লে
  • অডিও – হারমান কারডন অনুমোদিত অডিও সিস্টেম, সারাউন্ড সাউন্ড সহ আসুস সনিক মাস্টার স্টেরিও অডিও সিস্টেম
  • ব্যাটারি – ৪২ ওয়াট-ঘন্টা, ৩ সেলের প্রিজম্যাটিক সেল ব্যাটারি

দাম: বাংলাদেশে ৭৩,৮০০ টাকা মাত্র। 

বাজেট বান্ধব ল্যাপটপ

আসুস ক্রোমবুক ফ্লিপ সি৪৩৪

আসুস ক্রোমবুক ফ্লিপ সি৪৩৪

আসুস ল্যাপটপের বাজেট বান্ধব ডিজাইন গুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় একটি ল্যাপটপ হচ্ছে ক্রোমবুক ফ্লিপ সি৪৩৪। এতে রয়েছে বিভিন্ন রেঞ্জের মধ্যে থেকে সবগুলো সেরা ও আকর্ষণীয় ফিচার। কিন্তু সেই তুলনায় এর দাম ধরা হয়েছে অনেক কম।

এই মডেলটিতে একটি স্টাইলিশ সমসাময়িক লুক দেয়া হয়েছে, এবং কমপ্যাক্ট হওয়ার কারণে এটি আপনাদেরকে বেশ দারুণ বহনের অভিজ্ঞতা এনে দিতে পারে। ফ্লিপ ১৪ ডিজাইনটির মতই এই ক্রোমবুকে ফিচার করা হয়েছে আলট্রা স্লিম বেজেল সহ একটি ১৪ ইঞ্চি ন্যানো-এজ ডিসপ্লে স্ক্রিন। এর ৩৬০ ডিগ্রি ফ্লিপযোগ্য স্ক্রিনটি বানানো সম্ভব হয়েছে এর আর্গো-লিফট কবজার কারণে। তাই দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্য গ্রাহকরা এতে পাবেন সর্বাধিক আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্য।

সমগ্র ক্রোমবুকটিকে অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা বানানো হয়েছে এবং এতে রয়েছে সুশ্রী ডায়মন্ড কাট অ্যানোডাইজড প্রান্ত। ফলে এর লুক এবং অনুভবে এসেছে বেশ পরিচ্ছন্ন একটা আমেজ। সর্বাধিক মানসম্মত ডিজাইনের সাথে যারা বহনযোগ্যতা ও বৈচিত্র্যময় ডিজাইন পছন্দ করেন, এই ডিভাইসটি তাদের জন্যই।

মূল স্পেসিফিকেশনঃ

  • অপারেটিং সিস্টেম – ক্রোম ওএস
  • প্রসেসর – ৮ম জেনারেশনের ইনটেল কোর এম৩-৮১০০ওয়াই ৬ কোর প্রসেসর, ১.১ গিগাহার্জ ডুয়াল কোর এর সাথে টার্বো বুস্ট (৩.৪ গিগাহার্জ পর্যন্ত) এবং ৪ মেগাবাইট ক্যাশ
  • মেমোরি – ৪ জিবি এলপিডিডিআর৩ ১৮৬৭ মেগাহার্জ র‍্যাম
  • স্টোরেজ – ৬৪ জিবি ইএমএমসি এসএসডি
  • গ্রাফিক্স – ইন্টারনাল ইনটেল ইউএইচডি গ্রাফিক্স ৬১৫
  • ডিসপ্লে – ১৪ ইঞ্চি, এফএইচডি এলইডি-ব্যাকলিট ১৬ঃ৯ স্ট্যান্ডার্ড ডিসপ্লে, চার দিক থেকে ন্যানো এজ ডিজাইনের সাথে ৮৭% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও
  • অডিও – ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক, লো ফ্রিকোয়েন্সিতে আরো উন্নত রেসপন্সের জন্য লং ট্র্যাভেল ভয়েস কয়েল
  • ব্যাটারি – ৪৮ ওয়াট-ঘন্টা, ৩ সেলের লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি

