হোম এবং লিভিং

ঘরে ঘরে Walton ফ্রিজ

জীবনধারণের জন্য মানুষের ছয়টি মৌলিক চাহিদার মধ্যে একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা হলো খাদ্য। আর বর্তমান যুগে মানুষের চাহিদামতো খাবার সংরক্ষণের জন্য বাজারে রয়েছে বিভিন্ন আকারের, দামের, বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের এবং নানারকম আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত নানান ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ফ্রিজ। আধুনিক বিশ্বে ফ্রিজ ছাড়া একটা ঘর রীতিমতো কল্পনাতীত। আর বাঙালি বা বাংলার রান্না মানেই স্বাদে ভরপুর নানারকম রান্নার সমাহার, আর রান্নার যোগান দিতে যাবতীয় খাদ্যদ্রব্য রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তায় যেকোনো ঘরে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় ফ্রিজ। তাছাড়া করোনা মহামারী কালে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাজারে যাওয়াও ঠিক নয়। এক্ষেত্রে বেশি খাবার সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজই একমাত্র ভরসা। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন বাজারে না গিয়ে একদিনে সপ্তাহ বা মাসের বাজার করে নিয়ে এলেই তো সমস্যার সমাধান হলো না। এই বাজার, বিশেষ করে শাক-সবজি বা মাছ, মাংস এগুলো সংরক্ষণের জন্য ঘরে একটি ভালো মানের ফ্রিজ থাকা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে আমাদের দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্রিজ খুবই সময়োপযোগী ভালো মানের আদর্শ একটি ফ্রিজের উদাহরণ হতে পারে। প্রতিটি ঘরের নিজস্ব চাহিদামতো আলাদা বৈচিত্র্যের বিভিন্ন ফ্রিজ আপনি ওয়ালটনে পেয়ে যাবেন সহজেই। আর এজন্যই আজকে আমরা তেমনই যুগোপযোগী, আকর্ষণীয়, আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত ওয়ালটন ফ্রিজের সহজলভ্যতা এবং আরও কিছু বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবোঃ

দেশজুড়ে বিস্তৃত ওয়ালটন

আমাদের দেশীয় বহুজাতিক কোম্পানি ওয়ালটনের পরিধি সারা বাংলাদেশ জুড়েই এখন বিস্তৃত। আপনি চাইলেই হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন ওয়ালটন প্লাজা, ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার কিংবা স্মার্ট জোন। ওয়ালটনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য এক কথায় অতুলনীয়। আর এমন একটি ব্র্যান্ডের পরিধি যখন দেশের আনাচে কানাচে সর্বত্র বিস্তৃত, তখন ওয়ালটনের পণ্য বা ফ্রিজ একদম হাতের কাছে পাওয়ার এই বাড়তি সুবিধাটুকু নিতে নিশ্চয়ই আপনি পিছপা হতে চাইবেন না। তাছাড়া ওয়ালটনের কাছে ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জন সব কিছুর আগে। তাই আপনি দেশের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনতে পারেন নিশ্চিন্তে। আর কেনার পরবর্তী সময়েও যেকোনো সার্ভিসিং বা অন্যান্য প্রয়োজনে দেশের প্রতিটি প্রান্তে ওয়ালটন তো আছে আপনার পাশে। তাই নির্দ্বিধায় আপনার ঘরে আজই নিয়ে আসতে পারেন ওয়ালটন ফ্রিজ।

