ভিভো স্মার্টফোন: বাংলাদেশে তাদের ৭টি লেটেস্ট মডেল আর এদের দামদর
সম্প্রতি বাংলাদেশে ভিভো মোবাইলের জনপ্রিয়তা বেশ বেড়ে গিয়েছে। এর আগে ভারতীয় বাজারে জোরদার পারফরম্যান্স দিয়ে মানুষের মন জয় করার পর, বিগত কয়েক বছরে দেশের বাজারেও দাপটের সাথে স্থান করে নিয়েছে ভিভোর আকর্ষণীয় ফোনগুলো। শাওমি, অপ্পো এবং হুয়াওয়ের মত অন্যান্য চাইনিজ ব্র্যান্ডগুলোর পাশাপাশি বাজেট বান্ধব স্মার্টফোনের বাজারে ভিভোর অবদান প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য বলতে হবে।
ডিজাইন ও প্রযুক্তিতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্ভাবনকে পুঁজি করে ভিভো নিয়ে এসেছে আরো নতুন ডিজাইন এবং লেটেস্ট কিছু স্মার্টফোন মডেল – তাও আবার যথেষ্ট সাশ্রয়ী দামে। ভিভোর লেটেস্ট ফোনগুলোতে সংযোগ করা হয়েছে অসাধারণ ফিঙ্গারপ্রিন্ট আনলক সিস্টেম, সুস্পষ্ট ও পরিষ্কার উচ্চ রেজ্যুলেশন ফ্রন্ট ও ব্যাক ক্যামেরা ইত্যাদি সহ নতুন অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক ফানটাচ ওএস সিস্টেম। যা খুব স্বাভাবিক ভাবেই এত দ্রুত সবার মন জয় করে নিয়েছে ভিভোর বাহারি স্মার্টফোনগুলো!
আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা বাংলাদেশের কিছু লেটেস্ট ভিভো মোবাইল এবং এদের বর্তমান দামগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।
বাজারে ভিভোর লেটেস্ট মোবাইল ফোনগুলো-
ভিভো ভি১৭ প্রো
মূল স্পেসিফিকেশন | |
প্রসেসর | কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৭৫এআইই অক্টা-কোর |
অপারেটিং সিস্টেম | ফানটাচ ওএস ৯.১ |
র্যাম | ৮ জিবি |
স্টোরেজ | ১২৮ জিবি |
ব্যাটারি | ৪১০০ এমএএইচ (টিওয়াইপি); ডুয়াল-ইঞ্জিন ফাস্ট চার্জিং (৯ ভোল্ট ২ অ্যাম্পিয়ার) |
ডিসপ্লে | আলট্রা ফুলভিউ ট্রেডমার্ক ডিসপ্লে; ৬.৪৪ ইঞ্চি (১৬.৩৬ সে.মি.) ২৪০০x১০৮০ এফএইচডি+ সুপার অ্যামোলেড |
সাইজ | ১৫৯.০ x ৭৪.৭০ x ৯.৮০ মি.মি. |
ওজন | ২০১.৮ গ্রাম |
ক্যামেরা | ফ্রন্ট ৩২ মেগাপিক্সেল + ৮ মেগাপিক্সেল / ব্যাক ৪৮ মেগাপিক্সেল + ১৩ মেগাপিক্সেল + ৮ মেগাপিক্সেল + ২ মেগাপিক্সেল |
এপারেচার | এফ/২.০ + এফ/২.২ (ফ্রন্ট); এফ/১.৮ (ব্যাক) + এফ/২.৫ + এফ/২.২ + এফ/২.৪ (ব্যাক) |
সিম স্লট টাইপ | ২ ন্যানো সিম |
ওয়াই-ফাই | ২.৪ গিগাহার্জ/ ৫ গিগাহার্জ |
রঙ | ক্রিস্টাল ব্ল্যাক, ক্রিস্টাল স্কাই |
ভিভোর রেঞ্জে বর্তমানের সবচেয়ে সেরা ফোনটি হচ্ছে ভিভো ভি১৭ প্রো। এই মডেলটিতে ফিচার করা হয়েছে একটি আলট্রা ফুলভিউ ট্রেডমার্ক ডিসপ্লে, যা ২৪০০x১০৮০ রেজ্যুলেশনে দুর্দান্ত গতিতে ইমেজ প্রোসেস করতে সক্ষম। এর অভাবনীয় স্লিম ও সরু বেজেলগুলো সুচারুভাবে ইয়ারপিস, লাইট ও প্রক্সিমিটি সেন্সরকে ধরে রেখেছে। আর এভাবেই আমরা পেয়েছি এর বিস্ময়কর ৯১.৬৫% স্ক্রিন টু বডি রেশিও, যা গ্রাহকদের নজর কাড়তে বাধ্য।
এর ক্যামেরা স্পেসিফিকেশন গুলো সত্যিকার অর্থেই এই মডেলটির মূল আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এই ফোনটিতে দেয়া হয়েছে সব মিলিয়ে মোট ৬টি এআই ক্যামেরা – আর তাই গ্রাহকরা প্রত্যেকবার পারফেক্ট ছবি তুলতে পারবেন।