দাম: বাংলাদেশে ৪১,০০০ টাকা মাত্র। 

আসুস এক্সপার্টবুক পি১৪৪০এফএ

আসুস এক্সপার্টবুক পি১৪৪০এফএ

ব্যবসায়িক চিন্তা ভাবনা করেন এমন গ্রাহকদের জন্য আসুস-এর এক্সপার্টবুক মডেলটি এক দারুণ পছন্দ। এই ল্যাপটপটি অনেক বেশি সাশ্রয়ী এবং কার্যকরী একটি মডেল, যা দৈনন্দিন চলাচলের সময় ব্যবহারের জন্য বেশ ভালো। এতে ফিচার করা হয়েছে অসম্ভব রকম হালকা কিন্তু টেকসই ধাঁচের  এক ডিজাইন, যাতে সংযুক্ত করা হয়েছে একটি ১৮০ ডিগ্রী কবজা সহ ফ্ল্যাট ভাবে শোয়ানো সম্ভব একটি ডিসপ্লে। এক্সপার্টবুক মডেলটি গ্রাহকদের অসাধারণ পারফরম্যান্স, ডুয়াল স্টোরেজ দক্ষতা এবং একটি দুর্দান্ত বিজনেস গ্রেড নিরাপত্তা ব্যবস্থা অফার করছে, যা আপনাদের ব্যবসায়িক চাহিদাগুলো পূরণ করার জন্য মডেলটিকে এক অন্যতম সেরা পছন্দ ও মূল্যবান অপশনে পরিণত করেছে।

মূল স্পেসিফিকেশনঃ

  • অপারেটিং সিস্টেম – উইন্ডোজ ১০ প্রো ৬৪ বিট
  • প্রসেসর – ইনটেল কোর আই৩ ৮১৪৫ইউ, ২.১০ থেকে ৩.৯০ গিগাহার্জ পর্যন্ত
  • মেমোরি – ৪ জিবি ডিডিআর৪ র‍্যাম
  • স্টোরেজ – ১ টেরাবাইট এইচডিডি
  • গ্রাফিক্স – ইনটেল ইউএইচডি গ্রাফিক্স ৬২০
  • ডিসপ্লে – ১৪ ইঞ্চি, ১৩৬৬ x ৭৬৮ (প্রস্থxউচ্চতা) এইচডি ডিসপ্লে
  • অডিও – কম্বো
  • ব্যাটারি – ৪ সেল

দাম: বাংলাদেশে ৫৫,৫০০ টাকা মাত্র। 

আসুস ভিভোবুক এস১৫ (এস৫৩০ইউএফ)

আসুস ভিভোবুক এস১৫ (এস৫৩০ইউএফ)

ভিভোবুক এস১৫ ল্যাপটপটি আপনার ও আপনার ব্যক্তিগত স্টাইলের সাথে মানিয়ে যাওয়ার জন্য নানা রকম বর্ণীল রঙের অপশন সাথে নিয়ে এসেছে। এটি বেশ প্রাণবন্ত, তরুণ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় একটি ল্যাপটপের মডেল, যাতে রয়েছে ৫টি দুর্দান্ত রঙের সমাহার- ফার্মামেন্ট সবুজ, আইসিকল গোল্ড, গান মেটাল, স্টার গ্রে বা ধূসর এবং সিলভার ব্লু বা রূপালী নীল। এই অনন্য ও দারুণ রঙের কম্বিনেশন গুলো এই ল্যাপটপকে নিশ্চিত ভাবে আলাদা করে তুলবে এবং আপনাকে বেশ বলিষ্ঠ ও আকর্ষণীয় একটি আউটলুক পেতে সাহায্য করবে।

কার্যকারিতা এবং পারফরম্যান্সের দিক থেকে এই মডেলটি একদিকে যেমন আসুস-এর বেশির ভাগ আইকনিক ফিচার নিয়ে তৈরি হয়েছে, তেমনি এই মডেলটি অধিকতর ট্রেন্ডি ও শৈল্পিক মনোভাবের গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখেই বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এই রেঞ্জের মধ্যে নিঃসন্দেহে ভিভোবুক এস১৫ অন্যতম স্টাইলিশ একটি ল্যাপটপ, এবং আপনার দিনকে রাঙিয়ে তোলার জন্য সব সময়ই প্রস্তুত!