এক ফ্রিজেই বাজিমাত

বৈচিত্র্যময় ডিরেক্ট কুলিং ফ্রিজ

ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর দেশের নাম্বার ওয়ান রেফ্রিজারেটার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে অনেক আগেই। আর তা হবেই বা না কেন! ওয়ালটন ফ্রিজে আপনি পেয়ে যাচ্ছেন নির্ভরযোগ্য সব আধুনিক প্রযুক্তি থেকে শুরু করে আপনার চাহিদা অনুযায়ী সবকিছু। ওয়ালটনের রয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার টেকনোলজি, ম্যাজিক্যাল ন্যানো সিলভার বডি, নান্দনিক আকর্ষণীয় ডিজাইন ও বৈচিত্র্যময় কালারের বিভিন্ন ফ্রিজ। ওয়ালটন ফ্রিজ দিচ্ছে সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা এবং অধিক সময় পর্যন্ত খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণের নিশ্চয়তা এবং এর সাথে রয়েছে ডিরেক্ট ও ফাস্টার কুলিং সিস্টেম। প্রয়োজনীয়তা চিন্তা করে ফ্রিজ কিনে নিলেই তো শুধু হলো না, মাথায় রাখতে হবে ফ্রিজ ক্রয়ের ক্ষেত্রে দরকারি বিষয়গুলো। আর ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে সময়োপযোগী সকল প্রযুক্তি এবং ক্রেতাদের জন্য নানান সুবিধা। তাছাড়াও উৎপাদনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, মাননিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স, সাশ্রয়ী বাজারমূল্য, দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবাদানের নিশ্চয়তা। এছাড়া দেশব্যাপী বিস্তৃত আইএসও সনদ প্রাপ্ত সেলস ও সার্ভিস নেটওয়ার্ক এবং সর্বোপরি স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে তৈরি বলে বাংলাদেশের ক্রেতাদের কাছে ওয়ালটন ফ্রিজই সবার সেরা। তাই প্রতিটি ঘরেই ওয়ালটন ফ্রিজই হতে পারে সবার প্রথম পছন্দ।

কেন ওয়ালটন ফ্রিজ সেরা

ওয়ালটন-আপকামিং-রেফ্রিজারেটর

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্রিজে রয়েছে সে-সমস্ত সুবিধা যা একটি উন্নত ভালো মানের ফ্রিজে থাকা প্রয়োজন। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, ওয়ালটন ফ্রিজ বাজারের সেরা এবং প্রতি ঘরে ঘরে ওয়ালটন ফ্রিজই সবচেয়ে বেশি মানানসই। চলুন জেনে নেয়া যাক এই ফ্রিজের সেসব সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত-

ইনভার্টার টেকনোলজিঃ

ওয়ালটন ফিচারড রেফ্রিজারেটর

ফ্রিজ কেনার সময় মানুষের অন্যতম চাহিদার একটি হলো ফ্রিজ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে কিনা। বাংলাদেশে ওয়ালটন ফ্রিজে  ব্যবহৃত হচ্ছে ‘ইন্টালিজেন্ট ইনভার্টার’। ইনভার্টার কম্প্রেসারই হলো একটি ফ্রিজের প্রাণ। এই প্রযুক্তি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং ভোল্টেজ ওঠানামার সমস্যাগুলো থেকে ফ্রিজকে নিষ্কৃতি দেয়। ওয়ালটন ফ্রিজের কম্প্রেসারে ব্যবহৃত হয়েছে পরিবেশবান্ধব সিএফসি এবং এইচএফসি গ্যাসমুক্ত সম্পূর্ণ গ্রিন গ্যাস আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট। যা পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত ফ্রিজের বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় করে। সাধারণত একটি ফ্রিজের মাসিক বিদ্যুৎ বিল গড়ে প্রায় ৩০০ টাকা হিসেবে পুরো বছরে বিল আসে প্রায় ৩,৬০০ টাকা। অথচ ওয়ালটন ফ্রিজের ইনভার্টার প্রযুক্তিতে মাদারবোর্ডে স্থাপিত মাইক্রো-প্রসেসরের মাধ্যমে কম্প্রেসারের গতি নিয়ন্ত্রিত হয়। ফ্রিজের ভেতরে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন অনুযায়ী অন/অফ বা কম গতিতে কম্প্রেসার চলে বলে এতে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। তাছাড়া, সাধারণ ইন্ডাকশান প্রযুক্তির তুলনায় ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসার চালু হতে প্রায় আট থেকে দশ গুণ কম বিদ্যুৎ লাগে এবং এই ফ্রিজ চলেও কম ভোল্টেজে। এতে করে পুরো বছরে একটি ওয়ালটন ফ্রিজে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হতে পারে প্রায় ১,৮০০ টাকা পর্যন্ত। সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় পঁচিশ লাখ ফ্রিজ বিক্রি হয় এবং বর্তমানে দেশে দুই কোটিরও বেশি ফ্রিজ ব্যবহৃত হচ্ছে। সে হিসেবে ইনভার্টার প্রযুক্তি সম্বলিত দুই কোটি ফ্রিজে বাৎসরিক বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হবে তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর এতে করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যে বিদ্যমান ঘাটতিও কমে যাবে অনেকটা। তাহলে বুঝতেই পারছেন প্রত্যেক ঘরে ইনভার্টার প্রযুক্তি সম্বলিত ওয়ালটন ফ্রিজের উপযোগিতা ঠিক কতখানি। আর তাছাড়াও ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহৃত হচ্ছে ডিইসিএস টেকনোলজি সমৃদ্ধ থ্যালেটমুক্ত গ্যাসকেট এবং ওয়াইড ভোল্টেজ ডিজাইন। যার ফলে এসব ফ্রিজে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহারেরও কোনো প্রয়োজন নেই।  