সামনের দিকে ভি১৭ প্রো ফোনটিতে ফিচার করা হয়েছে একটি ডুয়াল ৩২ মেগাপিক্সেল + ৮ মেগাপিক্সেলের সুপার ওয়াইড ১০৫° ডিগ্রি কোণ সমৃদ্ধ সেলফি ক্যামেরা, যা আপনাকে আরো বেশি প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং ব্যাকগ্রাউন্ডসহ সেলফি তুলতে সাহায্য করবে। এর ক্যামেরায় আরও ফিচার করা হয়েছে একটি স্মার্ট সুপার নাইট সেলফি মোড, যা সেলফি স্পটলাইট প্রযুক্তির ব্যবহার করে একাধিক ফ্রেমকে কম্বাইন করে ছবির উজ্জ্বলতা বা ব্রাইটনেস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
পেছনের দিকে এই মডেলটিতে সংযোজন করা হয়েছে একটি দাপুটে ৪৮ মেগাপিক্সেল এআই কোয়াড ক্যামেরা, যা যেকোনো মোডে অসাধারণ শটস তুলতে সক্ষম। দূরবর্তী ল্যান্ডস্কেপ থেকে শুরু করে জটিলতর ও সূক্ষ্ম প্যাটার্ন, স্বল্প আলোর রাতের ছবি থেকে ব্যস্ত শহরের কোলাহল – এর সবকিছুই আপনি তুলতে পারবেন এই ফোনটি ব্যবহার করে। এর সুপার ক্লিয়ার ৪৮ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরাটিকে সাপোর্ট করার জন্য রয়েছে টেলিফোটো, ম্যাক্রো এবং ওয়াইড এঙ্গেল লেন্সগুলো। আর তাই যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় বসে আপনি তুলতে পারবেন আপনার সেরা ক্লিকটি।
বাংলাদেশে বর্তমানে ভিভো ভি১৭ প্রো ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩৯,৯৯০ টাকায়।
ভিভো এস১ প্রো
মূল স্পেসিফিকেশন | |
প্রসেসর | এসডিএম ৬৬৫ |
অপারেটিং সিস্টেম | ফানটাচ ওএস ৯.২ |
র্যাম | ৮ জিবি |
স্টোরেজ | ১২৮ জিবি |
ব্যাটারি | ৪৫০০ এমএএইচ (টিওয়াইপি); ডুয়াল-ইঞ্জিন ফাস্ট চার্জিং (৯ ভোল্ট ২ অ্যাম্পিয়ার) |
ডিসপ্লে | ৬.৩৮ ইঞ্চি ২৩৪০x১০৮০ এফএইচডি+ সুপার অ্যামোলেড ক্যাপাসিটিভ মাল্টি-টাচ |
সাইজ | ১৫৯.২৫ x ৭৫.১৯ x ৮.৬৮ মি.মি. |
ওজন | ১৮৬.৭ গ্রাম |
ক্যামেরা | ফ্রন্ট ৩২ মেগাপিক্সেল / ব্যাক ৪৮ মেগাপিক্সেল + ৮ মেগাপিক্সেল + ২ মেগাপিক্সেল + ২ মেগাপিক্সেল |
এপারেচার | এফ/২.০ (ফ্রন্ট); (ব্যাক) এফ/১.৮ + এফ/২.২ + এফ/২.৪ + এফ/২.৪ |
সিম স্লট টাইপ | সিঙ্গেল সিম অথবা ডুয়াল সিম/ স্ট্যান্ড-বাই মোড/ সিম স্লট |
ওয়াই-ফাই | ২.৪ গিগাহার্জ/ ৫ গিগাহার্জ |
রঙ | মিস্টিক ব্ল্যাক, জ্যাজি ব্লু |
এই মডেলটির পেছনে ডায়মন্ড কোয়াড ক্যামেরা থাকায় মডেলটি অন্য সব ফোনের চেয়ে অনেকটাই আলাদা হয়ে উঠেছে। এর ট্রেন্ডি ডিজাইনটি মূলত অলঙ্কার এবং রাজকীয় ডিজাইন থেকে অনুপ্রেরিত।
এই মডেলটির হাত ধরেই ভিভো প্রচলিত চৌকষ কিংবা গোল ডিজাইনের ক্যামেরা প্যানেলের ধারণা থেকে বের হয়ে এসেছে। আর এই ফোনটিতে সংযোজন হয়েছে এক অনন্য ভারসাম্য এবং প্রিমিয়াম টাচ।
একই সাথে ফোনটির দুই রঙা ডিজাইন এর রত্নসুলভ থিমটিকে আরো আবেদনময় করে তুলেছে। এর জ্যাজি ব্লু কালারের ফোনটিতে দুই শেডের নীল এবং কিছুটা বেগুনি রঙের আভা ফিচার করা হয়েছে। অন্যদিকে এর মিস্টিক ব্ল্যাক ফোনটিতে গাঢ় সবুজের কিছু সূক্ষ্ম রেখা ফোনটিকে দিয়েছে এক রাজকীয় অনুভব।
এই মডেলটির সাথে আপনি পাচ্ছেন একটি ৬.৩৮ ইঞ্চি সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যাতে রয়েছে এক অসাধারণ স্ক্রিন টু বডি রেশিও। এস১ প্রো ফোনটিতে রয়েছে একটি দুর্দান্ত কালার হারমোনাইজেশন করার ক্ষমতা যা এর ব্যবহারকারীদের একটি সিনেম্যাটিক ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা দিতে পারে।