মূল স্পেসিফিকেশনঃ

  • অপারেটিং সিস্টেম – উইন্ডোজ ১০ ৬৪ বিট
  • প্রসেসর – ৮ম জেনারেশনের ইনটেল কোর আই৭-৮৫৫০ইউ প্রসেসর, ১.৮ গিগাহার্জ কোয়াড কোরের সাথে টার্বো বুস্ট(৪.০ গিগাহার্জ পর্যন্ত) এবং ৮ মেগাবাইট ক্যাশ
  • মেমোরি – ১৬ জিবি ডিডিআর৪ ২৪০০ মেগাহার্জ র‍্যাম
  • স্টোরেজ – ২ টেরাবাইট এইচডিডি, ৫১২ জিবি এসএসডি
  • গ্রাফিক্স – এনভিডিয়া জিফোর্স এমএক্স ১৫০, ২ জিবি জিডিডিআর৫ গ্রাফিক্স
  • ডিসপ্লে – ১৫.৬ ইঞ্চি, এফএইচডি আইপিএস এন্টি-গ্লেয়ার এলইডি ব্যাকলাইট ডিসপ্লে
  • অডিও – হারমান অডিও + ডলবি অডিও, ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক, ১টি কম্বো অডিও জ্যাক
  • ব্যাটারি – ৪২ ওয়াট-ঘন্টা, ৩ সেলের লিথিয়াম প্রিজম্যাটিক ব্যাটারি

দাম: বাংলাদেশে ৬৫,৬০০ টাকা মাত্র। 

তাহলে কোনো ল্যাপটপটি কিনবেন?

নিঃসন্দেহে আসুস-এর কালেকশনে পছন্দ করার জন্য ব্যাপক সংখ্যক ল্যাপটপের অপশন রয়েছে। প্রায় যেকোনো ধরণের প্রয়োজনের জন্য তারা ভিন্ন ভিন্ন একেকটি ল্যাপটপ অফার করে থাকে। তাই আপনার জন্য উপযুক্ত ও সঠিক ল্যাপটপটি বেছে নিতে হলে আগে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে আপনি একটি ল্যাপটপের মধ্যে ঠিক কী কী জিনিস চাচ্ছেন।

আপনি যদি আনুষ্ঠানিক পর্যায়ের একজন গেমার হয়ে থাকেন এবং আপনার গেমিং চাহিদা মেটানোর জন্য একটি কমপ্যাক্ট ও বহনযোগ্য সমাধানের খোঁজ করে থাকেন, তাহলে আমাদের উল্লেখ করা ৩টির মধ্যে যেকোনো একটি গেমিং ল্যাপটপ বেছে নিতে পারেন। আমাদের অন্যতম পছন্দ হচ্ছে আরওজি স্ট্রিক্স হিরো ২, কেননা এটি একদিকে যেমন বাজেট বান্ধব, অন্যদিকে তেমনি অসাধারণ পারফরম্যান্স দেয়ার জন্য তৈরি।

যাদের মধ্যে কিছুটা সৃজনশীল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, আমরা বলব তারা আসুস-এর জেনবুক সিরিজের ল্যাপটপগুলো কেনার কথা ভেবে দেখতে পারেন। জেনবুক ডুয়ো ল্যাপটপটি এর মাল্টি-টাস্কিং দক্ষতা এবং সুবিধাজনক স্ক্রিন প্যাডের সাহায্যে আপনাদেরকে কমের মধ্যে অনেক বেশি কিছু করার স্বাধীনতা দিতে পারবে। তাই এই মডেলটি কেনার জন্য আমরা বিশেষ ভাবে পরামর্শ দিব।

আবার অন্যদিকে আপনার কাছে স্পেসিফিকেশন যদি ল্যাপটপের আউটলুক ও স্টাইলের তুলনায় খুব একটা বেশি দরকারি মনে না হয়, তাহলে আমরা পরামর্শ দিবি যে আপনি ভিভোবুক এস১৫ ল্যাপটপটি কেনার কথা ভেবে দেখেন। এখানে উল্লেখ করা সবগুলো ল্যাপটপের মডেলের মধ্যে এটিই নিঃসন্দেহে সবচেয়ে মজার ও স্টাইলিশ একটা পছন্দ। আর এটা আপনার জীবনে কিছুটা ট্রেন্ডি ও রঙিন ছোঁয়া নিয়ে আসতে পারবে নিশ্চিত ভাবে।

কোনো মডেলটি কিনবেন সেটা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না? মার্কেটে থাকা শত শত লেটেস্ট আসুস ল্যাপটপ ও অন্যান্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হাজারো ল্যাপটপের বিজ্ঞাপন খুঁজে পেতে আজই ব্রাউজ করুন Bikroy.com -এ!