ন্যানো কপার বডিঃ

ওয়ালটন লেটেস্ট ডিরেক্ট কুলিং ফ্রিজ ডিজাইন

ওয়ালটন ফ্রিজের এই চমৎকার সংযোজনটি আপনার ফ্রিজে সংরক্ষিত খাবারকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এখনকার গতিশীল কর্মব্যস্ত জীবনে নিত্যদিন রান্নাবান্না কিংবা বাজার করার মতো সময় হয়ে ওঠে না অনেকেরই। তাই ফ্রিজে সংরক্ষিত খাবার যাতে অধিক সময় পর্যন্ত ভালো থাকে এমন ফ্রিজই সকলের জন্য পছন্দসই। আর এক্ষেত্রে ন্যানো কপার বডির ওয়ালটন ফ্রিজের কার্যকারিতা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। রোগ সংক্রামক ব্যাকটেরিয়ার কোষে সেল মেমব্রেন এবং নিউক্লিয়াস রয়েছে আর এর মধ্যে রয়েছে নেগেটিভ আই ও এন প্রপার্টি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে পজিটিভ আই ও এন প্রপার্টি। এক্ষেত্রে সংক্রামক ব্যাকটেরিয়ার সেল মেমব্রেন যখনই এই ফ্রিজের ন্যানো সিলভার পার্টিকেলের সংস্পর্শে আসে তখনই ব্যাকটেরিয়ার সেল মেমব্রেন ভেঙে যায়। যার ফলে সেসব সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়। এজন্য ওয়ালটনের ন্যানো কপার টেকনোলজি ‘ন্যানো হেলথকেয়ার টেকনোলজি’ হিসেবেও পরিচিত। এটি এমন এক প্রযুক্তি যা ফ্রিজে সংরক্ষিত খাবারের সতেজতা ও গুণগত মান অক্ষুন্ন রাখে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। এতে করে আপনি যেকোনো সংক্রমণের বিষয়েও নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। তাই প্রতিটি ঘরে এমন নির্ভরযোগ্য ফ্রিজের কোনো বিকল্প হতে পারে না।

আকর্ষণীয় নান্দনিক ডিজাইনঃ

আকর্ষণীয় নান্দনিক ডিজাইনের ওয়ালটন ফ্রিজ

ফ্রিজ যে এখন শুধু খাবার বা পানীয় ঠান্ডা করা বা কাঁচা বাজার ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য, রান্নার নানা উপকরণ, প্রক্রিয়াজাত মশলা কিংবা পুরনো খাবার ইত্যাদি সংরক্ষণ করার যন্ত্র হিসেবেই বিভিন্ন ঘরে ব্যবহার হয়ে থাকে তা কিন্তু নয়। বরং ঘরের সৌন্দর্য্য বাড়াতেও ফ্রিজের এখন যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এখন অনেকেই ঘর সাজিয়ে তোলার কথা মাথায় রেখেই বাজারে আকর্ষণীয় নান্দনিক নকশার ফ্রিজ খুঁজে থাকেন। ওয়ালটন ফ্রিজ বৈচিত্র্যময় এ ব্যাপারে আপনি নিরাশ হবেন না মোটেই। প্রতিটি ঘরকে সাজিয়ে তুলতে ওয়ালটনের রয়েছে বৈচিত্র্যময় আকর্ষণীয় ডিজাইনের বিপুল ফ্রিজের সমাহার। এছাড়াও রয়েছে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর। ওয়ালটন ফ্রিজ আপনার ঘরের সৌন্দর্য্যে সৌন্দর্য্যে যোগ করবে এক আলাদা মাত্রা। তাই ঘরের সৌন্দর্য্যের সাথে আপোষ না করে আজই কিনে নিন ওয়ালটন ফ্রিজ।