অ্যামোলেডের সেলফ-ইল্যুমিনেশন বা স্বয়ং আলোকিত হয়ে ওঠা ফিচারটির জন্য এস১ প্রো ফোনটিতে রয়েছে একটি অলওয়েজ-অন ডিসপ্লের অপশন। আর তাই ফোন আনলক না করেই এখন নোটিফিকেশন চেক করা খুবই সহজ।
ফোনটির ক্যামেরা ফিচারগুলো ভি১৭ প্রো এর সাথে অনেকটাই মিলে যায়। কিন্তু এস১ প্রো ফোনটির বিশেষ দিক হচ্ছে যে এখানে আপনি পাবেন একটা অভাবনীয় সুপার ম্যাক্রো মোড, যাতে আপনি সূক্ষ থেকে সূক্ষ্মতর ডিটেইলে ছবি তুলতে পারবেন।
সামগ্রিকভাবে এই মডেলটি ব্যবহারে আপনি পাবেন একটি বিলাসবহুল লুক অ্যান্ড ফিল। আপনি হয়ত কল্পনাও করতে পারবেন না যে, এই ফোনটি বাংলাদেশে মাত্র ২৬,৯৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ভিভো এস১ (৬ জিবি)
মূল স্পেসিফিকেশন | |
প্রসেসর | এমটি ৬৭৬৮ |
অপারেটিং সিস্টেম | ফানটাচ ওএস ৯.০ |
র্যাম | ৬ জিবি |
স্টোরেজ | ১২৮ জিবি |
ব্যাটারি | ৪৫০০ এমএএইচ (টিওয়াইপি) |
ডিসপ্লে | ৬.৩৮ ইঞ্চি ২৩৪০x১০৮০ (এফএইচডি+) সুপার অ্যামোলেড ক্যাপাসিটিভ মাল্টি-টাচ |
সাইজ | ১৫৯.৫৩ x ৭৫.২৩ x ৮.১৩ মি.মি. |
ওজন | ১৭৯ গ্রাম |
ক্যামেরা | ফ্রন্ট ৩২ মেগাপিক্সেল / ব্যাক ১৬ মেগাপিক্সেল + ৮ মেগাপিক্সেল + ২ মেগাপিক্সেল |
এপারেচার | এফ/২.০ (ফ্রন্ট); (ব্যাক) এফ/১.৭৮ + এফ/২.২ + এফ/২.৪ |
সিম স্লট টাইপ | সিঙ্গেল সিম অথবা ডুয়াল সিম/ স্ট্যান্ড-বাই মোড/ সিম স্লট |
ওয়াই-ফাই | ২.৪ গিগাহার্জ + ৫ গিগাহার্জ |
রঙ | ডায়মন্ড ব্ল্যাক, স্কাইলাইন ব্লু |
ভিভো এস১ ফোনটিতে ফিচার করা হয়েছে একটি হ্যালো ফুলভিউ ট্রেডমার্ক ডিসপ্লে, যাতে রয়েছে একটি উচ্চতর স্ক্রিন টু বডি রেশিও এবং পারফেক্ট ভারসাম্য, যাতে আপনি পেতে পারেন একটি অসাধারণ ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা। এর অ্যামোলেড ডিসপ্লেটি এই মডেলটিতে একটি অলওয়েজ-অন ডিসপ্লে ফিচার এনে দিয়েছে – ঠিক যেন এস প্রো এর মতই। আপনি এই মডেলটিতে বিভিন্ন ধরণের গ্রাফিক্স এবং এনিমেশন ব্যবহার করে ডিসপ্লেতে একটি ব্যক্তিগত টাচ দিতে পারবেন। এই ফোনে রয়েছে একটি সুপার ফাস্ট এবং কার্যকরী বিল্ট-ইন বা ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর আর এতে ব্যবহার করা যাবে নানা রকমের এনিমেশনের অপশনও।
ঠিক যেমন এস১ ফোনটিতে স্টাইলাইজ করা হয়েছে একটি ডায়মন্ড প্যাটার্ন। এর পেছনের কভারটিতে ব্যবহার করা হয়েছে একটি ট্রিপল টোন কালার স্কিম, কালোর সাথে একটি অনবদ্য নীল থেকে বেগুনির গ্র্যাডিয়েন্ট দেখা যাবে।
এই মডেলটি ফিচার করা হয়েছে একটি ৩২ মেগাপিক্সেলের আলট্রা এইচডি রেজ্যুলেশনের ফ্রন্ট ক্যামেরা, যা আপনাকে নিখুঁত ডিটেইল সহ ভালোমানের সেলফি তুলতে সাহায্য করবে। পেছনের দিকে রয়েছে সনির আইএমএক্স ৪৯৯ ক্যামেরা সেন্সর সহ দশাসই একটি ট্রিপল এআই ক্যামেরা। এস১ ফোনটির ক্যামেরা আপনার নিত্যদিনের ছবি তোলার অভিজ্ঞতায় একটা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির আমেজ নিয়ে আসবে।