গ্রাহকদের নিয়মিত কিছু প্রশ্নের উত্তর

কোথায় কিনতে পারবো আসুস-এর লেটেস্ট ল্যাপটপ?

আসুস-এর সাথে সংযুক্ত রয়েছেন এমন বেশ কিছু বিশ্বস্ত শপ ও ডিলার রয়েছেন, যাদের কাছে আসুস ল্যাপটপ খুঁজে পাওয়া যাবে। আসুস-এর শপের সম্পূর্ণ লিস্টটি দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুনঃ https://asusbangladesh.com/where-to-buy-asus-laptop

এছাড়াও Bikroy-এ আপনারা পাবেন বিক্রির জন্য শত শত আসুস ল্যাপটপের বিজ্ঞাপন। এখানে আপনারা বেশ সাশ্রয়ী দামে পাবেন নতুন কিংবা ব্যবহৃত যেকোনো ধরণের ল্যাপটপ।

আসুস-এর ল্যাপটপ গুলোতে কি ধরণের ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়?

যদি আপনি একটি বিশ্বস্ত ও রেজিস্ট্রেশন করা অনুমোদিত উৎস থেকে আসুস ল্যাপটপ কেনেন, তাহলে আপনি ২ বছরের ওয়ারেন্টি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনি কোনো ধরণের ল্যাপটপ কিনছেন তার উপর নির্ভর করে ওয়ারেন্টির ধরণ ভিন্ন রকম হতে পারে। তুলনামূলক সাশ্রয়ী ও কম দামী ল্যাপটপগুলোর ওয়ারেন্টি সাধারণত ১ বছর পর্যন্ত থাকে।

আসুস-এর ল্যাপটপগুলোকে কি অন্যান্য স্পেশাল গেমিং ডিভাইসের সাথে সংযোগ দেয়া যায়?

অবশই যায়!! ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করে আপনার ডিভাইসে সহজেই বিভিন্ন ধরণের বাহ্যিক ফিচার সংযোগ দেয়া সম্ভব। কিন্তু আরো জটিল কিংবা স্পেশালাইজড ডিভাইসের ক্ষেত্রে আপনাকে আপনা ল্যাপটপের সাথে মিলিয়ে অ্যাডাপ্টার কিনে নিতে হতে পারে।

আসুস-এর আসন্ন মডেলগুলোর নাম কী কী?

এখন পর্যন্ত ২০২০ সালে নতুন ২টি আসুস ল্যাপটপ বাজারে আনার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সেগুলোর নাম হচ্ছে:

  1. আসুস জেনবুক প্রো ডুয়ো (ইউএক্স৪৮১এফএল)
  2. আসুস জেনবুক প্রো ডুয়ো (ইউএক্স৪৮১জিভি)

কোনো কোনো গেমসগুলো আসুস ল্যাপটপে খেলার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত?

মডেলটির সাথে কোনো ধরণের গ্রাফিক্স কার্ড নিচ্ছেন বা পাচ্ছেন তার উপর এটা নির্ভর করবে। গ্রাফিক্স কার্ড যত ভালো হবে, গেম খেলার ব্যাপারে তত বেশি ধরণের অপশন আপনি হাতে পাবেন। আরওজি মাদারশিপের মত একটা ডিভাইসে নিবেদিত বিশেষ গ্রাফিক্স কার্ড থাকবে, ফলে আপনি ব্যাপক সংখ্যক ভালো রেজ্যুলেশনের গেমস খেলার সুযোগ পাবেন। আবার কিছুটা সিম্পল ও সাশ্রয়ী মডেল, যেমন ক্রোমবুক সি৪৩৪ -এ গেম খেলায় পারফরম্যান্সের দিক থেকে আপনি বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা অনুভব করবেন। এ ধরণের ল্যাপটপে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিমাণ কিছু ভিডিও গেমস সাপোর্ট করবে, ফলে আপনি সেগুলো ছাড়া আর কিছুই খেলতে পারবেন না।

Facebook Comments
সাবস্ক্রাইব করুন

No spam guarantee.

Show More

Related Articles

Back to top button
Close
Close