বৃহৎ পরিসর এবং দীর্ঘদিন খাবারের গুণাগুণ অটুট রাখার নিশ্চয়তাঃ

নান্দনিক ডিজাইন ছাড়াও ওয়ালটন ফ্রিজের ভেতরে রয়েছে যথেষ্ট জায়গা, যা এখনকার সময়ে আমাদের বেশিরভাগের জন্যই বেশ প্রয়োজনীয়। এতটা জায়গা জুড়ে খাবার সংরক্ষণের জন্য রেখে দিলেই তো হলো না, চাই দীর্ঘদিন সেই খাবারের মান অটুট রাখার নিশ্চয়তা। ওয়ালটন সে ব্যাপারেও আপনাকে নিরাশ করবে না। ওয়ালটন ফ্রিজের ভেতরে সংরক্ষিত খাবারের পরিমাণ অথবা রুমের তাপমাত্রা অনুযায়ী ইনভার্টার প্রযুক্তি কম্প্রেসারের গতি নিয়ন্ত্রণ করে। ইনভার্টারে কুলিং পারফরম্যান্সের তারতম্য না থাকায় খাবারের মান অক্ষুণ থাকে। সুতরাং, ওয়ালটনের এক ফ্রিজেই আপনি পেয়ে যাবেন বৃহৎ পরিসরের সাথে দীর্ঘদিন খাবারের মান অক্ষুন্ন রাখার পূর্ণ নিশ্চয়তা। আবার ছোট পরিবারের জন্যে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থাসহ কিছুটা কম দামে ছোট কিছু ফ্রিজও রয়েছে ওয়ালটনের।

সাশ্রয়ী বাজারমূল্য ও ক্রেতাদের জন্য অন্যান্য সুবিধাদিঃ

সব ধরণের ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই ওয়ালটনের ফ্রিজের মডেলগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ফ্রিজের মডেলগুলোর দাম রয়েছে মাত্র ১০ হাজার ৯৯০ থেকে শুরু করে ৬৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে। সেক্ষেত্রে নিজেদের সার্মথ্য অনুযায়ী যেকোনো আয়ের মানুষ এই ফ্রিজ কিনে নিতে পারবেন। এতে করে অল্প বাজেটেই আপনি পেয়ে যাচ্ছেন এমন ভালো মানের ফ্রিজ। মাঝারি দামে ফ্রিজ বিক্রয়ের পরিকল্পনা এবং দীর্ঘ সময়ের ওয়ারেন্টি ওয়ালটন কোম্পানিকে নিয়ে গেছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। বর্তমানে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কাম্প্রেসারে ১২ বছরের গ্যারান্টি, ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবাসহ ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে সারা দেশব্যাপী বিস্তৃত ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা পাবার নিশ্চয়তা এবং সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা।

বৈচিত্র্যে অনন্য ওয়ালটন ফ্রিজঃ

ক্রেতাদের সন্তুষ্টিই ওয়ালটনের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই সব ধরনের ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই ওয়ালটন ফ্রিজের মডেলগুলো প্রস্তুত করা হয়, যেন কোনো ক্রেতাই ফ্রিজ কিনতে গিয়ে খালি হাতে না ফেরেন। সেজন্যই বাজারে ওয়ালটনের রয়েছে নানা বৈচিত্র্যের দেড় শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার।