৪ জিবি এবং ৬ জিবি দু’রকম র্যামের মডেলেই ভিভো এস১ ফোনটি আপনাকে দিতে পারে শক্তিশালী পারফরম্যান্স, আর তাই ইউজারের অভিজ্ঞতা হবে সব সময় আলট্রা স্মুথ। ভিভোর ডুয়াল ইঞ্জিন ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি এতে ফিচার করা হয়েছে, ফলে এর ব্যাটারি অন্যান্য মডেলগুলোর তুলনায় বেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
বাংলাদেশে এই মডেলটির বর্তমান মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ২১,৯৯০ টাকা।
ভিভো ওয়াই১৯
মূল স্পেসিফিকেশন | |
প্রসেসর | এমটি ৬৭৬৮ |
অপারেটিং সিস্টেম | ফানটাচ ওএস ৯.২ |
র্যাম | ৬ জিবি |
স্টোরেজ | ১২৮ জিবি |
ব্যাটারি | ৫০০০ এমএএইচ (টিওয়াইপি); ডুয়াল ইঞ্জিন ফাস্ট চার্জিং (৯ ভোল্ট ২ অ্যাম্পিয়ার) |
ডিসপ্লে | ৬.৫৩ ইঞ্চি ২৩৪০x১০৮০ এফএইচডি+ এলসিডি ক্যাপাসিটিভ মাল্টি-টাচ |
সাইজ | ১৬২.১৫ x ৭৬.৪৭ x ৮.৮৯ মি.মি. |
ওজন | ১৯৩ গ্রাম |
ক্যামেরা | ফ্রন্ট ১৬ মেগাপিক্সেল (এফ/২.০) ব্যাক ১৬ মেগাপিক্সেল (এফ/১.৭৮) + ৮ মেগাপিক্সেল (এফ/২.২) + ২ মেগাপিক্সেল (এফ/২.৪) |
সিম স্লট টাইপ | সিঙ্গেল সিম অথবা ডুয়াল সিম/ স্ট্যান্ড-বাই মোড/ সিম স্লট |
ওয়াই-ফাই | ২.৪ গিগাহার্জ/ ৫ গিগাহার্জ |
রঙ | ম্যাগনেটিক ব্ল্যাক, স্প্রিং হোয়াইট |
ভিভোর সবগুলো ফোনের মধ্যে ওয়াই১৯ ফোনটি একটি পাওয়ার হাউজ ডিভাইস। এতে সংযোজন করা হয়েছে একটি সুবিশাল ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং এতে ফিচার করা হয়েছে ডুয়াল ইঞ্জিন ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি। তার মানে চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া বা চার্জ দেয়া নিয়ে আপনার আর কোনো চিন্তাই থাকছে না!
শক্তি সঞ্চয় করার পাশাপাশি ওয়াই১৯ ফোনটিতে চালু করা যাবে রিভার্স চার্জিং। অর্থাৎ এই ফোনের বাড়তি চার্জ ও শক্তি থেকে আপনি অন্যান্য ডিভাইসেও চার্জ দিতে পারবেন।
ব্যাটারির কথা বাদ দিলে, এই ফোনে ফিচার করা হয়েছে একটি ৬.৫৩ ইঞ্চি এফএইচডি+ হ্যালো ফুলভিউ ট্রেডমার্ক ডিসপ্লে, যা সব দিক থেকে আলট্রা স্লিম সরু বেজেল দিয়ে ঘেরা। বর্তমানে এই ফোনটি দু’টি নজরকাড়া রঙের থিমে পাওয়া যাচ্ছে: ম্যাগনেটিক ব্ল্যাক এবং স্প্রিং হোয়াইট। এর রঙ গুলো উজ্জ্বল ও ছবির মত মনে হয়, আর এর বডিতে সুচারু কার্ভ ডিজাইনের কারণে ফোনটির ব্যাক প্যাটার্নে অনেকটা থ্রিডি অনুভব পাওয়া যায়।
এই মডেলটিতে ফিচার করা হয়েছে একটি এআই চালিত ট্রিপল ক্যামেরা সেট-আপ, যাতে করে আপনি সুপার ম্যাক্রো এবং বোকেহ শটস এর পাশাপাশি সুপার ওয়াইড এঙ্গেল শটস তুলতে পারবেন। সামনের দিকে এই ফোনটিতে রয়েছে এআই ফেস বিউটি ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ১৬ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। এর সাহায্যে ছবি তোলার আগেই আপনি নিজেদের আউটলুক মনের মত পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।
বাংলাদেশে ওয়াই১৯ ফোনটির বর্তমান বাজারমূল্য মাত্র ১৯,৯৯০ টাকা।
ভিভো ওয়াই১৫
মূল স্পেসিফিকেশন | |
প্রসেসর | এমটি ৬৭৬২ |
অপারেটিং সিস্টেম | ফানটাচ ওএস ৯.০ |
র্যাম | ৪ জিবি |
স্টোরেজ | ৬৪ জিবি |
ব্যাটারি | ৫০০০ এমএএইচ |
ডিসপ্লে | ৬.৩৫ ইঞ্চি ১৫৪৪x৭২০ এইচডি+ এলসিডি ক্যাপাসিটিভ মাল্টি-টাচ |
সাইজ | ১৫৯.৪৩ x ৭৬.৭৭ x ৮.৯২ মি.মি. |
ওজন | ১৯০.৫ গ্রাম |
ক্যামেরা | ফ্রন্ট ১৬ মেগাপিক্সেল, ব্যাক ১৩ মেগাপিক্সেল + ৮ মেগাপিক্সেল + ২ মেগাপিক্সেল |
এপারেচার | ফ্রন্ট এফ/২.০ (১৬ মেগাপিক্সেল); ব্যাক এফ/২.২ (১৩ মেগাপিক্সেল) + এফ/২.২ (৮ মেগাপিক্সেল)+ এফ/২.৪ (২ মেগাপিক্সেল) |
সিম স্লট টাইপ | সিঙ্গেল সিম অথবা ডুয়াল সিম/ স্ট্যান্ড-বাই মোড/ সিম স্লট |
ওয়াই-ফাই | ২.৪ গিগাহার্জ/ ৫ গিগাহার্জ ওয়াই ফাই |
রঙ | অ্যাকুয়া ব্লু, বারগ্যান্ডি রেড |
ওয়াই১৫ ফোনটির ফিচারগুলোর সাথে ওয়াই১৯ ফোনের অনেক মিল রয়েছে। এতে দেয়া হয়েছে একটি ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং ১৯.৩:৯ অ্যাসপেক্ট রেশিওর সাথে একটি ৬.৩৫ ইঞ্চি হ্যালো ফুলভিউ ট্রেডমার্ক ডিসপ্লে।
একই ভাবে এই মডেলটিতেও ফিচার করা হয়েছে একটি এআই ট্রিপল ক্যামেরা সেট-আপ। ফলে খুব সহজেই আপনি একেকটি ফটোগ্রাফি মাস্টারপিস তৈরি করতে পারবেন। এর ব্যাক ক্যামেরায় দেয়া হয়েছে একটি ১৩ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা, আর সেটাকে সাপোর্ট করার জন্য একটি ৮ মেগাপিক্সেল সুপার ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স এবং একটি ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ ক্যামেরা দেয়া হয়েছে।
গেমিং এর জন্যও এই ফোনটি বেশ ভালো। এর আলট্রা গেম মোড ইউজারদেরকে সিস্টেম রিসোর্স গুলোকে চিহ্নিত করে গেমিং এর পারফরম্যান্সে বেশি গুরুত্ব দিতে পারে। আবার এর ডুয়াল টার্বো মোড গেমারদের চাহিদা অনুযায়ী ফোনের মধ্যে নিয়ে আসবে বিদ্যুৎ গতির স্পিড।
বাইরের দিক থেকে ওয়াই১৫ স্মার্টফোনটি দু’টি মনোরম রঙের অপশন থেকে বাছাই করার জন্য পাওয়া যাচ্ছে – অ্যাকুয়া ব্লু এবং বারগ্যান্ডি রেড। এই রঙ ও আউটলুকের পেছনে রয়েছে প্রকৃতির কাছ থেকে নেয়া অনুপ্রেরণা। যেভাবে জলাশয়ের পানি থেকে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে মন মাতায়, ঠিক সেভাবেই ফোনটির বডিতে এর রংগুলো পরিবর্তন হয়।
বাংলাদেশে বর্তমানে এই মডেলটি মাত্র ১৬,৯৯০ টাকা দামে পাওয়া যাচ্ছে।
ভিভো ওয়াই১১
মূল স্পেসিফিকেশন | |
প্রসেসর | এসডিএম ৪৩৯ |
অপারেটিং সিস্টেম | ফানটাচ ওএস ৯.১ |
র্যাম | ৩ জিবি |
স্টোরেজ | ৩২ জিবি |
ব্যাটারি | ৫০০০ এমএএইচ (টিওয়াইপি) |
ডিসপ্লে | ৬.৩৫ ইঞ্চি ১৫৪৪x৭২০ এইচডি+ এলসিডি ক্যাপাসিটিভ মাল্টি- টাচ |
সাইজ | ১৫৯.৪৩ x ৭৬.৭৭ x ৮.৯২ মি.মি. |
ওজন | ১৯০.৫ গ্রাম |
ক্যামেরা | ফ্রন্ট ৮ মেগাপিক্সেল / পেছনে ১৩ মেগাপিক্সেল + ২ মেগাপিক্সেল |
এপারেচার | ফ্রন্ট এফ/১.৮ (৮ মেগাপিক্সেল) ; পেছনে এফ/২.২ (১৩ মেগাপিক্সেল) + এফ/২.৪ (২ মেগাপিক্সেল) |
সিম স্লট টাইপ | সিঙ্গেল সিম অথবা ডুয়াল সিম/ স্ট্যান্ড-বাই মোড/ সিম স্লট |
ওয়াই-ফাই | ২.৪ গিগাহার্জ |
রঙ | মিনারেল ব্লু, অ্যাগেট রেড |