নন-ফ্রস্ট ফ্রিজঃ

নন-ফ্রস্ট-রেফ্রিজারেটর

নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ ওয়ালটনের অনন্য সংযোজন। ক্রেতারা নিজেদের সুবিধার্থে কিংবা সময় বাঁচাতে কিনে নিতে পারেন নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। এই ফ্রিজগুলো টাইমার, হিটার বা তাপ উৎপন্নকারী, তাপ সংবেদী সেন্সর এই তিন মূল অংশ মিলিয়ে একটি সাইকেল ফলো করে খাবারে বরফ জমতে দেয় না। এতে করে দীর্ঘদিন খাবারের গুণগত মান বজায় থাকার সাথে সাথে সময়ও বাঁচে।

ডিপ ফ্রিজঃ

ওয়ালটন-ডিপ-ফ্রিজ

নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন মডেলের ডিপ ফ্রিজও আপনি পেয়ে যাবেন ওয়ালটনের। সম্প্রতি বাংলাদেশে এই প্রথম কুল প্যাকসহ ডিপ ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে এবং করোনাভাইরাস দুর্যোগের মধ্যে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ ফিচার যুক্ত করেছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের রয়েছে ১২৩ লিটার থেকে শুরু করে ৩০০ লিটার পর্যন্ত ডিপ ফ্রিজের এক বিপুল সম্ভার।

বেভারেজ কুলারঃ

বাণিজ্যিক থেকে ব্যক্তিগত যেকোনো ব্যবহারের জন্য ওয়ালটনের রয়েছে বিভিন্ন বৈচিত্র্যের বেভারেজ কুলার। এর সাহায্যে আপনি যেকোনো পানীয় ঠান্ডা করে নিতে পারবেন নিমিষেই। সম্প্রতি ওয়ালটনের কাছ থেকে বিপুলসংখ্যক বেভারেজ কুলার নিয়েছে বহুজাতিক কোম্পানি কোকা-কোলা। তাহলে বুঝতেই পারছেন ওয়ালটনের বেভারেজ কুলার ঠিক কতটা মানসম্পন্ন।

শেষকথা

উপরের লেখাটি পড়ে বুঝতেই পারছেন ওয়ালটন ফ্রিজ দেশের প্রতিটি ঘরের জন্য কতটা নির্ভরযোগ্য একটি পণ্য। আমাদের দেশের মতো একটি নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু সম্পন্ন দেশে রেফ্রিজারেটরের ভূমিকা যেখানে অপরিসীম, সেখানে ওয়ালটন ফ্রিজ দিচ্ছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় স্বাস্থ্য সম্মত খাবার সংরক্ষণের নিশ্চয়তা। ওয়ালটনের ফ্রিজে ব্যবহৃত হয়েছে পরিবেশ বান্ধব রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস, যা শুধুমাত্র বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীই নয়, গ্রিন হাউজ এফেক্টের প্রভাব কমাতেও বহুলাংশে সহায়তা করে। পরিবেশের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ওয়ালটন বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানি করছে। তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ এবং রপ্তানি করা হচ্ছে বিদেশেও। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআই-এর ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। তাছাড়াও ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। ওয়ালটন ফ্রিজের কার্যকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। বর্তমানে দেশের ফ্রিজের বাজারের ৭৫ শতাংশই ওয়ালটনের দখলে রয়েছে। দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে ক্রেতাদের হাতে উন্নত মানের পণ্য তুলে দেয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ক্রেতা সুবিধা দেওয়াই ওয়ালটনের মূল লক্ষ্য। সে উদ্দেশ্যেই বছরের নানা সময়ে ক্রেতাদের বিভিন্ন রকম সুবিধা দিয়ে থাকে ওয়ালটন। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ওয়ালটন ক্রেতাদের জন্য এনেছিলো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ। এতে দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা জিতে নেয়ার সুযোগসহ ক্রেতাদের জন্য ছিলো কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। এক কথায় ওয়ালটন ফ্রিজের কোনো বিকল্প হতেই পারে না। তাই আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এই চরম উৎকৃষ্ট পণ্যের সুবিধাগুলো থেকে নিজেকে বঞ্চিত না করে আপনার ঘরে আজই নিয়ে আসুন ওয়ালটন ফ্রিজ. বাজেটের মধ্যে সেরা মডেলটি কিনতে ভিজিট করুন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস Bikroy.com

Facebook Comments
সাবস্ক্রাইব করুন

No spam guarantee.

Show More

Related Articles

Back to top button
Close
Close