ভিভো ওয়াই১১ ফোনটিতে ফিচার করা হয়েছে একটি শক্তিশালী ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি, যা আপনাকে দিতে পারবে দীর্ঘমেয়াদী এনার্জি এবং সারাদিন ব্যাপী নিশ্চিন্তে ফোন ব্যবহার করার স্বাচ্ছন্দ্য। এটি একটি ট্রেন্ড সৃষ্টিকারী মডেল, যা বাজারে দুটি অনন্য রঙের অপশনে পাওয়া যাচ্ছে – মিনারেল ব্লু এবং অ্যাগেট রেড, যা আসলে অপরূপ সুন্দর রত্ন পাথরের অনুপ্রেরণায় তৈরি করা হয়েছে। প্রিমিয়াম কালার প্রোডাকশন পদ্ধতি ব্যবহার করে এই ডিভাইসগুলোর রঙকে নিখুঁত শেড দান করা হয়েছে। এর কালার গ্র্যাডিয়েন্টগুলো মার্জিত এবং পুরো ফোনটির চেহারায়া একটা আভা নিয়ে আসে।
এই ফোনটিতে রয়েছে পেছনের দিকে একটি এআই ডুয়াল ক্যামেরা সেটআপ, যাতে আপনি পাচ্ছেন একটি ১৩ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরা এবং তাকে সাপোর্ট করার জন্য একটি ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেন্সর লেন্স। এরকম বাজেট বান্ধব একটা ফোনেও আপনি পোট্রেট শটস থেকে শুরু করে দূরবর্তী ল্যান্ডস্কেপ পর্যন্ত দারুণ মানের ছবি তুলতে পারবেন। এর ফ্রন্ট ক্যামেরায়ও রয়েছে একটি স্মার্ট এআই প্রযুক্তি – যা আপনার সেলফিগুলোকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করবে।
এই মডেলটিতে ফেস এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট দুই রকম আনলকিং করার ক্ষমতাই দেয়া হয়েছে, ফলে আপনার ডিভাইসের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা আরো নিশ্চিত হয়ে ওঠে। আগে উল্লেখ করা মডেলগুলোর মত এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ডিসপ্লে তে বিল্ট-ইন নয়, বরং ফোনের পেছনে দেয়া।
বাংলাদেশে ভিভো ওয়াই১১ এর বর্তমান দাম মাত্র ১২,৯৯০ টাকা।
ভিভো ওয়াই৯০
মূল স্পেসিফিকেশন | |
প্রসেসর | এমটি ৬৭৬৭১ |
অপারেটিং সিস্টেম | ফানটাচ ওএস ৪.৫ (অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ এর ভিত্তিতে তৈরি) |
র্যাম | ২ জিবি |
স্টোরেজ | ৩২ জিবি |
ব্যাটারি | ৪০৩০ এমএএইচ (টিওয়াইপি) |
ডিসপ্লে | ৬.২২ ইঞ্চি ১৫২০x৭২০ (এইচডি+) ইনসেল ক্যাপাসিটিভ মাল্টি-টাচ |
সাইজ | ১৫৫.১১ মি.মি. x ৭৫.০৯ মি.মি. x ৮.২৮ মি.মি. |
ওজন | ১৬৩.৫ গ্রাম |
ক্যামেরা | ফ্রন্ট ৫ মেগাপিক্সেল / ব্যাক ৮ মেগাপিক্সেল |
এপারেচার | (ফ্রন্ট) এফ/১.৮; (ব্যাক) এফ/২.০ |
সিম স্লট টাইপ | ডুয়াল সিম/ স্ট্যান্ড-বাই মোড/ সিম স্লট |
ওয়াই-ফাই | ২.৪ গিগাহার্জ |
রঙ | ব্ল্যাক, গোল্ড, রেড |
আমাদের তালিকার সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও সাধ্যের মধ্যে ফোন হচ্ছে ভিভো ওয়াই৯০। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই মডেলটিতে বেশ ভালো পরিমাণে ফিচার ও স্পেসিফিকেশন দেয়া হয়েছে। এতে আপনি পাবেন একটি বিশাল ৪০৩০ এমএএইচ ব্যাটারি – এই দামের রেঞ্জে এত শক্তিশালী ব্যাটারি নেই বললেই চলে । আর এই ব্যাটারি ভিভোর বিশেষ স্মার্ট পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাথে মিলে কাজ করে – ফলে আপনি পাচ্ছেন এক দীর্ঘমেয়াদী পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবস্থা।
এসব কিছু ছাড়াও ওয়াই৯০ ফোনটিতে দেয়া হয়েছে একটি আকর্ষনীয় ৬.২২ ইঞ্চি হ্যালো ফুলভিউ ট্রেডমার্ক ডিসপ্লে এবং শতকরা ৮৮.৬ স্ক্রিন টু বডি রেশিও। ইউজারদের ভিউইং অভিজ্ঞতা তাই হয়ে গেছে আরও উন্নত।
এর ক্লাসিক ব্ল্যাক ও গোল্ড কালারের অপশনগুলো মডেলটিকে একটি মার্জিত লুক এনে দিয়েছে। এর থ্রিডি কার্ভড কর্নারগুলো ফোনটিকে আপনার হাতের মুঠোয় সুন্দরভাবে ধরে রাখতে সহায়তা করে। ফলে ইউজারদের অভিজ্ঞতা বেশ আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়ে উঠে।
যদিও এই মডেলটিতে মাত্র ৩২ জিবি অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ দেয়া হয়েছে, তবুও এটা বাহ্যিক মেমোরি কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে মেমোরি ২৫৬ জিবি পর্যন্ত বাড়ানোর স্বাধীনতা দিয়েছে। অতএব আপনি আপনার আগের সমস্ত ছবি, ভিডিও সহ আরো অনেক কিছু নিশ্চিন্তে সেইভ করে রাখতে পারবেন এই ডিভাইসটিতে।
বাংলাদেশে ভিভো ওয়াই৯০ ফোনটির বর্তমান বাজারমূল্য মাত্র ৮৯৯০ টাকা। আপনার কষ্টের টাকায় সেরা পারফরম্যান্স পাওয়ার জন্য এই ফোনটির জুড়ি নেই!
শেষকথা
তুলনামূলকভাবে একটি ছোট ও বাজেট বান্ধব স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হওয়া সত্ত্বেও ভিভো নিঃসন্দেহে আমাদের অনেকেরই আশার চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। আপনি যদি একটি নতুন ফোন কেনার আশায় খোঁজ করতে থাকেন, কিন্তু আপনার বাজেট যদি সীমিত হয়, তাহলে ভিভোই হতে পারে আপনার জন্য সেরা অপশন।
গ্রাহক চাহিদার উপর নির্ভর করে ভিভোর কাছে রয়েছে প্রত্যেক ধরণের মানুষের জন্য একটি করে স্মার্টফোন মডেল। একজন ইউজার হিসেবে আপনি যদি দামের সাশ্রয় ও সহজলভ্যতার উপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, তাহলে ওয়াই৯০ ফোনটি আপনার জন্য একটি দারুণ অপশন হতে পারে। কেননা এটি একই সাথে আপনার জন্য অফার করছে ভালো মানের পারফরম্যান্স এবং দুর্দান্ত ব্যাটারি লাইফ। যদি আপনার অন্যতম প্রধান চাহিদা ব্যাটারির পারফরম্যান্স হয়ে থাকে, তাহলে ওয়াই১৯ ফোনটি আপনার জন্য সবচেয়ে সেরা হবে। ওয়াই১৫ এবং ওয়াই১১ এই ফোনগুলো আপনার জন্য ভালো হবে যদি আপনি উজ্জ্বল ও রঙিন থিমের একটি ফোন কিনতে চান। আর আপনার প্রথম চাহিদা যদি সবার সেরা ক্যামেরা পারফরম্যান্স হয়ে থাকে, তাহলে ভিভোর লেটেস্ট ভি১৭ প্রো-ই হতে পারে আপনার পরবর্তী মোবাইল।
সবশেষে নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ব্যবহারিক ধারণা তৈরি হওয়ার পর আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে ভিভোর এস১ প্রো ফোনটি এক কথায় একটি অসাধারণ অল রাউন্ডার ফোন। ভি১৭ এর তুলনায় এটা তুলনামূলকভাবে বেশ সাশ্রয়ী একটি মডেল, কিন্তু এতে রয়েছে প্রায় একই রকম সবগুলো ফিচারই। এর বাইরের ডিজাইনটি একদিক থেকে যেমন ইউনিক এবং প্রিমিয়াম চেহারার, তেমনি আপনি এই ফোনটি ব্যবহার করার সময় অন্যদের থেকে বেশ আলাদা একটা অনুভব পাবেন। সব মিলিয়ে দামের দিক থেকে বিবেচনা করলে এই ফোনটি সত্যিই দারুণ সব আকর্ষণীয় পারফরম্যান্স দিতে পারে।
আশা করছি আমাদের এই আর্টিকেলটি আজ আপনাকে বর্তমান বাজারে ভিভো ফোন সম্পর্কে একটা পরিস্কার ধারণা দিতে পেরেছে। বাংলাদেশে ভিভো মোবাইলের লেটেস্ট ফোনগুলোর দাম জানতে ভিজিট করে দেখুন Bikroy.com -এ, আর সারা দেশ জুড়ে শত শত বিক্রেতাদের বিজ্ঞাপন থেকে সার্চ করে নিন। Bikroy -এ ভিন্ন ভিন্ন ফোনের মডেল ও ব্র্যান্ডের মধ্যে খুঁজে দেখুন আর তুলনা করে দেখুন আজই!
গ্রাহকদের নিয়মিত কিছু প্রশ্নের উত্তর:
কোথায় কিনতে পারব ভিভো স্মার্টফোন গুলো?
ঢাকা ও এর আশেপাশের শহরগুলোতে ভিভোর অনেকগুলো ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট রয়েছে। ভিভোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি সহজেই খুঁজে পাবেন দোকানের ঠিকানাগুলো। এছাড়াও আপনি যেকোনো থার্ড-পার্টি দোকান থেকে কিনতে পারেন ভিভো ফোন।
আর আপনি যদি ভিভো ফোনটি অনলাইনে কিনার কথা ভেবে থাকেন তাহলে Bikroy.com এর মাধ্যমে কেন খুঁজে দেখছেন না! অসংখ্য বিক্রেতা নতুন ও ব্যবহৃত ফোন সাশ্রয়ী দামে বিক্রির জন্য আপনারই অপেক্ষায় আছে।
ভিভো ফোনের উপর কোনো রকম ইএমআই সুবিধা বা অফার রয়েছে কি?
বর্তমানে দেশের মধ্যে ভিভোর কোনও রকম অফিশিয়াল ইএমআই সুবিধা নেই। তবে গ্রামীনফোন কিংবা রবির মত নামকরা টেলিকম সার্ভিস কোম্পানির কাছ থেকে ভিভো ফোন কিনলে, হয়ত আপনি কিছু ইএমআই সুবিধা পেতে পারেন।
ভিভো স্মার্টফোন গুলোর উপর কতদিন পর্যন্ত ওয়ারেন্টি দেয়া হয়?
সাধারণত আপনি ডিভাইস কেনার তারিখ থেকে শুরু করে একটি ১ বছরের ওয়ারেন্টি পাবেন। ভিভোর ওয়েবসাইটে “আইএমইআই অথেনটিকেশনের” অধীনে আপনি আপনার ওয়ারেন্টির মেয়াদ ও তথ্য চেক করে দেখতে পারবেন।
ভিভো ফোনের সাথে অন্য বিভিন্ন ফোনের তুলনামূলক আলোচনা বা বিশ্লেষণগুলো কোথায় পাবো?
আপনি যদি সাধারণভাবে বিভিন্ন বিক্রেতাদের অফার দেয়া ভিন্ন ভিন্ন মডেল কিংবা তাদের দামের মধ্যে তুলনা করে দেখতে চান, তাহলে Bikroy -এ পোস্ট হওয়া শত শত বিজ্ঞাপনের মধ্যে থেকে ব্রাউজ করে বাস্তব সময়ের হিসেবে তুলনা করে দেখতে পারেন। তবে আপনি যদি ভিভোর দু’টো ভিন্ন মডেলের ফোনের মধ্যে গভীর পর্যালোচনা করে তুলনা করতে চান, তাহলে জনপ্রিয় কিছু টেক ও গ্যাজেট ওয়েবসাইটে ভিজিট করে খুঁজে নিতে পারেন একটি পরিপূর্ণ ও নিখুঁত বিশ্লেষণ।
ভিভো ফোনগুলোতে আরো স্মুথ ভাবে গেমস খেলতে পারবো কীভাবে?
ভিভোর অফিশিয়াল পেইজ অনুযায়ী ফোনের গেমিং পারফরম্যান্স অপটিমাইজ করার জন্য দরকারি কিছু পরামর্শ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- শুধুমাত্র অফিশিয়াল ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ স্টোর, যেমন ভি-অ্যাপ স্টোর বা গুগল প্লে স্টোর থেকে নামিয়ে গেম ইনস্টল করুন।
- লো পাওয়ার মোড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
- গেম চালু করার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে যেন অন্য কোন অ্যাপস চলতে না থাকে সেটা নিশ্চিত করে নিন।
- আপনার ফোন এবং গেমস এর অ্যাপ গুলোকে তাদের সবচেয়ে লেটেস্ট ভার্সনে আপডেট করে রাখুন।
- গেম চালানোর জন্য সব সময় শক্তিশালী সিগন্যাল এবং ওয়াই ফাই কিংবা মোবাইল ডাটার নেটওয়ার্কের স্পিড এগুলো বজায় রাখুন।
কিছু কিছু স্মার্টফোন মডেলে স্পেসিফিকেশনের সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে, সব রকম গেম হাই কোয়ালিটি সেটিংস-এ চালানো সম্ভব হয় না। কম পারফরম্যান্সের ফোনগুলোর জন্য গ্রাফিক্স এর সেটিংস লো করে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।